অপরুপ রুপে সাদা মাটির পাহাড়

0
104

সাদামাটির পাহাড়পাহাড় উদারতার এক অনন্য উদাহরণ। আমিতো তোমার রূপ দেখেছি আপন নয়নে। পাহাড়ের সবুজ আজ যেন মলিন হয়ে আছে। রাগে, ক্ষোভে পাহাড় নিজ রুপকে বিবর্ণ করে রেখেছে। বৃষ্টি কি আজ ছোঁয় না তোমায়, তার আপন শীতল হাতে?

সাদা মাটির পাহাড়গুলো একটার পর একটা স্তম্ভের মতো দাঁড়িয়ে আছে। উঁচু, মাঝারি, ছোট সবগুলোর মাটিই একেবারে মিহি দানার ট্যালকম পাউডারের মতো। আবার অনেক পাহাড়ে বিভিন্ন রঙের সমারোহও দেখতে পাওয়া যায়। কোন কোন পাহাড়ের মাটি লাল, বেগুনি এমনকি গোলাপিও। বিভিন্ন রঙ থাকলেও সাদার পরিমাণটাই বেশি লক্ষ করা যায়। এটাই সেই সাদা মাটির পাহাড়। ছোটবেলায় পরিবেশ পরিচিতি সমাজ বইয়ে পড়েছিলাম চিনামাটির পাহাড় বিজয়পুরের কথা। এই চিনামাটির পাহাড়টিই হল সাদা মাটির পাহাড়।

পাহাড়ি রাস্তায় চোখে পড়ল আদিবাসীদের যাতায়াত। নারী আর শিশুই বেশি। পিঠে ঝুড়ি নিয়ে তারা যাচ্ছে সীমান্তের বাজারে। পাহাড় চূড়ায় গড়ে ওঠা মিশনটির পূর্ব পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খরস্রোতা পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরী। পা বাড়ালেই ভারতের মেঘালয় রাজ্য। এখান থেকেই উপভোগ করা যায় পাহাড় আর মেঘের খেলা। বিজয়পুরে ঢুকতেই সোমেশ্বরী নদীর পাড়। তার টলটলে পানি দেখে মন ভরে যাবে। এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেল এই নদীর বালু দিয়ে বেশ কার্যকর দালানকোঠা নির্মাণ করা হয়। শুষ্ক মৌসুমে নদীর বালুতে মিশে থাকে কয়লা। শুধু নদীর বালু নয় পাহাড় থেকে মাটি নিয়েও বিভিন্ন কাজে লাগানো হচ্ছে। এই মাটির উপরেই নির্ভর করে আছে বাংলাদেশের সিরামিক কোম্পানিগুলো।

অঞ্চলটির এক পাশে সরু ফালির মতো বয়ে যাচ্ছে খরস্রোতা নদীটি। খেয়া নৌকায় পার হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। এই জায়গাটা নতুন যে কারও কাছেই অপূর্ব লাগবে। নদী-চর-গ্রাম নিয়ে যারা ‘অভিজ্ঞ’, তাদেরও ভালো লাগবে সোনালি-লাল বালু। ভারতের সীমান্তবর্তী বিজয়পুর এবং আরও কিছু এলাকায় আছে সাদামাটির পাহাড়।