উন্নত বিশ্বের সঙ্গে ব্যবধান দূর করবে ফাইভজি : জব্বার

0
187

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ফাইভজি উন্নত দেশের সঙ্গে ব্যবধান ঘোচাতে সহায়ক শক্তি হবে।

তিনি বলেছেন, অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লবে অংশ নিতে না পারায় শিল্পোন্নত বিশ্বের সঙ্গে আমাদের বিশাল ব্যবধান তৈরি হয়েছে। শতশত বছরের সৃষ্ট এই ব্যবধান দূর করতে ফাইভজি প্রযুক্তি হবে একটি বড় সহায়ক শক্তি।

মন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মিলনায়তনে বিটিআরসি আয়োজিত ফাইভজি প্রবর্তনের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধির মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ফাইভজি প্রযুক্তি মানে একটি নতুন সভ্যতার বাহন। এই প্রযুক্তি কেবল মোবাইলে কথা বলা কিংবা ইন্টারনেট বা ফেইসবুক ব্রাউজ করার প্রযুক্তি নয়। এই প্রযুক্তি চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বা পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের মহাসড়ক। ফাইভজি প্রযুক্তি চালুর প্রস্তুতি বাংলাদেশ গ্রহণ করেছে।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ডিজিটাল ডেভলপমেন্ট স্পেশালিস্ট রাজেন্দ্র সিংহ ফাইভজি বিষয়ক গবেষণার বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, শিল্প, বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, মৎস্যসহ বিভিন্ন সেক্টরে রোবটিক্স, আইওটি, এআই, ব্লকচেইন কিংবা বিগডেটার প্রয়োগের মাধ্যমে চমকে দেয়ার প্রযুক্তি হচ্ছে ফাইভজি। ফাইভজির প্রয়োগ আর্থ-সামাজিক ও জনসম্পদের বিবেচনায় পৃথিবীর নানা দেশে নানা রকম হতে পারে।

তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ড্রাইভার বিহীন গাড়ী জাপানের জন্য আনন্দের কিন্তু আমাদের লাখ লাখ ড্রাইভার বেকার হওয়ার বিষয়টি হবে অমানবিক। তেমনি রোবটিক্স প্রযুক্তির বিকাশে শ্রমিকবিহীন গার্মেন্টস শিল্প আমাদের কাম্য হতে পারে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক বিবেচনায় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার প্রয়োজনে ফাইভজির প্রয়োগিক দিকটি নিশ্চিত করা হবে।

বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি রাজেন্দ্র সিংহ বলেন, ডিজিটার পদ্ধতিতে জনসাধারণের মধ্যে সরকারি সেবা পৌঁছে দেয়া, দারিদ্র্য বিমোচনসহ ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশের অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছে।

তিনি শহর এবং গ্রামের মধ্যে ডিজিটাল বৈষ্যম্য কমিয়ে আনতে ব্যান্ডউইথ সম্প্রসারণ করা একটি খুবই কার্যকর একটি উপায় বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ফাইভজি কেবল একটি প্রযুক্তি নয় এটি একটি উন্নয়নের সহায়ক পরিবেশ। বাংলাদেশের ফাইভজি প্রযুক্তি চালু করতে প্রয়োজনে বিশ্বব্যাংক কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

সভায় খসড়া ফাইভজি নীতিমালা এবং গাইড লাইন প্রণয়ণ, নেটওয়ার্ক ও তরঙ্গ ব্যবস্থাপনাসহ পথনকশা তুলে ধরা হয়।

সভায় ফাইভজি প্রবর্তনের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সদস্যগণ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞগণ উপস্থিত ছিলেন।