এটা লোক দেখানো বিচার হলো – কিরিটী রায়

0
46

ফেলানী হত্যা নিয়ে সরব একমাত্র ভারতীয় মানবাধিকার সংগঠন মাসুম। শুক্রবার সেই হত্যা মামলার রায়ের প্রথম প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনটি প্রধান কিরিটী রায় বলেছেন, বিএসএফের আদালতে আগেই স্থির করা ছিল যে কী রায় দেয়া হবে – এটা লোক দেখানো বিচার হলো।

এদিন ফেলানী হত্যার মামলার রায়ের পুনর্বিবেচনাতেও অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্যকে নির্দোষে খালাস দেয়ার পর এ মন্তব্য করেছেন কিরিটী রায়।

তবে তারা পরবর্তী কোনও আইনি পদক্ষেপ নেবেন কি না সে ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানান।

অপরদিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ফেলানী হত্যার মামলার প্রধান আইনজীবী কুড়িগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসেকিউটর আব্রাহাম লিঙ্কনের আশঙ্কা, যে বিচারকেরা প্রথম মামলাটা শুনেছেন, তারাই আবার পুনর্বিবেচনা করছেন। এক্ষেত্রে যদি তারা অন্য কোনও রায় দিতেন, তাহলে তাদের প্রথমে দেয়া রায় নিয়ে প্রশ্ন উঠতো। আগের রায়ে তাহলে ভুল ছিল, সেটা প্রমাণিত হতো। এ কারণেই বিচারকেরা আগের রায়ই বহাল রাখলেন।

লিঙ্কন আরো বলেন, বিএসএফের মতো একটা শৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনীর একজন সদস্যের অপকর্মের দায় গোটা বাহিনীটাই নিয়ে নিল। আর সেই দায় রাষ্ট্র হিসাবে ভারতের ওপরেও বর্তালো।

২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে বাবার সঙ্গে বাংলাদেশে আসছিল ১৬ বছর বয়সী কিশোরী ফেলানী খাতুন। তার বিয়ে ঠিক হয়েছিল।

কোচবিহার জেলার চৌধুরীহাট সীমান্তে মই বেয়ে কাঁটাতার পেরুনোর সময় বিএসএফের ১৮১ নম্বর ব্যাটালিয়নের সদস্য অমিয় ঘোষ তার ইনসাস ৫.৫৬ মিলিমিটার বন্দুক থেকে গুলি করে। কাঁটাতারের উপরে ফেলানীর মরদেহ দীর্ঘক্ষণ ঝুলে ছিল।

পরে, বিএসএফে নিজেই বাহিনীর সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ দায়ের করে মামলা রুজু করে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় হত্যা আর বিএসএফ আইনের ১৪৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল। সূত্র: বিবিসি বাংলা