আলোচিত এডিসি বাবুল আক্তার স্বপদে ফিরেছেন

0
123

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-সিএমপিতে স্বপদে ফিরেছেন অপরাধ দমনের জন্য পুলিশের সবচেয়ে বেশিবার পুরুস্কারপ্রাপ্ত আলোচিত অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) বাবুল আক্তার। তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের উত্তর ও দক্ষিণ জোনের এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তার সাথে গোয়েন্দা বিভাগের বন্দর ও পশ্চিম জোনের দায়িত্ব পালন করবেন স্বপদে থাকা এডিসি তানভীর আরাফাত।

বাবুল আক্তারসেমাবার সন্ধ্যায় সিএমপি কমিশনার আব্দুল জলির মন্ডল এ আদেশ দেন। একই সাথে তিন সহকারি কমিশনারের পদেও রদবদল করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অর্থ ও প্রশাসন) এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, ‘সিএমপির গোয়েন্দা বিভাগকে চারভাগে বিভক্ত করে উত্তর ও দক্ষিণ জোনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশন থেকে সদ্য যোগদানকারী এডিসি বাবুল আক্তারকে। আর পশ্চিম ও বন্দর জোনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এডিসি তানভীর আরাফাতকে।’

তিনি অারো বলেন, ‘এসি প্রসিকিউশন নজরুল ইসলাম অবসরকালীন ছুটিতে যাওয়ায় তার স্থলে এসি (সম্পত্তি) নিমলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তীকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে সিএমপিতে নতুন যোগ দেয়া রহুল আমীনকে এসি (সম্পত্তি) পদে পদায়ন করা হয়েছে। আর বন্দরের এসি জাহাঙ্গীর আলম বদলী হওয়ায় সদ্য পরিদর্শক থেকে পদোন্নতি পাওয়া জাহিদুল ইসলামকে এসি বন্দর হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।’

সিএমপির মূখপাত্রের দায়িত্বে থাকা এডিসি তানভীর আরাফাতকে সরিয়ে ফের সাংবাদিক সমাজের পরিচিত ছাত্রকালীন সময়ে সাংবাদিকতার সথে জড়িত বাবুল আক্তারকেই সিএমপির মুখপাত্রের দায়িত্ব দেয়া হতে পারে বলে সিএমপি সূত্রে জানা গেছে।

সিএমপি সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৪ জুলাই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে যোগ দিয়ে দক্ষিণ সুদান গিয়েছিলেন বাবুল আক্তার। চলতি বছরের ১৫ জুলাই তিনি দেশে ফিরে নিয়ম অনুযায়ী পুলিশ সদর দপ্তরে যোগদান করেন। তবে সিএমপির অপরাধ দমনে আলোচিত চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারকে চাহিদাপত্র দিয়ে সিএমপিতে আনেন পুলিশ কমিশনার আব্দুল জলিল মন্ডল। এরপর ছুটি কাঠিয়ে ২৬ আগস্ট সিএমপিতে অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) হিসেবে যোগ দিলেও তার কোনো পদায়ন হয়নি। ডিবিতে এডিসি তানভীর আরাফাত স্বপদে দায়িত্ব পালন করায় গত ছয় দিনেও বাবুল আক্তারকে পদায়ন করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে সোমবার সন্ধ্যায় গোয়েন্দা পুলিশকে চারভাগে বিভক্ত করে বাবুল আক্তারকে পদায়ন করা হয়। সেই সাথে দায়িত্ব কমিয়ে ডিবিতে বহাল রাখা হয় আরেক এডিসি তানভীর আরাফাতকে।

পুলিশের ২৪ তম ব্যাচের বিসিএস কর্মকর্তা বাবুল আক্তার ২০০৫ সালে পুলিশে যোগ দেন।  সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ শেষে র‌্যাব-২-এ কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর ২০০৮ সালে নগর পুলিশের কোতয়ালী জোনের সহকারি কমিশনার পদে কর্মরত ছিলেন।  এরপর তিনি জেলা পুলিশের হাটহাজারী সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার পদে কর্মরত ছিলেন। পরে পদোন্নতি পেয়ে বাবুল আক্তার দীর্ঘদিন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ মিশনে যাবার আগ পর্যন্ত ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর থেকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) পদে কর্মরত ছিলেন বাবুল আক্তার।

অপরাধ দমনে সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক পিপিএম (সেবা) (২০০৮), ২০০৯ পিপিএম (সাহসিকতা), ২০১০ সালে আইজিপি ব্যাজ, ২০১১ সালে পুলিশের সর্বোচ্চ মর্যাদাশীল পুরস্কার বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (সাহসিকতা)।

বেসরকারি পর্যায়ে ২০১২ সালে সিঙ্গার-চ্যানেল আই (সাহসিকতা) পুরস্কার লাভ করেছেন বাবুল আক্তার। এর মধ্যে চারবার অর্জন করেছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের সেরা সহকারী পুলিশ সুপারের মর্যাদা।