অর্ধবার্ষিক ব্যবসায়িক ফলাফল প্রকাশ করল হুয়াওয়ে

0
47

উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন স্মার্টফোন বাজারের প্রবৃদ্ধির কারণে বেড়েছে স্মার্টফোনের আয় ও মার্কেট শেয়ার

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসের আয়ের ব্যবসায়িক ফলাফল আজ প্রকাশ করেছে হুয়াওয়ে কনজ্যুমার বিজনেস গ্রুপ। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসের বিক্রিত পণ্য থেকে ১০৫.৪ বিলিয়ন চাইনিজ ইয়েন আয় করেছে হুয়াওয়ে যা গত বছরের তুলনায় ৩৬.২ শতাংশ বেশি। পাশাপাশি গত বছরের তুলনায় ২০.৬ শতাংশ বেশি স্মার্টফোন রপ্তানী করেছে প্রতিষ্ঠানটি যার পরিমান ৭৩.০১ মিলিয়ন।

হুয়াওয়ে কনজ্যুমার বিজনেস গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিচার্ড ইউ বলেন, “বিশ^ব্যাপি সংশ্লিষ্ট খাত ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন স্মার্টফোনের বাজারে সবাইকে পেছনে ফেলে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি করেছে আমাদের কনজ্যুমার বিজনেস গ্রুপ। এ অব্যাহত প্রবৃদ্ধিই হচ্ছে ব্র্যান্ড হিসেবে হুয়াওয়ে যে শক্ত অবস্থানে আছে এবং গ্রাহকদের জন্য প্রিমিয়াম ও বাজারে নতুন ডিভাইস নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা রাখছে তারই প্রমাণ।”

ইন্টারন্যাশনাল ডাটা কর্পোরেশন (আইডিসি)-এর তথ্য মতে, ২০১৭ সালের প্রথম প্রান্তিকে স্মার্টফোনের বিশ^বাজারে হুয়াওয়ের মার্কেট শেয়ার বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৯.৮ ভাগ। উল্লেখযোগ্য হারে মধ্যম ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন স্মার্টফোন বিক্রির মাধ্যমে এ সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে হুয়াওয়ে। বৃহত্তর চীনের মোট স্মার্টফোন বাজারের ২২.১ শতাংশ দখল করে আছে হুয়াওয়ে এবং গত বছরের তুলনায় রপ্তানী বৃদ্ধি পেয়েছে ২৪ শতাংশ। অবাক হওয়ার মতো রপ্তানী বৃদ্ধি পেয়েছে ইউরোপে। ইউরোপে স্মার্টফোন রপ্তানী গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ১৮ শতাংশ। পাশাপাশি মধ্য, পূর্ব এবং নর্ডিক ইউরোপেও হুয়াওয়ে স্মার্টফোনের রপ্তানী বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া এশিয়ার বাজার যেমন- থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে হুয়াওয়ে কনজ্যুমার বিজনেস গ্রুপ। রাশিয়াতেও প্রবৃদ্ধি হয়েছে চোখে পড়ার মতো। জিএফকে ও সিনোর গবেষণা অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত চীনের বাজারে অনলাইন স্মার্টফোন বিক্রির তালিকা ও আয়ের দিক থেকে হুয়াওয়ের অনার ব্র্যান্ডটি শীর্ষে রয়েছে।

২০১৭ সালে ব্র্যান্ডজি-এর তালিকায় সেরা ১০০ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ক্ষমতাধর ব্র্যান্ড হিসেবে ৪৯তম স্থানে রয়েছে হুয়াওয়ে। ফোর্বসের শীর্ষ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্র্যান্ডের তালিকায় ৮৮তম এবং ব্র্যান্ড ফিন্যান্স গ্লোবালের সেরা ৫০০টি ব্র্যান্ডের তালিকায় ৪০তম স্থানে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

 

ইউ আরো বলেন, “মান, অভিজ্ঞতা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করায় বিশে^ হুয়াওয়ের গ্রহণযোগ্যতা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, পরিধানযোগ্য ডিভাইস ও কম্পিউটিং-এ গ্রাহকদের প্রিমিয়াম পণ্য ব্যবহারের অভিজ্ঞতা দিতে পারায় হুয়াওয়ের প্রতি গ্রাহকদের বিশ^াযোগ্যতা চলে এসেছে।”

ব্র্যান্ড হিসেবে যেভাবে হুয়াওয়ের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাচ্ছে, ঠিক সেভাবেই প্রতিষ্ঠানটির বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া বিশ^ব্যাপি হুয়াওয়ের উচ্চমানের রিটেইল নেটওয়ার্ক বিস্তার নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৭ সালের শেষ নাগাদ ৫৬,০০০ রিটেইল স্টোর স্থাপনের প্রস্তুতি নিয়েছে হুয়াওয়ে, গত ২০১৬ সালের মে মাসে রিটেইল স্টোরের সংখ্যা ছিলো ৩৫,০০০। উক্ত স্টোরগুলো উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রিমিয়াম ডিভাইস প্রস্তুতকারী হিসেবে হুয়াওয়েকে বিশ^ব্যাপি পরিচয় করিয়ে দেয়।

আগামিতে ‘স্মার্ট অ্যারা’-কে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং প্রযুক্তিসম্বলিত ডিভাইস তৈরি নিয়ে কাজ করছে হুয়াওয়ে, যা প্রতিষ্ঠানটিকে কয়েকগুণ সামনের দিকে নিয়ে যেতে ভূমিকা রাখবে। ব্যবহারকারীদের চাহিদাকে মাথায় রেখে ইন্টেলিজেন্ট ডিভাইস তৈরিতে কাজ করছে যা, মানুষের কাজ ও জীবনধারায় সঙ্গে মিশে যাবে।

সেন্সর, ডাটা ম্যানেজমেন্ট এবং উচ্চমানের কিরিন চিপসেট বাজারে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে বিশ^ব্যাপি হুয়াওয়ের ১৫টি গবেষণা কেন্দ্র ও ৩৬টি জয়েন্ট ইনোভেশন সেন্টার কাজ করছে। এছাড়া বিশ^খ্যাত প্রতিষ্ঠান লাইকা, ডলবি, মাইক্রোসফট, ইন্টেল ও গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিলে নিজস্ব উদ্ভাবনী পণ্য নিয়ে আসছে হুয়াওয়ে।

উল্লেখিত সকল প্রচেষ্টার মাধ্যমে গ্রাহকদের খুশি রাখা, সংশ্লিষ্ট খাতে প্রতিযোগিতা করা এবং উন্নত সংযুক্ত বিশ^ গড়ায় দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ হুয়াওয়ে।
-শেষ-

হুয়াওয়ে কনজিউমার বিজনেস গ্রুপ
হুয়াওয়ে বর্তমানে ১৭০টিরও বেশি দেশে নিজেদের পণ্য ও সেবা পরিচালনা করছে, যেখানে সারাবিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ অন্তর্ভুক্ত। গত বছর সারাবিশ্বে তৃতীয় সর্বোচ্চ মোবাইল ফোন রফতানি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, সুইডেন, রাশিয়া, চীন ও ভারত মিলে বর্তমানে হুয়াওয়ের ১৫টি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আরঅ্যান্ডডি) সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। তৃতীয় বিজনেস ইউনিট হিসেবে হুয়াওয়ে কনজিউমার বিজি-এর আওতায় আছে স্মার্টফোন, মোবাইল ব্রডব্যান্ড ডিভাইসেস, হোম ডিভাইসেস এবং ক্লাউড সার্ভিসেস। প্রায় ২০ বছর ধরে টেলিকম খাতে সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ের গ্লোবাল নেটওয়ার্ক। সারাবিশ্বের মানুষকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে অগ্রগামী করার জন্য হুয়াওয়ে নিরলসভাবে কাজ করছে।>>প্রেস রিলিজ