উপত্যাকায় উঁচু নিচু পাহাড়ের গায়ে আঁকাবাঁকা পথ, আকাশ, নদীর নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য

0
190

প্রকৃতিকে সঙ্গে নিয়ে পর্যটকদের অনাবিল আনন্দ দিতে চিরসবুজ সাজে সেজেছে বান্দরবানের লামার মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্স। প্রকৃতির সাজানো সুউচ্চ সবুজ পাহাড়, বনানী ঘেরা উঁচু নিচু পাহাড়ের গায়ে আঁকাবাঁকা পথ, আকাশ, নদী, উপত্যাকা আর সাড়া জাগানো টাইটানিক জাহাজের মনোরম ভাস্কর্যে বান্দরবানের লামার মিরিঞ্জা পর্যটন এনে দিয়েছে নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য। প্রকৃতি যেন তার উদার হাতে সুনিপুণ কারিগরের ন্যায় মুকুটশিখর মিরিঞ্জা পাহাড়কে মোহনীয় করে সাজিয়ে রেখেছে।

মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্সঘন সবুজের আবরণে আবৃত মিরিঞ্জা পর্যটনে অবসরের প্রতিটিক্ষণ আপনজনকে নিয়ে কাটানোর জন্য হয়ে উঠেছে মনোরম। এই চড়াই-উৎরাইয়ে শান্ত বনতলে ঘুরে বেড়াতে কোন ক্লান্তি আসে না। পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম সৌন্দর্যের সমন্বয়ে গড়া এ পর্যটন হাতছানি দিয়ে ডাকছে ভ্রমণ পিপাসুদের।

 সাগর পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৫শ ফুট উঁচু মিরিঞ্জা পর্যটন পাহাড়। এখানে ওঠা মাত্রই দৃষ্টি গোচর হয় লতাগুল্মের দৃশ্য শোভা, পাখ-পাখালির কল-কাকলি। এসব চোখ, কান, মন সব ভরিয়ে তোলে। মাথার উপর টুকরো নীল আকাশ আর পাহাড় মেঘের মিতালী। প্রতিনিয়ত মেঘ ছূঁয়ে যায় মিরিঞ্জা পাহাড়ের গায়। লতাগুল্মের কারুকার্যময় অনেক বড় বড় গাছের উপর আকাশ যেন ছাঁদ। এছাড়া জংগলি ফুলের ম ম গন্ধে মাখামাখি, পাহাড়ের নীচে লুকানো ঝরণা, চূড়ায় উপজাতীয় টংঘর, জুম চাষ আর অরণ্য রানীর ঐতিহ্যের পোশাক। তাদের পায়ের খারুর ঝনঝন আরও কত কি!

পর্যটন শিল্পকে আকর্ষণীয় করে তুলতে গড়ে তোলা হয়েছে সাড়া জাগানো টাইটানিক জাহাজের ভাস্কর্য। সুউচ্চ পাহাড়ের শিখর থেকে কক্সবাজার সাগর সিন্ধুর উত্তাল তরঙ্গমালার মনোমুগ্ধকর নৃত্য ও সাগরের উপর চলমান জাহাজের সম্মুখ যাত্রার দুর্লভ দৃশ্য। এছাড়া এ পাহাড়ে দাঁড়িয়ে পৃথিবীর দীর্ঘতম কক্সবাজারের সাগর সৈকত ও বঙ্গোপসাগরে রাত্রিকালীন অলংকার লাইট হাউসের আলোর ঝিলিক দেখার সুযোগ।যা ভ্রমণ পিপাসুদের মনকে উদ্বেলিত করে তুলবে।