ইউক্রেনে জরুরি অবস্থা জারির!

0
131

ইউক্রেনে জরুরি অবস্থা জারির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিচারমন্ত্রী ওলেনা লুকাশ। রাজধানী কিয়েভে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা গত রোববার রাতে তাঁর কার্যালয় ঘেরাওয়ের পর তিনি এ কথা বলেন।
ওলেনা লুকাশ গতকাল সোমবার বলেন, অচলাবস্থা নিরসনে একটি উপায় খুঁজছেন তিনি। তবে তাঁর কার্যালয় ভবন অবরোধমুক্ত না করলে আলোচনা বাতিল করে জরুরি অবস্থা জারি করা হবে।
প্রেসিডেন্ট ভিক্তর ইয়ানুকোভিচ ও বিরোধীদের মধ্যে সমঝোতার লক্ষ্যে আলোচনায় মধ্যস্থতা করছেন লুকাশ। তিনি বলেন, ‘আমার কার্যালয় ভবন থেকে অবরোধ তুলে নেওয়া না হলে আমরা প্রেসিডেন্টকে আলোচনা বন্ধের অনুরোধ করতে বাধ্য হব। একই সঙ্গে ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদকে দেশে জরুরি অবস্থা জারির প্রস্তাব করব।’
এদিকে ইউক্রেনজুড়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। ১০টি শহরে পৌর কর্তৃপক্ষের কার্যালয় ইতিমধ্যে অবরুদ্ধ করেছেন বিক্ষোভকারীরা। রাশিয়াসংলগ্ন পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলোতেই আন্দোলনের তীব্রতা বেশি বলে সংবাদমাধ্যম সূত্র জানিয়েছে।
রাশিয়ার সঙ্গে মৈত্রীর সুবাদে প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচ মস্কোর জোরালো সমর্থন পাচ্ছেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা রাশিয়ার সঙ্গে এ ধরনের সম্পর্ককে নেতিবাচক বলে বিবেচনা করছেন। বিচার মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি সম্পর্কে তাঁদের ভাষ্য, এ আন্দোলন কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। কাউকে আঘাত করা হচ্ছে না বা কোনো সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করতে রাজি না হওয়ায় ইয়ানুকোভিচের বিরুদ্ধে গত নভেম্বর থেকে রাজপথে আন্দোলন শুরু হয়। এ ছাড়া উন্মুক্ত সরকারি জায়গায় তাঁবু খাটানো নিষিদ্ধকরণ ও হেলমেট বা মুখোশ পরিধানে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে গত সপ্তাহে কয়েকটি নতুন আইন প্রণয়নের কারণে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিক্ষোভকারীরা। এসব আইন বাতিলের দাবি ছাড়াও তাঁরা ইইউর চুক্তিটি সই এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া তিমোশেঙ্কোসহ রাজবন্দীদের মুক্তি দাবিতে আন্দোলন করছেন।
প্রেসিডেন্ট অবশ্য বিরোধীদলীয় নেতা আর্সেনি ইয়াৎসেনিউককে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু তিনি অন্যান্য দাবি পূরণের দাবিতে ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। এ ঘটনার পর দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আরও বেড়ে যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হলেও বিরোধীদের মধ্যে কট্টরপন্থী একটি অংশ পুলিশের সঙ্গে লড়াইয়ে লিপ্ত হচ্ছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত সপ্তাহে সংঘর্ষে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। কিন্তু বিরোধীদের দাবি, পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ছয়জন। এএফপি ও বিবিসি।