ঈদগাঁও-ঈদগড়-বাইশারী সড়কে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীদের রাজত্ব

0
72

সেলিম উদ্দীন,ঈদগাঁও, কক্সবাজার প্রতিনিধি, ঈদগড় এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা জেল হাজত থেকে সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়ে আবারো সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যে কোন মুহুর্তে ঈদগড়ের বিভিন্ন বসতবাড়ীতে ডাকাতি ও ঈদগাঁও-ঈদগড়-বাইশারী সড়কে যাত্রীবাহী যানবাহনে ডাকাতি অপহরনের মত ঘটনা সংঘটিত করতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে এলাকিবাসী।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সাথে কথা বলে জানা যায়, ঈদগাঁও-ঈদগড়-বাইশারী ২৩ কি:মি: এই সড়কে ৭টি পয়েন্টে গত ২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৪০ জন ও যাত্রীবাহি যানবাহনে ডাকাতি শেষে অস্ত্রের মুখে অপহরন করে মোটা অংকের মুক্তিপন আদায় করেছে সশস্ত্র ডাকাতদল। তারমধ্যে ২০১৪ সালে ১৫ জন ২০১৫ সালে ১৩ জন ২০১৬ সালে ৩ জন ও সর্বশেষ ২০১৭ সালে ৩ জন। এ ছাড়া পাহাড়ী এলাকার ধানক্ষেতের টংঘর থেকে বিভিন্ন সময়ে আরো ৫ জনকে অপহরন করে মুক্তিপন আদায় ও বসতবাড়ীতে শতাধিক ডাকাতি সংঘটিত করেছে ডাকাতদল।
ঈদগাঁও-ঈদগড়-বাইশারী সড়ক ও ঈদগড় এলাকার বিভিন্ন বসতবাড়ীতে ডাকাতিসহ আইনশৃংখলা পরিস্থিতি চরম ভাবে অবনতি হওয়ায় রামু থানার ওসি লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে পুলিশ ঈদগড় এলাকায় ইতিপুর্বে চিরনি অভিযান চালিয়ে চিহ্নিত একাধিক ডাকাত ও সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরন করেন। এরপর দীর্ঘ দিন উক্ত সড়ক ও বসতবাড়ীতে ডাকাতি অপহরন বন্দ ছিল। সম্প্রতি জেলহাজতে থাকা এলাকার চিহ্নিত ডাকাত ও সন্ত্রাসীরা জামিনে মুক্ত হয়ে এসে আবারো সংঘটিত হয়েছে। ফলে আবারো সড়ক ও বসতবাড়ীতে ডাকাতি অপহরন শুরু হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।
ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের পানের ছড়া ঢালা হিমছড়ি ঢালা অর্জুন বাগান গজালিয়া ও ধুমচ্ছাকাটা এই ৫টি পয়েন্টে ও ঈদগড়-বাইশারী সড়কে ভেংডেভা রাস্তার মুখ অলির ঝিরি এই ২ পয়েন্টে ডাকাতদল হানা দিয়ে যাত্রীবাহি যানবাহনে ডাকাতি ও অপহরন করে গহীন অরন্যে নিয়ে মুক্তিপন আদায় করে। উক্ত সড়কে ২টি পয়েন্টে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ১টি টহল পুলিশ চৌকি ও ঈদগড় পুলিশ ক্যাম্পের ১ টি টহল পুলিশ চৌকি থাকলেও বাকী জায়গা অরক্ষিত থাকায় ডাকাতদল নির্বিঘেœ ডাকাতি অপহরন করতে পারে। ঈদগড় ইউনিয়নের আইনশৃংখলা পরিসিস্থতি নিয়ন্ত্রনে রাখার লক্ষে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব লিয়াকত আলী নির্দেশে এস আই সাদেকুর রহমান এএসআই মোরশেদ আলম ও ঈদগড় আরআরএফ পুলিশ ফাঁড়ির আইসি আবুল হাশেম সড়ক ও গ্রামে পুলিশ টহল জোরদার করেছে।
ঈদগড় ইউপি মেম্বার শহিদুল ইসলাম জানান, পুলিশ ইতিপূর্বে অভিযান চালিয়ে এলাকার চিহ্নিত ডাকাত ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরন করেন। ফলে কিছুদিন আমরা শান্তিতে ছিলাম। কিন্তু তারা সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়ে এসে আবারো সংঘটিত হয়েছে। ফলে যে কোন মুহুর্তে সড়ক ও বসতবাড়ীতে ডাকাতি অপহরন শুরু হতে পারে।
ঈদগড় সিএনজি মটর সমিতির সভাপতি আব্দু সালাম জানান, জামিনে মুক্ত হয়ে আসা সন্ত্রাসীদের তালিকা তৈরি করে তাদের উপর নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে।
রামু থানার এএসআই মোরশেদ আলম জানান, যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে ঈদগড়ের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি উন্নত। সড়কে আমাদের পুলিশ টহল জোরদার রয়েছে।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত আলী জানান, বিষয়টি আমাদের গোয়েন্দা নজরদারীতে আছে। অচিরেই ডাকাত ও অপহরনকারীদের গোপন আস্তানা পাহাড় জঙ্গলে চিরুনি অভিযান চালানোর প্রস্তুতি চলছে।