অনিশ্চয়তায় চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন-১

0
59

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মতো ভাগ্যবরণ করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি) নির্বাচনও। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসায় নতুন করে দেখা দিচ্ছে অনিশ্চয়তা। ঢাকার মতো সীমানা জটিলতা সৃষ্টি করে এ নির্বাচন ঝুলিয়ে রাখার দিকে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় নতুন করে সীমানা বিন্যাসের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এ নিয়ে আইনি জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ইসির সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা জানান, আগামী বছর ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে এ সিটির নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কারণ আইন অনুযায়ী মেয়াদ পূর্তির ১৮০ দিনের আগেই সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। জুনে রমজান শুরু হওয়ায় মে মাসের মাঝামাঝিতে এ নির্বাচন সম্পন্ন করার পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগরীর বর্তমান আয়তন ৬০ বর্গমাইলকে দ্বিগুণ করে ১২০ বর্গমাইল করার পরিকল্পনা নিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী একটি প্রস্তাবনাও তৈরি করা হয়েছে। ইসির নির্বাচন শাখার কর্মকর্তারা মনে করছেন, ভোটের আগ মুহূর্তে সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হলে ঢাকা সিটি করপোরেশনের মতো এ নির্বাচন আটকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে কমিশন স্থানীয় সরকার বিভাগকে ডিসিসি সীমানা জটিলতা নিরসনে বার বার তাগাদা দিয়েও কোনো সমাধান পাচ্ছে না। এমন সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সীমানা বিন্যাস করা হলে ঢাকা সিটির মতো এমনটাই ঘটবে। চট্টগ্রাম মহানগরীর আয়তন দ্বিগুণ করলে আইনি জটিলতাও তৈরি হবে বলে স্বয়ং একজন নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন। তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর আয়তন দ্বিগুণ করলে আসন্ন নির্বাচনে জটিলতা তৈরি হবে। সীমানা বৃদ্ধির পরিকল্পনা থাকলে সরকারকে তা আগে সেরে ফেলা উচিত ছিল। নির্বাচনের আগে এসব বিষয়ে হাত দিলে নির্বাচন বিঘি্নত হতে পারে।

এদিকে, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন সামনে রেখে চলমান ভোটার তালিকার হালনাগাদ শেষে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তা চূড়ান্ত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিদ্যমান সীমানায় ভোটার তালিকা চূড়ান্ত হবে। যাতে যথাসময়ে তফসিল ঘোষণা করা যায়, সে প্রস্তুতিও রয়েছে ইসির। মে মাসকে ভোটের উপযুক্ত সময় ধরে সব ধরনের প্রস্তুতি কাজ এগোচ্ছে।

ইসির প্রস্তুতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোঃ জাবেদ আলী বলেন, নির্বাচনের আগ মুহূর্তে নতুন করে সীমানা বাড়ালে তো আইনি জটিলতা হবেই। এক্ষেত্রে সীমানা বাড়ানো বা না বাড়ানোর পক্ষে কমিশনের কোনো ভূমিকা নেই। এটা স্থানীয় সরকারের বিষয়। আইন অনুযায়ী ইসি যথাসময়ে নির্বাচন করবে বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ১৭ জুন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মেয়র মনজুর আলম ওই বছরই ১৯ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শপথ নেন। ২৬ জুলাই করপোরেশনের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

>>আলোকিতবা