অতুলণীয় ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ আলকাদেরী (রা.)

0
151


মুহাম্মদ সেলিম খান চাটগামী

বার আউলিয়ার পূণ্যভূমি চট্টগ্রাম যে ক’জন ক্ষনজন্মা মহাপুরুষ মহান আল্লাহর প্রিয় ধর্ম ইসলামের সঠিক রূপরেখা সুন্নিয়ত প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে দেশ জাতি তথা মানব সেবার আজীবন সংগ্রাম চালিয়েছেন তাঁদের মধ্যে চট্টলার কৃতি সন্তান স্বনামধন্য ব্যবসায়ী প্রখ্যত দানবীর ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ সওদাগর আলকাদেরী (রা.) এর নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য। তিনি ১৯১৭ সালে চট্টগ্রামের বাকলিয়া মিয়াখাঁন নগরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা হাজী মোহাম্মদ হুসেন ছিলেন একজন সমাজ কর্মী ও ব্যবসায়ী। তাঁর নামানুষারে চট্টগ্রাম পৌরসভা কর্তৃক চট্টগ্রামের কোরবাণীগঞ্জ হতে বক্সীরহাট সড়কটির নামকরণ হয়। মরহুম আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ আলকাদেরী (রা.) ছিলেন আধ্যাত্মিক পুরুষ। ইসলাম আদর্শ কায়েমের ক্ষেত্রে তাঁর কীত কর্ম এই সাক্ষ্য বহন করে। তাঁর ইসলামী চিন্তা চেতনা ও মননশীলতা যে সুগভীর আত্মার পরিচায়ক তা তাঁর প্রদত্ত বক্তব্যের কিয়দাংশ তুলে ধরলে সুস্পষ্ঠভাবে বোধগম্য হবে। তিনি ১৯৭৮ সালে চট্টগ্রাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়ার বার্ষিক সম্মেলনে বলেন, ‘আধ্যত্মিক শক্তি তথা বেলায়তের মাধ্যমে যারা আল্লাহর হুকুম, রাসুল (দ.) এর সুন্নত অনুযায়ী জীবন যাপনের জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে গেছেন তাদের মধ্যে হযরতুল আল্লামা ছৈয়দ আহম্মদ শাহ্ ছিরিকোটি (রা.) একজন এবং তদীয় (পুত্র) ছাহেবজাদা পীরে কামেল মোর্শেদে বরহক হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ব হাফেজ ক্বারী সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ্ সাহেব (রহ.)। ত্বরীকতের প্রচার-প্রসার ও মুসলমানদের কল্যাণের জন্য প্রাণান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন; তিনি আরও বলেন- ইসলামের পতাকা এদেশে একদিন উড্ডীন হবে। জাগরণ এসেছে। ইসলাম এদেশে একদিন কায়েম হবে ইন্শাআল্লাহ। চন্দ্রঘোনা মাদ্রাসা এ তৈয়বিয়া অদুদিয়া সুন্নিয়ার সালানা জলসায় তিনি হৃদয়গ্রাহী ভাষণে বললেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইহা আল্লাহর প্রভুত্ব ও মানব জাতির ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে সুখী সুন্দর শোষণহীন সমাজ গঠন করতে চায়। আমাদের সকলের কর্তব্য এ সমাজ গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা করা। যেহেতু, এটা আমাদের সুখ, শান্তি ও কল্যাণের পথ। মরহুম নুর মোহাম্মদ আলকাদেরী (রা.) ছিলেন সত্যের সাধক। সত্যের সাধনাই ছিল তাঁর জীবনের এক মাত্র ব্রত। তাঁর এই সত্য পিপাসু মন তাঁকে এমন এক মহান ওলীর সংস্পশে আসার সুযোগ করে দিল যিনি অলিকুল স¤্রাট হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রা.) এর যথার্থ উত্তরসূরী মোর্শেদে বরহক হযরতুল আল্লামা সৈয়দ আহম্মদ শাহ্ ছিরিকোটি (রা.)। এ মহান ওলীর পরশে তাঁর জীবনের পালা বদলে গেল। তিনি অল্প সময়ে র্মোশেদ প্রেমে বিভোর হয়ে গেলেন। মোরশেদের ইংগিত ব্যতীত সাধারনত তিনি কোন কাজ করতেন না। বলতে গেলে তিনি ছিলেন হুজুর কেবলা (রা.) এর একজন নিবেদিত প্রাণ মুরিদ। একটি ঘটনা থেকে তা স্পষ্ট হয়ে উঠবে। বড় হুজুর কেবলা অনুধাবন করেছেন এবং বলেছেন, এক শেরে বাংলা ছে কেয়া হোগা, হাবীবে খোদাকে (দ.) সুন্নাত কায়েম করেন কেলিয়ে হাজারু শেরে বাংলা বানানা হায়।’ এ লক্ষ্যে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়ার বুনিয়াদ ঢেলেছেন। তাঁর লক্ষ্য তথা মিশনকে ফলপ্রসু করার জন্যে যাঁদের অগ্রণী ভূমিকা ছিল তম্মধ্যে আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ সওদাগরের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। জামেয়ার বুনিয়াদ ঢালার দিন সওদাগর সাহেব কোন কারণে হাজির ছিলেন না। পরদিন সকালে যখন হুজুরের সাথে সওদাগরের সাক্ষাৎ হয় হুজুর বললেন বাবা নূর মোহাম্মদ জামেয়াকা বুনিয়াদতো ঢালকে আয়া, আর কেয়া হোগা? জবাবে সওদাগর সাহেব বললেন হুজুরর জামেয়ামে যেতনী লোহেকা জরুরত হোগা হাম দেঙ্গে ইনশাআল্লাহ্। নুর মোহাম্মদ সওদাগরের মুখে একথা শুনে হুজুর কেবলা কি যে খুশী হয়েছিলেন তা ব্যক্ত করা আমাদের পক্সে অসম্ভব। সেদিন আল্লাহর ওলীকে খুশী করে আল্লাহর হাবীবকে (দ.) তথা স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতকে খুশী করতে পেরেছেন নুর মোহাম্মদ সওদাগর একথা বললে মোটেই অত্যুক্তি হবেনা। বড় হুজুর কেবলার রুহানী বাচ্চাদের মধ্যে অনেকে আছেন কিন্তু নুর মোহাম্মদ সওদাগর অগ্রগণ্য। বড় হুজুর কেবলা অত্যন্ত খুশী হলেন। বললেন, ইয়ে জামেয়া কিস্তিয়ে নুর (আ.) হ্যায়, সকল মুরিদানদের মধ্যে জারী করে ছিলেন- মুঝেহ দেখনা হ্যায় তো জামেয়াকো দেখা। আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ আলকাদেরী আল্লামা আলহাজ্ব ক্বারী সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ্ সাহেব (ম.জি.আ.) কর্তৃক ১৯৭৬ সালে পাকিস্তানের ছিরিকোট শরীফ খেলাফত প্রাপ্ত হন। তিনি ত্বরীকত্বের একজন সুযোগ্য খাদেম ও প্রতিনিধি হিসাবে ফের্কায়ে বাতেলার মোকাবেলায় অসাধারণ ব্যাক্তিত্ব হিসাবে মজহাব ও ত্বরীকতের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে মহান খেদমত সুষ্ঠুভাবে আঞ্জাম দেন। তাঁর এ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৭৯ সালে তাঁর ইন্তেকালের পর হুজুর কেবলা (ম.জি.আ.) কর্তৃক আল-কাদেরী খেতাবে ভূষিত হন। (সুবহানাল্লাহ)। একজন সাধারণ ব্যবসায়ী হয়ে কিভাবে তিনি এত বড় একজন মহান ওলীর খেলাফত প্রাপত হলেন? তা হচ্ছে তিনি ছিলেন (ফানাফিশ্শায়খ) অর্থাৎ আপন মুর্শিদের প্রতি আত্মোৎসর্গকারী মুরীদ। তাঁর পীর প্রেমের এ পরাকাষ্ঠা নিঃসন্দেহে তাঁকে সৌভাগ্যশালী করেছে ব্যবসায়ী মহলে যার দৃষ্টান্ত খুব কমই চোখে পড়ে।
একজন আশেক সুন্দর বলেছেন-
তু-মবাশ আছলান কামালই আস্ত ও বছ
তু-দমো গোম শো বেছালই আস্ত ও বছ
অর্থাৎ তুমি নিজেকে একেবারে বিলীন করে দাও। ইহাই তোমাদের জন্য যথেষ্ট। তুমি পীরে কামেলের মধ্যে বিলীন হও। ইহাই তোমাদের জন্য যথেষ্ট। মরহুম নুর মোহাম্মদ আলী-কাদেরী (রা.) স্বীয় মোর্শেদে বরহক কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়ার আজীবন সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন এবং আনজুমানের পরিচালনাধীন মাদ্রাসা সমূহের প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখে গেছেন। তাঁর সক্রিয় সহযোগিতায় বহু মসজিদ, মাদ্রাসা-স্কুল, কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকাস্থ চট্টগ্রাম সমিতি, গুলজার বেগম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, চর চাক্তাই বালক উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় মরহুমের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। তিনি ১৯৭৮ সাল তাঁর পীর সাহেবের সফর সঙ্গী হিসাবে ইরাকে গাউছুল আজম হযরত আবদুল কাদের জিলানী (র.) এর মাজার শরীফ জেয়ারত করেন এবং একই সালে তিনি সস্ত্রীক পবিত্র হজ্বব্রত পালন করেন। এছাড়া তিনি কয়েক বার হজ্বব্রত পালন এবং ইরাক, বার্মা, চীন, ভারত, পাকিস্তান ও আরব ইত্যাদি দেশ সমূহ সফর করেন। তিনি তার মোরশেদে বরহকের নির্দেশক্রমে নিজ বাসভবনের উপর তলায় খানেকা শরীফ স্থাপন করেন। উক্ত খানকাহ শরীফে প্রতিনিয়ত নামাজ, জিকির, মিলাদ, ফাতেহা, ওরশ ও অন্যান্য ইসলামী উৎসবাদি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়। এতে সমস্ত পীর ভাইবোন, দেশ জাতি তথা সমগ্র বিশ্ব মুসলিমের ঐক্য ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এমহান ব্যাক্তিত্ব একাধারে বহু সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক সংগঠনের সাতে জড়িত ছিলেন। তিনি আনজুমানে খাদেম উল হজ্ব, বাংলাদেশ হজ্ব কমিটির স্মানিত সভাপতির পদে ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের সাবেক পৌরসভায় ১৯৫০ সাল ১৯৭০ সাল অবধি পৌর কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া তিনি চট্টগ্রাম বন্দর ট্রাস্টের সম্মানিত ট্রাষ্টি ও বক্সীরহাট মার্চেন্ট ডিফেন্স কমিটির সভাপতি ছিলেন। এছাড়া তিনি বক্সীরহাট ইউনিয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ও জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের একজন প্রতিষ্ঠাতা গর্ভণর ছিলেন। উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তৎকালীন রাজনৈতিক স্থবিরতা ও রাজতান্ত্রিক সরকারের বৈষম্যমূলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রত্যয় দীপ্ত ভূমিকা রাখেন। তিনি তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তানের সয়াবিন ও তুলাবীজ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ছিলেন। চট্টগ্রাম বণিক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে তৎকালীন স্বার্থরক্ষার জন্য তিনি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। প্রকৃত পক্ষে মরহুম নুর মোহাম্মদ আলকাদেরী (র.) ছিলেন একজন সত্যবাদী ও সফল ব্যবসায়ী এবং চট্টগ্রাম ব্যবসায়ী সমাজের যোগ্যতা সম্পন্ন ইসলামী আন্দোলনের স্বপ্নপূরুষ। তাঁর অন্তিম শয্যার দৃশ্য পট দেখে তাইমনে হয়। বলা যায়, যারা প্রকৃত ঈমানদার তাদের ইন্তেকাল সাধারণ মানুষের মত হয়না। তারা ইন্তেকালের সময় স্বীয় পীরের সাক্ষাৎ লাভ করেন এবং হায়াতুন্নবী (দ.) উপর সালাত ও সালাম পড়েন। তার বাস্তব প্রমাণ মরহুম আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ আলকাদেরী (রাঃ) তিনি নিথির গেহে নিয়ে মৃত্যু শয্যায় শায়িত। তখন তাঁকে পরীক্ষা করতে আসলেন জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ নুরুল ইসলাম সাহেব। তিনি তাঁর হাতের শিরা পরীক্ষা করে বদনে বলে উঠেন আশাহীন। এ কথা শোনামাত্র পরিবার পরিজন সবাই বিলাপ শুরু করে দিল। এর খানেক পর তিনি হঠাৎ দাঁড়িয়ে গেলেন এবং দরুদ, সালাত ও সালাম পাঠ করলেন। তারপর ডাক্তার সাহেবকে উদ্দেশ্য করে বললেন ডাক্তার সাহেব চিন্তা করবেন না আমি সুস্থ আছি। আমার মোর্শেদে বরহক হযরত ছৈয়দ আহমদ শাহ্ ছিরিকোট (র.) ও গাউছে পাক আবদুল কাদের জিলানী (র.) আমার জন্য ফুলের মালা হাতে বরণ করে নিতে অপেক্ষায় আছেন। এ বলে তিনি নজিরবিহীন এক স্বর্গীয় পরিবেশে ১৯ মহররম ১৪০০ হিজরী, ১০ ডিসেম্বর ১৯৭৯ সাল সোমবার দুপুর ১টা ৫৫ মিঃ চিরদিনের জন্য বিদায় গ্রহন করেন। (ইন্না—রাজেউন)। জনাব নূর মোহাম্মদ আলকাদেরী (র.) এর মুত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে সারা দেশে শোকের ছায়া নেমে আসে। দেশের জ্ঞানী গুণী ব্যাক্তিরা ছুটে আসেন তাঁকে শেষবারের মত একবার দেখতে। মরহুমের ইন্তেকালে জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকাসমূহ বিশেষ সংবাদ প্রচার করেন। দৈনিক ইত্তেফাক, আজাদী, পূর্বতারা, দেশের কথা বিশেষ খবর পরিবেশন করে। পরদিন লালদিঘী ময়দানে মরহুমের প্রথম নামাজের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। অতঃপর মরহুমের লাশ মিছিল ও মোটর শোভা যাত্রা সহকারে ষোলশহরস্থ জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া ময়দানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয়বার নামাজে জানাযার পর মাদ্রাসার পাশ্বে অবস্থিত প্রধান কবরস্থানে মরহুমকে দাফন করা হয়। তার জানাযায় সরকারী বেসরকারী গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, মাননীয় মন্ত্রীবর্গ, আলেম, বুদ্ধিজীবি ও সাংবাদিকসহ বন্দরনগরীর সর্বস্তরের লোক শরীক হন। উল্লেখ্য যে তৎকালীন সময়ে পীরভাইদের মধ্যে যে ভ্রাতিত্ববোধ ও একতা বিদ্যমানছিল এবং পীরভাইদের মধ্যে আত্মগৌরব বা অহংকার মোটেই ছিল না। যা বর্তমান সময়ে খুব কম লক্ষ করা যায়। সে সময়ে আরো কিছু সংখ্যক পীর ভাই জামেয়া-আন্জুমানের খেদমত করে দুনিয়া থেকে চির বিদায় নিয়ে জান্নাতবাসী হয়েছেন। তাঁদের ব্যাপারেও জানা প্রয়োজন। তাই পরবর্তী প্রজন্মগণ তাদের ব্যাপারে জানার জন্য একটি জীবনী প্রকাশনা সময়ের দাবী। এব্যাপারে আন্জুমান ট্রাস্টের দৃষ্ঠি আকর্ষণ করছি। তাঁর ওফাত বার্ষিকীতে তাঁকে গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি এবং তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। মহান রাব্বুল আলামিন মরহুমকে রফযে দরজাদ দান করুন। আমিন।