ঈদগাঁও এর নানা সড়ক যেন মরণফাদ

0
88

আলমাছিয়া মাদরাসা সড়ক খানা-খন্দকে ভরপুর

সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও আলমাছিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা সড়কটিতেও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে বর্তমানে সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের ছাত্র-ছাত্রীরা নানা দূর্ভোগ আর দূর্গতি পেরিয়ে প্রতিদিন তাদের প্রিয় শিক্ষাঙ্গনমুখী হতে দেখা যাচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঈদগাঁও বাজারের দক্ষিন পাশের অকেজো সড়ক সংস্কারের দেখা মিললেও আলমাছিয়া মাদ্রাসা সড়কটি বর্তমানে চলাচলের অযোগ্য হয়ে রয়েছে। কোন বিবেকবান বা সুস্থ মানুষ একবার এসব রাস্তা দিয়ে কোনভাবেই যাতায়াত করলে দ্বিতীয়বার সে আর যাবেনা এমনতর অবস্থায় পতিত হয়েছে। মসজিদ সংলগ্ন রাস্তার মাঝ অংশে একটি বড় গর্তের কারনে চলাচলে দারুনভাবে ব্যহত হচ্ছে। সন্ধ্যাকালীন সময়ে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে যেকোন মুহুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনার সম্ভবনা রয়েছে।
পথচারীরা জানান, সড়কের প্রায় অংশে বড় বড় গর্ত আসলেই ঝুকিঁপূর্ন। রক্ষা পেতে হলে সংস্কারের বিকল্প নেই। বর্তমানে মাদ্রাসা সড়কটি সংস্কার অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত মরন দশায় ভোগতে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীসহ অসংখ্য সাধারন মানুষ। তাই দ্রুত সময়ে এ গুরুত্ববহ সড়ক সংস্কারের দাবী জানান স্থানীয়রা।

মেহেরঘোনা সড়ক যেন মরণফাদ!

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও মেহেরঘোনা সড়কটি যেন মরণফাঁদ অথচ দেখার কেউ নেই। বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টিপাতের ফলে খানাখন্দকে পরিণত হয়েছে সড়কটি। যে সড়ক দিয়ে দু-একটি স্কুল- মাদ্রাসাসহ কয়েক এলাকার ১০/১৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করে প্রতিনিয়ত।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন সংস্কার কাজ না হওয়ার ফলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়াও স্থানীয় আমিনা খাতুন নামের মহিলা রাস্তার ৩ ফিট জায়গা ঘেরাও করে রখায় সংস্কার কাজও করা যাচ্ছে না। দখলকৃত রাস্তার জায়গাটি উদ্ধার করে সংস্কার করতে চাইলে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ ঐ মহিলার বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, মানুষ থেকে শুরু করে গাড়ী চলাচলে জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে এ সব এলাকায়। যেদিকে কর্তৃপক্ষের কোন দৃষ্টি নেই। গ্রামীন জনপদের এ রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে কাচা রয়ে গেছে। তাছাড়া যেসব রাস্তায় ইট বসানো হয়েছে তাও দীর্ঘদিন সংস্কার না করার কারণে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। সেই রাস্তা কাদা ও গর্তে পরিনিত হওয়াই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মেহেরঘোনা হযরত আবু বক্কর ছিদ্দিক (রা) ইন্সটিটিউট থেকে জুবাইর ইবনুর আওয়াম (রা) নূরানী মাদরাসা পর্যন্ত পানিবন্যা নামক রাস্তাসহ অধিকাংশ রাস্তার একই অবস্থা। এসমস্ত রাস্তায় চলাচলের পরিবেশ হারিয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিদিন হাজারও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীসহ সাধারন মানুষের। অল্প বৃষ্টি হলেই যেন দূর্ভোগ নেমে আসে এলাকার মানুষের। এই গ্রামীণ জনপদের রাস্তা গুলির বেহাল দশা যেন দেখার কেউ নেই।
সাধারন পথচারীরা বলেন, জনপ্রতিনিধিদের থেকে আমরা কিছুই চাইনা অন্তত আমাদের রাস্তাগুলি একটু চলাচলের উপযুক্ত করে দেবে এমনটা আশাবাদী। আমরা সংশ্লিষ্টদের কাছে এই বেহাল রাস্তাগুলো সংস্কারের ব্যবস্থা করে দ্রুত চলাচলের উপযুক্ত করে দেয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি।
স্থানীয় বাসিন্দা আজিজুর রহমান বলেন, গ্রামীন কাচারাস্তা গুলোর বেহাল দশা দেখলে মনে হয় না গ্রাম পর্যায়ে কোন উন্নয়ন হয়েছে। তাই সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিতা ধরে রাখতে প্রত্যান্ত অঞ্চলে রাস্তাঘাট সংস্কার করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
স্থানীয় প্রতিষ্ঠান প্রধান মৌলানা নাছির উদ্দিন বলেন, বর্ষার মৌসুমে রাস্তাঘাট হাঠা-চলার অনুপযোগী হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতিও কম হয়। যা লেখাপড়ার চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। তাই রাস্তার সংস্কার কাজ অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
স্থানীয় মহিলা মেম্বার জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, এ ব্যাপারে পরিষদে আলোচনা সাপেক্ষে সংস্কারের চেষ্টা করা হবে।
ঈদগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ছৈয়দ আলম বলেন, এই অর্থবছর যেহেতু চলমান মাসে শেষ হবে তাই রাস্তাটি আগামী অর্থ বছরের শুরুতেই সংস্কার কাজ করা হবে।