আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার ‘টার্মিনেটর’ আসছে

0
183

এই শতাব্দী পর্যন্ত যে হলিউডি সিনেমার সিরিজ ছড়িয়েছে উত্তাপ ও উত্তেজনা, ঘটিয়েছে চিন্তা ও বিজ্ঞানের অপূর্ব সমন্বয় সেটি হলো ‘টার্মিনেটর’।
আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার
আর এই সিনেমায় সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়েছে আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার অভিনীত রোবট চরিত্রটি।

গত শতাব্দীর হলেও এই শতাব্দীতেও এসে সিনেমায় তার চরিত্রের মতো অনেক কিছুই রয়ে গেছে একই। গল্পের প্রেক্ষাপটও তাই। চলছে মানুষ আর মেশিনের যুদ্ধ।

সম্প্রতি এই সিরিজের নতুন সিনেমা ‘টার্মিনেটর জেনিসিস’ মুক্তি পেয়েছে। এই পর্বের কিছু মজার টুকিটাকি…

১. ছবির গোপনীয়তার স্বার্থে শ্যুটিংয়ের সময় ‘টার্মিনেটর জেনিসিস’র ছদ্মনাম ছিল ‘ভিস্তা’।

২. ‘টার্মিনেটর জেনিসিস’র জন্য আর্নল্ডকে টানা ছয় মাস প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা করে ব্যায়াম করতে হয়েছে। কারণ যেকোনও উপায়ে ২০০৩ সালের ‘টার্মিনেটর থ্রি: রাইজ অব মেশিন’র সেই শরীর তার বানাতেই হতো।

৩. প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে এ ছবির আরও দুটো সিক্যুয়েলের কাজ শুরুর সবুজ সংকেত দিয়েছে। কেননা ২০১৯ সালে এ সিরিজের কপিরাইট চলে যাবে প্রথম পর্বের প্রযোজক জেমস ক্যামেরনের হাতে।

৪. এ ছবিতে ১৯৮৪ সালের কিছু দৃশ্য পুনরায় ধারণ করতে হয়েছে। এর জন্য ওই সময়কার নাইকির ভ্যান্ডাল ব্র্যান্ডের একটা জুতোর দরকার ছিল। অনুরোধের কারণে হুবহু ওই জুতোটাই ২৫ জোড়া তৈরি করে নাইকি।

৫. ‘টার্মিনেটর জেনিসিস’র ঠিক ১২ বছর আগে ‘টার্মিনেটর থ্রি’তে অভিনয় করেছিলেন আর্নল্ড। তারও ঠিক ১২ বছর আগে ‘টার্মিনেটর-২’তে অভিনয় করেছিলেন তিনি। মাঝে ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘টার্মিনেটর স্যালভেশন’-এ তাকে পাওয়া যায়নি।

৬. শোনা যাচ্ছে, এর পরের ছবিটাই টার্মিনেটর হিসেবে আরনল্ডের শেষ ছবি।

৭. সিনেমার সেটে সবসময় একদল ভিডিও গেম ডেভেলপারও ছিল। কারণ এ ছবির আদলে পরে যদি গেম তৈরির দরকার হয় তখন এ অভিজ্ঞতা তাদের কাজে লাগবে। –