ঈদের ছুটিতেও বন্দরের ডেলিভারি স্বাভাবিক রাখুন

0
47

ঈদের আগে ও পরের ছুটির সময় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কনটেইনার ডেলিভারি স্বাভাবিক রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন বন্দরের টার্মিনাল ম্যানেজার গোলাম মো. সারওয়ারুল ইসলাম।

রোববার (৩ জুন) বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) পরিচালক ও সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ অনুরোধ জানান। এ সময় সহকারী টার্মিনাল ম্যানেজার মোহাম্মদ সাইফুল আলমও উপস্থিত ছিলেন।

বাফার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক অমিয় শংকর বর্মণ, খায়রুল আলম সুজন, আনোয়ার হোসেন, আনোয়ার হোসেন খান হাসান, অহিদুর রহমান নয়ন, মো. মোশাররফ হোসেন, মো. আব্দুস শহিদ, মো. জহির হোসেন, আরিফুল আলম মজুমদার, মো. শহিদুল আলম, ওয়াজেদ আলী শরীফ প্রমুখ।

বাফার পরিচালক (বন্দর ও কাস্টম) খায়রুল আলম সুজন বলেন, সভায় আসন্ন ঈদুল ফিতরে চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় সে ব্যাপারে আলোচনা হয়। বাফার পক্ষ থেকে একাধিক আমদানিকারকের পণ্যভর্তি কনটেইনার বা লেস কনটেইনার লোড (এলসিএল) দ্রুত আনস্টাফিং, ডেলিভারি শেডে পর্যাপ্ত জায়গা বরাদ্দ, এলসিএল পণ্যগুলো সুন্দরভাবে রাখা ইত্যাদি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেন উভয় পক্ষ।

সভায় টার্মিনাল ম্যানেজার বাফার প্রতিনিধিদের সমস্যাগুলো সমাধানের আশ্বাস দেন এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আমদানি রপ্তানি কার্যক্রমের সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের জন্য হট লাইন নাম্বার চালু করেছে বলে জানান।

বন্দরের একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রতিবছর দুই ঈদে পোশাক কারখানাগুলোতে কয়েক সপ্তাহ ছুটি থাকায় বন্দর থেকে কনটেইনার ডেলিভারি নেওয়া হয় না বললেই চলে। যদি পোশাক কারখানার কমার্শিয়াল বিভাগ খোলা রাখা হয় তবে বন্দর থেকে স্বাভাবিক কনটেইনার ও পণ্য ডেলিভারি হবে। এতে বন্দরের পরিচালন কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। কনটেইনার জটের শঙ্কা থাকে না।

বন্দরের পরিবহন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০ ফুট দীর্ঘ (টিই‌ইউ’স) হিসেবে বন্দরে আমদানি রপ্তানি পণ্য ভর্তি কনটেইনারের ধারণক্ষমতা ৩৬ হাজার ৩৫৭টি হলেও রোববার (৩ জুন) সকালে ছিল ৩৮ হাজার ১৭৫টি। আমদানি পণ্যভর্তি কনটেইনারের ধারণক্ষমতা ২৬ হাজার ৮৫৭টি হলেও ছিল ৩২ হাজার ১০টি।