ঈদগাঁওয়ে কলেজ শিক্ষার্থীরা পরিবহন সংকটে

0
43


সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার প্রতিনিধি, চট্রগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে ঈদগাঁওর শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তির শিকার দিনদিন পরিবহন সমস্যা তীব্র থেকে তীব্র আকার ধারণ করছে। একদিকে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্টান বাড়ার সাথে সাথে শিক্ষার্থীও বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ পরিবহন সমস্যার কারণে গরিব ও সাধারণ পরিবারের ছেলে-মেয়েরা নিয়মিত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের প্রতিষ্টানে সঠিক সময়ে পৌঁছতে না পেরে পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যা কারন দেখা গেছে চরম পরিবহণ সংকট। অনেকেই আবার জীবনের ঝুকি নিয়ে চলন্ত বাসে টেলাটেলি করে বাসে উঠার দৃশ্য নিত্য দিনের। যে কোন মুহুর্তে মারাত্বক দূর্ঘটনার আশংকা করছে শিক্ষার্থীরা। জেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ কক্সবাজার সরকারী কলেজ ও সিটি কলেজসহ শহরে ৫টি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্টান রয়েছে। সরকারী কলেজে বর্তমান সরকার ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়তের জন্য একটি বাস সরকারের পক্ষ থেকে কতৃপক্ষকে হস্তান্তর করেছে। এর পূর্বে বিএনপি জোট সরকারও একটি বাস অনুদান দেয়। উক্ত বাস দুইটি শুধুমাত্র কক্সবাজারের পৌর শহরের অবস্থানরত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা যাতায়তের যন্ত্র হিসেবে ব্যাবহার করে সুবিদা ভোগ করলেও জেলার বাকি সাধারণ শিক্ষার্থীরা রয়েছে বঞ্চিত।
এছাড়াও কক্সবাজার শহরে সরকারী পলিটেকনিক কলেজসহ অসংখ্য উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্টানের যাতায়ত সুবিদার অভাবে প্রতিনিয়ত পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া জেলার একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রায় ২০/২৫ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়তে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
কক্সবাজার সরকারী কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতিদিন কলেজে যাওয়ার জন্য রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে কলেজে যেতে হয়। অনেক সময় গাড়ি না পেয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হয়। বাসের ড্রাইভার হেলপারদের নাজেহালের শিকারও হতে হয় রিতিমত ।
কক্সবাজার সিটি কলেজের ছাত্রী রোমানা বলেন, টেলাটেলি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন কলেজে যেতে হয়। অনেক সময় যাত্রী ও গাড়ির হেলপারদের কাছে ছাত্রীরা লাঞ্চিত হয়। সুযোগ বুজে ছাত্রীদের গায়ে স্পর্শও করে থাকে। অনেকবার এসবের প্রতিবাদও করা হয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। যার কারনে অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্টানে পাঠাতে চরম হতাশা ও আতংকে থাকে। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাগবে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ঐ শিক্ষার্থী।