আম, লিচুর বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা

0
82

কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া প্রতিনিধি:
প্রকৃতির অপরূপ শোভায় শোভিত কক্সবাজারের সর্ববৃহত্তম পর্যটন এলাকা উখিয়া ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে লিচু ও আম্রকাননে। উর্ভর মাঠি সম্পন্ন এ উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে বসত ভিটা ও বাণিজ্যিক ভাবে গড়ে উঠা বাগানে লিচু ও আমের মুকুলে গাছ নুয়ে পড়েছে। গতকাল হালকা বৃষ্টিতে মৌসুমী ফলজ বাগান পেয়েছে নতুন প্রাণের সঞ্চার। আম, লিচুর বাম্পার উদ্পাদনে সম্ভাবনা দেখে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।
থাইংখালী গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা হাটহাজারী কৃষি অফিসে দায়িত্বপালনরত কৃষিবীদ জামাল উদ্দিন ছুটিতে এসেছিলেন নিজ বাড়িতে। আম লিচু গাছে অস্বাভাবিক মুকুল দেখে তিনি বলেন, আমের মুকুল ও কুড়ির জন্য আবহাওয়া এখন সম্পূর্ণ অনুকুলে। তিনি বলেন, অতিরিক্ত ঝড় বৃষ্টি ও প্রাকৃতির দূর্যোগ না হলে উৎপাদিত আম, লিচু স্থানীয় চাহিদা পুরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান করে চাষীরা আর্থিক ভাবে লাভবান হতে পারবে। রতœাপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল কবির চৌধুরী স্বভাবগত ভাবে একজন আম, লিচু ও ফলজবৃক্ষ প্রিয় চাষী। তার বাগানে আম, লিচু, পিয়ারা, আনারস, কমলা, মুচাম্বি, টাম সহ প্রভৃতি ফল উৎপাদন হয়ে থাকে। তিনি জানান, তার পরিচালনায় প্রতিষ্ঠিত আলহাজ্ব আনিসুর রহমান ইয়াহিয়ার মালিকানাধীন ৫০ একর আম্রকাননে এবার যে পরিমাণ মুকুল পড়েছে তা যদি সংরক্ষন করা সম্ভব হয় তাহলে চলতি মৌসুমে ১০ লক্ষ টাকার আম উৎপাদন ও বাজারজাত করণ সম্ভব হবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ সূত্রে জানা যায়, আম লিচু ভাল ফলন নিশ্চিত করতে স্থানীয় চাষীরা ইতিমধ্যে কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী আমের মুকুল ও কুড়ির পরিচর্যার পাশাপাশি পোকা ও ছত্রাকনাশক ¯েপ্র করার শুরু করেছে। উখিয়া সংলগ্ন ঘুমধুমে বাণিজ্যিক ফলজ বাগানের ইয়াহিয়া গ্র“পের পরিচালক ছৈয়দ আলম জানান, তারা এবার পরীক্ষামূলক ভাবে প্রায় ৮০ একর পাহাড়ী এলাকায় আমের কলপ দেওয়া চারা রোপন করেছে। তিনি বলেন, সঠিক পরিচর্যার কারণে মাত্র ৩ মাসের ব্যাবধানে কলপ দেওয়া চারা গাছে এত মুকুল হয়েছে যা আমের ভারে গাছ শুদ্ধ নুয়ে পড়তে পারে। এ আশংখায় প্রতিটি গাছের সাথে খুটি বেধে আমগাছ বেঁধে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, তার বাগানে আম, লিচু কমলা, পিয়ারা, মুচাম্বি, পেপে সহ প্রায় ৪০ প্রজাতির ফলজ গাছ আছে।
বাণিজ্যিক ভাবে উদ্পাদন ছাড়াও প্রাকৃতিক উপায়ে বাসাবাড়ি, রাস্তার ধারে পরিত্যক্ত স্থানে প্রভৃতি এলাকায় এবার আশাতিত আমের মুকুল হওয়ার কারণে অনেকে মতামত ব্যক্ত করে বলেন, যে বছর আমের মুকুল বেশি হয় সে বছর ঘন ঘন প্রাকৃতিক দূর্যোগ হয়। তা যদি হয়ে থাকে আম লিচুর মুকুল ঝরে পড়ে আকাল দেখা দিতে পারে। উখিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার শরিফুল ইসলাম জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার আম, লিচুর বাম্পার উদ্পাদন হবে। তিনি বলেন, রোগ বালায় মুক্ত বাগান পরিচর্যার মাধ্যমে উৎপাদন বাড়াতে কৃষি অফিসের মাঠ পর্যায়ে কর্মীরা সক্রিয় রয়েছে।