আখের টাকা না পেয়ে ক্ষুব্ধ চাষিরা

0
111

২০১৮-১৯ মৌসুমে ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ চিনিকল কর্তৃপক্ষের কাছে আখ চাষিদের পাওনা রয়েছে প্রায় ২৮ কোটি টাকা। প্রতিদিন কারখানায় ধর্ণা দিলেও মিলছে না ঘাম ঝরানো পাওনা টাকা। চাষাবাদের মুলধন হারিয়ে অনেকটাই দিশেহারা কৃষক। দ্রুত টাকা পরিশোধ করা না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন কৃষক নেতারা। অবশ্য মিল কর্তৃপক্ষ বলছে, শিগগিরই কৃষকের টাকা পরিশোধ করা হবে।

ভাগ্যের নিমর্ম পরিহাস জানালেন কালীগঞ্জের বলিদাপাড়া গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন। জমানো টাকা দিয়ে চলতি মৌসুমে ৫ বিঘা জমিতে আখ চাষ করেন তিনি। নির্দিষ্ট সময়ে চিনিকলে আখ সরবরাহ করলেও আজও মেলেনি প্রাপ্য টাকা।

আনোয়ারের মতো জেলার সাড়ে ৫ হাজার কৃষকের ভাগ্যেও ঘটেছে একই ঘটনা। পাওনা টাকা না পেয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে তাদের। পাওনা প্রায় ২৮ কোটি টাকার আশায় প্রতিদিন মোবারকগঞ্জ চিনিকলে যাচ্ছেন তারা। কিন্তু ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে।

এক আখচাষি জানান, সাড়ে চার লাখ টাকা পাবো। এই টাকা এখন আমার খুব দরকার। টাকা দেওয়ার কোনো নাম নাই। চাইলে বলে, এই দিবো এই দিবো।

কৃষক নেতারা বলছেন, দ্রুত টাকা পরিশোধ করা না হলে কঠোর আন্দোলনে নামবেন তারা।

মোবারকগঞ্জ চিনিকল আখচাষি কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মন্টু বলেন, মিলের কাছে পাওনা, আমরা সেই টাকা পাচ্ছি না। এবং অচিরেই আমাদের এই টাকা পরিশোধ না করলে, আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো।

মিল কর্তৃপক্ষের দাবি, উৎপাদিত চিনির দাম বেশি হওয়ায় তা বিক্রি হচ্ছে না। তবে শিগগিরই কৃষকদের প্রাপ্য টাকা দেয়া হবে।

ঝিনাইদহ মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইউসুফ আলী শিকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরে শিল্প মন্ত্রণালয় হয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা আছে, সেই ৫০০ কোটি টাকা ছাড় হলে তখন কৃষকের টাকা পরিশোধ করতে পারবো।

গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ৮ হাজার ১’শ মেট্টিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শুরু হয় ২০১৮-১৯ মাড়াই মৌসুম।