চবি ক্যাম্পাসকে আবারো অবরুদ্ধ করলো ছাত্রলীগ

0
108


শহিদুল সুমন,চবি

আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সহ- সম্পাদক ও চবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাসির হায়দার বাবুলকে জুতার মালা পরিয়ে লঞ্চিত করার ঘটনায় প্রক্টর অফিস থেকে চবি ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীকে শোকজ করার প্রতিবাদে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগের একাংশ। এসময় অবরুদ্ধ ক্যাম্পাস আরো অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
রোববার দুপুর ১টার দিকে চবি ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সাব্বির আহমেদের অনুসারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। একই সময় তারা কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী ও প্রশাসনিক ভবনের গেটেও তালা দেয়।

এদিকে পঞ্চম দিনের মতো চলছে চবি ছাত্রলীগের অপর অংশের অবরোধ কর্মসূচী। ছাত্রলীগের এ অংশের নেতৃত্বে রয়েছেন চবি ছাত্রলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক সুমন মামুন। অবরধের অন্যান্য দিনের মত আজও ক্যাম্পাস ফাঁকা। পঞ্চম দিনের অবরোধেও ষোল শহর থেকে ছেড়ে আসেনি কোন শাটল ট্রেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও ছেড়ে যায়নি কোন শিক্ষক বাস।আনুষ্ঠিত হয়নি কোন পরীক্ষা ও ক্লাস। ফলে সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়েছে ক্যাম্পাস
এ ব্যাপারে চবি ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক জালাল আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা লঞ্চিত করার ঘটনায় জড়িতদের কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে। গ্রহণযোগ্য একটি বিচারের পরও কিসের দাবিতে তারা আন্দোলন করছে তা আপনারা সবাই জানেন।
তালা দেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রশাসনকে বেঁধে দেওয়া আমাদের ৭২ ঘন্টা শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার শুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ব্যার্থ হয়েছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে মূল ফটকে তালা দিয়েছি।
এদিকে শনিবার চবি ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সাব্বির আহমেদের ৬ অনুসারী রুবেল দে, কাউসার মিয়া, ফরহাদ হোসেন, মোহাম্মদ রাসেদ হোসেন, সহেল খান ও আসিফুজ্জামান আসিফকে নাসির হায়দার বাবুলকে লাঞ্চিত করার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে শোকজ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিস। তাদেরকে কেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
নাসির হায়দার বাবুলকে লাঞ্চিতকারীদের ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কার, প্রক্টরের পদত্যাগসহ ৭ দফা দাবিতে টানা ৫ দিন ধরে অবরোধ পালন করছে চবি ছাত্রলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক সুমন মামুনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একটি অংশ।
এ ব্যাপারে চবি ছাত্রলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক সুমন মামুন বলেন, প্রশাসন যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি গুলো মেনে নিবে না ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।