এইডস প্রতিরোধক ওষুধ আসছে বাজারে

0
134

সারা বিশ্বে এইচআইভি এইডস মরণব্যাধি হিসেবে পরিচিত। পৃথিবীর অনেক দেশে এইচআইভি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে ও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মরণব্যাধি এইডসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে অনেক মানুষ।

এইচআইভিতে আক্রান্ত রোগীদের এ মরণব্যাধি থেকে মুক্তি দিতে চিকিৎসাবিজ্ঞানের চেষ্টার শেষ নেই। মানুষকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে চলছে গবেষণা। এবার এইচআইভি প্রতিরোধে ভারতের বাজারে আসছে একটি ওষুধ।

এইডস প্রতিরোধক ট্যাবলেট ‘প্রি এক্সপোজার প্রোফাইল্যাক্সিস’(প্রেপ)। অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্কের আগে যে কেউ বাজার থেকে এই ওষুধ কিনতে পারবেন। ডিসেম্বরের মধ্যেই এই ওষুধ ভারতের বাজারে আসার কথা রয়েছে।

পরীক্ষামূলকভাবে ভারতে ‘প্রেপ’ প্রথম ব্যবহার হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সোনাগাছিতে।

২০২৫-এর মধ্যে এইচআইভি ভাইরাস ‘ট্রান্সমিশন’ শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে ‘প্রেপ’ প্রকল্প শুরু করেছিল সোনাগাছির ‘দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতি’। দেড় বছর ধরে সাড়ে সাতশোজন ‘নন-এইডস’ যৌনকর্মীকে এই ওষুধ দেয়া হয়েছে।

এই ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে খুব ভালো ফল পাওয়া গেছে। সক্রিয়ভাবে দেহ ব্যবসায় থাকা সত্ত্বেও প্রেপ সেবনকারী কারও শরীরে এডসের জীবাণু মেলেনি।

এবার ‘বিশ্ব এডস বিরোধী দিবস’-এ এমনটাই জানালেন দুর্বার-এর মুখ্য উপদেষ্টা ডা. স্মরজিৎ জানা।

তিনি বলেন, এইডস প্রতিরোধের এই ওষুধ সেবনে ভালো ফল পাওয়া গেছে। তাই ‘ন্যাশনাল এইডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন’ (ন্যাকো) প্রেপ—কে সাধারণের নাগালে আনতে চাইছে।

৭ নভেম্বর দিল্লিতে এই নিয়ে বৈঠক হয়। সর্বভারতীয় নীতি তৈরি হচ্ছে। দুটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। গাইডলাইনস কমিটিতে রয়েছেন স্মরজিৎবাবু নিজে।

বিশেষজ্ঞদের মত, কেউ অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক করার পাঁচদিন আগে এই ওষুধ খেতে পারেন। সম্পর্কের পরেও সাতদিন খেতে হবে। তাহলেই আর সমস্যা হবে না।

একটা ওষুধের দাম ৩০-৪০ টাকা। কিন্তু একসঙ্গে অনেকটা কিনলে কম পড়বে। তবে এই ওষুধের হালকা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে।

স্মরজিৎবাবু জানিয়েছেন, প্রেপ খেলে মাথা ধরা, বুক জ্বালা, বমি বমি ভাব হতে পারে।