ইমাম পরিচয়ে জমি দখলের চেষ্টা ‘কথিত’ ইমামকে ধাওয়া

0
112

পেকুয়া প্রতিনিধি
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা জামে মসজিদের ইমাম পরিচয়ে স্থানীয় নিরীহ কয়েক ব্যক্তির মালিকানাধীন ও খতিয়ানভূক্ত চাষাবাদের জমি জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় কথিত ইমাম কর্তৃক নিরীহদের জমি দখলের খবরটি এলাকায় চাউর হয়ে গেলে স্থানীয় শত শত গ্রামবাসী লাটিসোটা নিয়ে এগিয়ে এসে ওই কথিত ইমাম ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের নন্দীর পাড়া গ্রামে।

স্থানীয়রদের সূত্রে জানা গেছে, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের নন্দীর পাড়া গ্রামের গোলাম নবী (৭০), আসাদুল্লাহ (৫০), মতিউদ্দৌল্লাহ ও জাকের হোসেন গংয়ের মালিকানাধীন ১.৩৬ শতক কৃষি জমি জোরপূর্বকভাবে মৌলনা আবদুল কাইয়ূম নামের এক বিতর্কিত ব্যক্তি পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সরকারী মসজিদের ইমাম পরিচয়ে অবৈধ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ১০/১৫ জনের একদল লাটিয়াল বাহিনী গঠন করে জমি জবর দখলের জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। ঘটনা দিন ওই বিতর্কিত ইমাম মৌলানা আবদুল কাইয়ূমের নেতৃত্বে শহিদুল ইসলাম, নুরুল হকসহ আরো ১০/১৫ জনের একদল লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ওই জমি জবর দখলে নিতে যান। মসজিদের ইমাম নেতৃত্ব নিরীহ গ্রামবাসীদের জমি জবর দখলের খবরটি মূহুর্তেই পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে শত শত গ্রামবাসী লাটিসোটা নিয়ে এসে জবর দখলকারী ইমামসহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের ধাওয়া করে। পরে উত্তেজিত গ্রামবাসীদের গণধোলাইয়ের ভয়ে ইমাম পরিচয়ধারী কথিত মৌলনা কাইয়ূম স্বদবলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে পেকুয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের নন্দীর পাড়া ষ্টেশনে ওই দখলবাজ পেকুয়া উপজেলা পরিষদের ইমাম কাইয়ূমের ও গ্রেফতার দাবী করে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধনে স্থানীয়রা আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ওই কথিত ইমাকে উপজেলা মসজিদ থেকে অপসারণ দাবী করেছেন। অন্যতায় কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় নন্দীর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য আসাদুল্লাহ মেম্বার জানান, পেকুয়া উপজেলা জামে মসজিদের পেশ ইমাম পরিচয় দিয়ে অবৈধ ক্ষমতার প্রভাবখাটিয়ে মৌলনা হাফেজ আবদুল কাইয়ুম নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘ দিন ধরে সাধারাণ মানুষের জায়গা-জবর দখলসহ নানান অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার তাদের জমি দখলে নিতে চেষ্টা চালিয়েছে ওই বিতর্কিত ইমাম।

অভিযোগে ব্যাপারে জানতে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের ইমাম পরিচয়ধারী মৌলানা হাফেজ আবদুল কাইয়ূমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কারো জমি দখলের চেষ্টা করিনি; সড়কের পার্শ্বে হওয়ায় সওজের জায়গায় দোকান তৈরী করার জন্য চেষ্টা চালালে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি জমিগুলো তাদের দাবী করে আমাদেরকে ধাওয়া করেছে।