আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদল

0
52

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়
৭ই নভেম্বর সৃষ্টি না হলে এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র রক্ষা হতো না
উক্ত আলোচনা সভা প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর ছাত্রদল নেতা আলিফ উদ্দিন রুবেল। সভাপতিত্ব্ করেন সরকারি আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রী কলেজের আহ্বায়ক আবু বক্কর ছিদ্দিক ও সঞ্চালনা ছিলেন ম, কে জিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক এস এইচ হৃদয় ও সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদককে ইসলাম ফাহিম, সরকারি আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রী কলেজের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আশরাফ, যুগ্ম আহ্বায়ক প্রান্ত, মিজানুর রহমান, জোবায়ের, কাদের, মাসুদ, হৃদয়, সরওয়ার, শহীদ, টিপু প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলিফ উদ্দিন রুবেল বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর বাংলাদেশের জনগন তাদের আত্মপরিচয় খুজে পেয়েছে। জাতি বর্ণ ভাষা নির্বিশেষে আমাদের বাংলাদেশী পরিচয় সেদিনই নির্ধারিত হয়ে গেছে। দেশে ৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত অবস্থা বিরাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সংকট উত্তরনে ৭ই নভেম্বরের চেতনাকে ধারন করে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে, ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে একটি মাইল ফলক। সিপাহী জনতার বিপ্লবের মধ্যদিয়ে সেইদিন বাংলাদেশের ইতিহাসের আরেকটি অধ্যায় রচিত হয়েছে। সেইদিন বাংলাদেশের আপামর সিপাহী-জনতা বিপ্লবের মাধ্যমে বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রবক্তা ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত করেছিলো বাংলার মানুষ। মূলতঃ এই ৭ই নভেম্বরের মধ্যদিয়েই বাংলার মানুষ পরাধীনতার শেকল থেকে মুক্ত হয়েছে। আজ বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দাঁড়ানোর পেছনে যার অবদান সবচেয়ে বেশি তিনি হলেন সফল রাষ্ট্র নায়ক মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
বক্তারা বলেন, দেশ এখন ক্রান্তিকালের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করছে। দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতার দায়িত্বে থাকা এই অনির্বাচিত সরকার দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। ৭ই নভেম্বর সৃষ্টি না হলে এদেশে গণতন্ত্র রক্ষা হতো না, সেদিন জনগণ জিয়াউর রহমানকে তাদের নেতা নির্বাচন করেছিলেন। জনগনের সেই আকাঙ্খাকে ধারন করে জিয়াউর রহমান দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন ।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু কুচক্রি মহলের হস্তক্ষেপে বারবার গণতন্ত্র নস্যাতের পায়তারা চালানো হয়েছে। বর্তমান সরকার দেশের মানুষের ভোটারধিকার হরন করেছে। প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে, এখন তারা নির্বাচনের ভয়ে বিরোধী দলের সংগে আলোচনায় আসতে চায় না ।