অবশেষে চালু হচ্ছে লাকসাম-চিনকি আস্তানা ডাবল লাইন

0
63

কয়েকবার পিছিয়ে যাওয়ার পর অবশেষে চালু হচ্ছে লাকসাম-চিনকি আস্তানা ডাবল লাইন। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো.মুজিবুল হক।

রেলের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, লাকসাম-চিনকি আস্তানা ডাবল লাইনের কাজ শেষ পর্যায়ে। এছাড়া চট্টগ্রাম স্টেশনের রি-মডেলিং প্রকল্পের কাজ ৯৯ শতাংশ শেষ হয়েছে।

রোববার বিকেলে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে রেলমন্ত্রী মো.মুজিবুল হক সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

এরআগে গভর্নমেন্ট ইন্সপেক্টর অব বাংলাদেশ রেলওয়ের (জিআইবিআর) কাছে প্রকল্পের ৪০ কিলোমিটার অংশের প্রতিবেদন দেয়া হলেও অনুমোদন না পাওয়ায় প্রকল্পটির খণ্ডিত অংশ ঘোষিত সময়ে চালু করতে পারেনি রেলওয়ে।

ফলে লাকসাম-চিনকি আস্তানা ডাবল লাইন প্রকল্পের উদ্বোধন পিছিয়ে যায়। গত ২০ সেপ্টেম্বর ডাবল লাইনের আংশিক অংশ ট্রেন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার কথা ছিল।

প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পর লাকসাম-ফেনী অংশ ট্রেন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক লেয়াকত আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে চালুর সময় থেকে সিবিআই পদ্ধতি কার্যকর হলে ডাবল লাইনের শতভাগ সুফল পাওয়া যাবে।

জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৬১ কিলোমিটার মেইন লাইন ও ১১ কিলোমিটার লুপ লাইন নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে লাকসাম থেকে চিনকি আস্তানা পর্যন্ত ৬১ কিলোমিটার নতুন মিটার গেজ রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে।

১১টি নতুন স্টেশন বিল্ডিং, প্লাটফরম, ফুটওভার ব্রিজ ও যাত্রী যাতায়াতের অত্যাধুনিক ব্যবস্থা এবং ১১টি স্টেশনেই কম্পিউটারাইজড সিগন্যালিং ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি আধুনিক পদ্ধতিতে ট্রেন চলাচলে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাও থাকবে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮-এর জুলাইয়ে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০১৩ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাবে ২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ধীরগতির কারণে প্রকল্পটি বর্ধিত সময়েও শেষ করতে পারেনি রেলওয়ে।

১ হাজার ৫২৫ কোটি ৩২ লাখ টাকার রেলের এ মেগা প্রকল্পে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ৫৯৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা প্রকল্প-সহায়তা দিচ্ছে। বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকার ব্যয় করছে।

২০১১ সালের ২ নভেম্বর প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে ও চীনের মেসার্স সিআরএম জয়েন্ট ভেঞ্চারের (সিআরএমআইই চায়না, রেনক্যান চায়না ও এমপিএল বাংলাদেশ) মধ্যে ২০১১ সালের ১৭ অক্টোবর চুক্তি সই হয়। প্রকল্পের অধীনে রেলপথে আটটি বড় সেতু, ৩৪টি কালভার্ট ও ১১টি পাইপ কালভার্ট নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

রেলওয়ের তথ্যমতে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যেতে প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনের সময় লাগে প্রায় ৭ ঘণ্টা। কিন্তু লাকসাম-চিনকি আস্তানা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ১ ঘণ্টা কমে আসবে।