এটিএম বুথ থেকে গ্রাহকদের অজান্তে টাকা তুলে নেয়ার যে ঘটনা

0
77

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় কয়েকটি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে গ্রাহকদের অজান্তে টাকা তুলে নেয়ার যে ঘটনা ঘটেছে, তাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘স্কিমিং জালিয়াতি’ বলে মনে করছে।
গত শুক্রবার ইস্টার্ণ ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে বেশ কিছু গ্রাহকের একাউন্টে গচ্ছিত টাকা তুলে নেয় জালিয়াতরা। বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নজরে আনার পর এই এটিএম বুথগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভংকর সাহা বলছেন, তারা জানতে পেরেছেন কয়েকটি ব্যাংকের ক্যাশ মেশিনে ‘স্কিমিং ডিভাইস’ লাগিয়ে রেখেছিল কেউ। যে দুই-তিন দিন এই ‘স্কিমিং ডিভাইস’ লাগানো ছিল সেসময় যে গ্রাহকরা এই মেশিনগুলো ব্যবহার করেছেন তাদের কার্ডের তথ্য চুরি হয়ে গেছে। কার্ডের তথ্য চুরি করে সেই তথ্য ব্যবহার করে ক্লোন-কার্ড তৈরি করা যায়। যারা এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তারা যদি এই ক্লোন কার্ডের পিন নাম্বারও জোগাড় করতে পারে তাহলে কার্ডটি ব্যবহার করে তারা টাকাও তুলে নিতে পারে। আমরা যতটুকু বুঝতে পারছি এরকমই কিছু আসলে ঘটেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে সব ব্যাংককে এই ‘স্কিমিং জালিয়াতি’র বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়েছে।
তিনি আরোও বলেন, আমরা সব ব্যাংককে ইমেল করে বলেছি তাদের এটিএম বুথগুলোতে এরকম কোন স্কিমিং ডিভাইস কেউ লাগিয়ে রেখেছে কিনা তা যাচাই করে দেখতে। যাদের কার্ড এভাবে জালিয়াতি হয়েছে সেই সব গ্রাহককে অবিলম্বে জানিয়ে পুরানো কার্ড বাতিল করে নতুন কার্ড দেয়ারও পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এই কর্মকর্তা বলেন, শুধু ইস্টার্ন ব্যাংক নয়, আরও কয়েকটি ব্যাংক থেকেও তারা গ্রাহকদের টাকা চুরি যাওয়ার অভিযোগ পেয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকের গ্রাহকদের নামে ৯০ লাখের বেশি ব্যাংক কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৫ লাখ ডেবিট কার্ড এবং পাঁচ লাখ ক্রেডিট কার্ড। অন্যদিকে দেশ জুড়ে বিভিন্ন ব্যাংকের প্রায় সাত হাজার এটিএম বুথ রয়েছে।