‘উন্নয়ন-পরিছন্নতা রক্ষার ক্ষেত্রে নগরবাসীর দায়িত্ব অপরিসীম’

0
114

স্থানীয় সরকার সিটি কর্পোরেশনের আইন ২০০৯ এর বৈধ ও আইনগত কার্যক্রম সমূহ জনগন কর্তৃক মেনে চলার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এর অধীনে সিটি গভারন্যান্স প্রকল্পের আওতায় চসিকের আয়োজনে জন সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আজ রবিবার সকালে নগর ভবন বঙ্গবন্ধু চত্বরে প্রচার কার্যক্রম র‌্যালি উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন। তাঁর নেতৃত্বে র‌্যালিটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে নগর ভবনে শেষ হয়। এতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আকতার, স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস, মেমন হাসপাতালের ইনচার্জ ডা. আশিষ মূখার্জি,বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন আলী চৌধুরী, চসিক এর বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগন, সিজিপি’র মানিক লাল দেবনাথ, সনজীৎ কুমার দাস, মাহমুদুল হাসান চৌধুরী, রবি মং মারমা মো. চুন্নু হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. ওবায়দুর রহমান, মো. আবীর সহ বিভিন্ন শ্রেনীর পেশার নাগরিক, স্কুল শিক্ষার্থী, যুব সম্প্রদায় র‌্যালিতে অংশ গ্রহন করেন। র‌্যালিতে নির্ধারিত স্থানে আবর্জনা ফেলুন, ট্রাফিক আইন মেনে চলুন, খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ না করা, রাস্তার উপর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে জনগনের চলাচলে বাধা প্রদান না করা, সময়মত পৌরকর এবং ট্রেড লাইন্সে ফি পরিশোধ করা, নির্মাণ সামগ্রী রাস্তার উপর রেখে জনগনের চলাচলের বিঘœ সৃষ্টি না করা, অন -অনুমোদিত ভাবে বাড়ী নির্মাণ না করা, ব্যবসা পরিচালনার পূর্বে ট্রেড লাইলেন্স গ্রহন, বিল্ডিং কোড মেনে বাড়ী নির্মাণ, বিদ্যুৎ ও গ্যাস ব্যবহারে সাশ্রয় হওয়া, বৃক্ষ রোপন, সময়মত ওয়াসার বিল পরিশোধ, শিশুদের নিয়মিত টিকা দেয়া, শিশুদের সময়মত স্কুলে পাঠানো, মাছও ফলমুলে ফরমালিন না মিশানো না, ফুট ওভারব্রীজ ব্যবহার করুন, ফুটপাতে দোকান না বসানোা ইত্যাদি স্লোগান সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন, প্লেকার্ড প্রদর্শিত হয়।

এই সমস্ত শ্লোগান নগরবাসীর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচার করা হয়।এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন এই কর্মসূচিকে নাগরিক সচেতনতার অংশ উল্লেখ করে বলেন,চট্টগ্রাম নগরীকে পরিচ্ছন্ন,সুন্দর,মনোরম ও বসবাসযোগ্য বিশ্বমানের শহর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নিরন্তর প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। তারপরেও নগরীর রাস্তাঘাটে বাসি খাবার,ভেজাল দ্রব্য বিক্রি হচ্ছে দেদারচ্ছে। এই গুলো খেয়ে রোগ ব্যাধিতে ভুগচ্ছে নগরবাসী। রাস্তার দু”ধারে নির্মাণ সামগ্রী রাখা, যত্রতত্র পাকিং-এ ফলে রাস্তার প্রশস্থতার হ্রাস পাচ্ছে।

ফলে যানজট সৃষ্ঠি হয়ে নগরবাসীর প্রভুত ভোগান্তি হচ্ছে।এই প্রসংগে মেয়র বলেন আমাদের এ অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। এই অভ্যাস পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত এই নগরকে বসবাসযোগ্য নগর হিসেবে তোলা অসম্ভব হবে। তিনি নগরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করে বলেন উন্নত বিশ্বের নাগরিকরা তাদের সরকারকে সহযোগিতা করে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে থাকে । তাই তারা আজ উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে বিশ্বে পরিচিত । এক্ষেত্রে আমাদেরও সেই সম্ভাবনা আছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের অবস্থা ,দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা ইত্যাদি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সমৃদ্ধিকে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব আমাদের সকলের।