আদিবাসী গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ

0
52

সীতাকুণ্ড উপজেলার ছোট কুমিরা এলাকায় অপহরণের পর পাহাড়ে নিয়ে এক ত্রিপুরা আদিবাসী গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এঘটনা ঘটে।

এঘটনায় দুই আদিবাসী যুবকের নাম উল্লেখ করে মোট সাতজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন ভিকটিমের স্বামী শোভন ত্রিপুরা। তবে পুলিশ এঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী শোভন ত্রিপুরা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শোভন ত্রিপুরা উপজেলার ছোট কুমিরা এলাকায় জিপিএস স্টিল মিলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। তাদের গ্রামের বাড়ী চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার পাহাড় সংলগ্ন ত্রিপুরা পল্লীতে। চাকুরির সুবাধে তিনি স্ত্রী রণিকা ত্রিপুরাকে (১৯) নিয়ে গুলআহম্মদ জুট মিলসের পূর্ব পাশে ত্রিপুরা পল্লীতে একটি কাঁচা ঘরে ভাড়া থাকতেন।

বৃহস্পতিবার রাতে একদল দুর্বৃত্ত ঘরের বেড়া কেটে ভেতরে ঢুকে শোভন ত্রিপুরাকে কুপিয়ে আহত করে ঘরের মধ্যে বেঁধে রাখে। পরে অস্ত্রের মুখে শোভনের স্ত্রী রণিকাকে অপহরণ করে পাশের পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে দল বেঁধে সাতজন মিলে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে শুক্রবার ভোরে পুলিশ ধর্ষিতাকে পাহাড় থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে থানায় আনে এরপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠায়।

এ ঘটনায় ধর্ষিতার স্বামী শোভন ত্রিপুরা স্থানীয় মনিন্দ্র ত্রিপুরা (২৩) ও যতীন্দ্র ত্রিপুরা (২২) নামে দুই জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো পাঁচ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন সীতাকুণ্ড মডেল থানার সহকারি পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম।

তিনি বাংলামেইলকে বলেন, ‘ছোট কুমিরায় স্বামীকে আহত করে পাহাড়ে নিয়ে অপহরণের পর এক আদিবাসী নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ জোরদার অভিযান চালাচ্ছে।’