আমি সেদিনের বিভীষিকাময় ঘটনার একজন ভুক্তভোগী

0
94

গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘আমি সেদিনের বিভীষিকাময় ঘটনার একজন ভুক্তভোগী ও গণহত্যা মামলার সাক্ষী। শেখ হাসিনার গাড়িবহর লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি করে পাখির মতো মানুষ হত্যা করা হয়েছিল’

শুক্রবার (০২ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর আদালত ভবনের প্রবেশপথে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) তত্ত্বাবধানে স্মৃতিসৌধ নির্মাণকাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে লালদীঘি মাঠে জনসভায় ভাষণ দিতে আসেন। পতেঙ্গা বিমানবন্দর থেকে একটি খোলা ট্রাকে নেতাদের নিয়ে তার গাড়িটি কোতোয়ালি  মোড় পার হতেই পুলিশ নির্বিচারে গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকল। সেখানে অন্তত ২৪ জন প্রাণ হারান। প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আমিও ছিলাম সেই ট্রাকে।

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় সরকারি মুসলিম হাইস্কুল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আমরা লালদীঘিতে সমাবেশ আহ্বান করেছিলাম। সেদিন আমি দেখেছিলাম নেত্রীর সাহস।

মাইকে তিনি পুলিশের উদ্দেশে বারবার বলছিলেন, মোশাররফ ভাইয়ের ওপর হাত তুলবেন না, হাত তুলবেন না। নেত্রীকে টার্গেট করে গুলি করার সময় এক পুলিশ রাইফেলের কানেকশন বেল্ট খুলে ফেলায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। এরপর আইনজীবীরা  নেত্রীকে স্কট করে আদালত ভবনে নিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন। ওই দিন ২৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল।

মন্ত্রী আরও বলেন, সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মরহুম এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী সেদিনের সব বীর শহীদদের স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। আজ অনেক দেরিতে হলেও সেদিনের বীর শহীদদের স্মরণে স্মৃতিসৌধ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করতে পেরেছি। এ জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম ও বোর্ড সদস্যদের ধন্যবাদ জানাই। এই স্মৃতিসৌধ একটি ইতিহাস, এই ইতিহাস আগামী প্রজন্মকে জানাতে যেন-তেন ভাবে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ না করে সুন্দর, শৈল্পিক, দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিসৌধ নির্মাণের অনুরোধ রইল।