উপকূলে নির্বিচারে চলছে ঝাউ বাগান নিধন

0
62

কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া:
উখিয়া উপকূলের কাঠপাচারকারী সিন্ডিকেটের সদস্যরা ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। পাচারকারী চক্রের সদস্যরা রাতের আধাঁরে উপকূল বেষ্টনী খ্যাত ঝাউবাগান নিধন করে চলছে প্রতিনিয়ত। এসব গাছ কেটে পাচারের পাশাপাশি ব্যবহার করছে কয়লার চুলায়। সরজমিন পরিদর্শন করে জানা যায়, সমুদ্র তীরবর্তী উখিয়া উপজেলার সোনারপাড়া থেকে মনখালী পর্যন্ত এলাকায় পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র রক্ষায় রোপন করা হয়েছে ঝাউ বাগান। কিন্তু ঝাউ গাছ গুলো একটু বড় হতে না হতেই পাচারকারী সিন্ডিকেটের লুলুপ দৃষ্টি পড়ে। স্থানীয় কিছু পাচারকারী ও কাঠ চোর সিন্ডিকেট গঠন করে বন বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অদৃশ্য কারণে ম্যানেজ ঝাউ গাছ কেটে সাবাড় করে চলছে। স্থানীয় পরিবেশবাদী মহল জানায়, পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র রক্ষায় সরকার বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ হাতে নিলেও রাতের আধাঁরে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে উখিয়া উপকূলের ঝাউ বাগান। পাচারকারীরা ঝাউ বাগান নিধন করে পাচারের পাশাপাশি ব্যবহার করছে কয়লার চুলায়। ফলে এক দিকে যেমন জীব বৈচিত্র ধ্বংস হচ্ছে অপরদিকে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা বিলীন হওয়ার আশংকা রয়েছে। তারা অভিযোগ প্রতিবেদককে আরো বলেন, ইনানী রেঞ্জের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব জীব বৈচিত্র রক্ষায় নিয়োজিত থাকলেও মূলত পাচারের কাজে তাদের সহযোগিতার কমতি নেই। স্থানীয়রা জানান, উখিয়া উপকূলের ঝাউ বাগান নিধনের পাশাপাশি সামাজিক বনায়নের কাঠ পাচার করছে ওই সিন্ডিকেটের সদস্যরা। অথচ এসব দেখেও না দেখার ভান করে বসে রয়েছে বন বিভাগ। বন বিভাগের সদস্যরা পাচারকারীদের বাধা না দেওয়ায় উক্ত সিন্ডিকেট দিনের পর দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তারা বলেন, ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা ব্রজ গোপাল রাজ বংশী ও তার ঘনিষ্ট সহচর ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ ইব্রাহিম হোসেন কাঠ পাচারকারী সিন্ডিকেটের সাথে গভীর সখ্যতা গড়ে তোলে এহেন হীন কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে সহযোগিতা করে আসছে। তবে ওই কর্মকর্তা ওইসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। যার কারণে ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ এবং বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঝাউ বাগান। সরকারী বন সম্পদ রক্ষার্থে বন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসীরা। উখিয়া সদর বিট কর্মকর্তা আবদুল মন্নান জানান, গতকাল রোববার চট্টগ্রামের বন বিভাগের সিএফ আবদুল লতিফ ইনানী, উখিয়া, ধোয়া পালং, খুনিয়াপালং এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং বন বিভাগকে সবসময় বনরক্ষার্থে সচেষ্ট থাকার কথা বলেছেন।