আমাকে কেউ আঘাত করেনি: সুধীর

0
153

সুধীরবাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজধানী মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশি সমর্থকদের হাতে ভারতীয় সমর্থক সুধীর গৌতমের উপর আক্রমণের খবর নিয়ে দুদেশর গণমাধ্যমের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। আক্রমণের খরব আদৌ সত্য কিনা এ বিষয়ে বহু বির্তক রয়েছে।

সুধীর’ নিয়ে অস্থির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনলাইন জগৎ। সবচেয়ে বেশি শোরগোল হচ্ছে এবিপি নিউজের ভিডিওটি নিয়ে। কারণ ভিডিওটির আপলোড করার সময় নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি। তবে সে দিন কী ঘটেছিলো এ বিষয়ে বাংলাদেশের পুলিশ গৌতমের সাথে কথা বলেছে।

ইন্ডিপেনডেন্ট টেভিশিনের এক সাক্ষাৎকারে সুধীর গৌতম বলেন, ‘শারীরিকভাবে আমাকে কেউ আঘাত করেনি।’

তবে তিনি জানান, খেলা দেখে বের হওয়ার সময় কয়েজন বাংলাদেশি সমর্থকদের সঙ্গে আমার লেগেছিলো। এতে আমি মাটিতে পড়ে যাই এবং ভয় পাই। পরে একিটি সেলুনে যাই। সেখান থেকে দুইজন পুলিশ আমাকে এক নম্বর গেটে নিয়ে আসেন।এবং সেখান থেকে একটি সিএনজি করে আমাকে হোটেলে পাঠিয়ে দেয়। এ সময় আমার সিএনজিতে ঢিল ছুড়ার শব্দ পাই।

এবিষয়ে মিরপুর জোনের এডিসি মাসুদ আহমেদ জানান, বাংলাদেশ জিতে যাওয়ার পর বাংলাদেশের সমর্থকরা প্রধান রাস্তাতে আনন্দ উল্লাস করছিলেন। তখন ওনি(সুধীর গৌতম) বের হচ্ছিলেন তখন সবাই বিভিন্ন গ্রুপে গ্রুপে আনন্দ উল্লাস করছিলো। ওনি(সুধীর গৌতম) যখন বের হয়ে একটা সেলুনে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছিলেন, তখন সেখান থেকে দুইজন পুলিশ সুধীরকে এক নম্বর গেটে নিয়ে আসেন।এবং সেখান থেকে একটি সিএনজি করে তাকে প্রিন্স হোটেলে পাঠিয়ে দেন।

তিনি আরও বলেন, তবে ঢিল ছুড়ার যে কথাটি ওঠেছে, তা হচ্ছে বাংলাদেশি সমর্থদের বাধ ভাঙ্গা উল্লাসে সময় হয়তো কেউ ঠিল ছুড়ে মেরে থাকতে পারে। তবে লাঠি দিয়ে সিএনজিতে আঘাতের বিষয়টি হচ্ছে খেলা দেখতে আসার সময় অনেকেই পতাকা নিয়ে আসেন। সেই পতাকার সাথে যে লাঠি থাকে তা দিয়ে হয়তো দুষ্টামি বসত কেউ আঘাত করে থাকতে পারে। তবে এসব কিছুই হয়েছে আনন্দ-উল্লাসের বহি:প্রকাশ। কেউ উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে করেনি।