এমপি প্রচারণা ও ভোট পেছানো সম্ভব না-রকিবউদ্দীন

0
67

এ পর্যায়ে আচরণবিধি সংশোধন ও ভোট পেছানো সম্ভব না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। সেইসঙ্গে প্রচারণা নিয়ে আচরণবিধির অসঙ্গতি আগামী নির্বাচনে শুধরে নেয়ার আশ্বাসও দিলেন তিনি।

সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনে নিজের কার্যালয় থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিইসি।

দেশের প্রধান তিনটি দল রোববার নির্বাচন কমিশনের এসে পৌর ভোট পেছানো ও সাংসদদের প্রচারণায় যেতে দাবি জানায়। আজ (সোমবার) তাদের প্রস্তাবগুলো নিয়ে কমিশনে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

কাজী রকিব বলেন, ‘সংসদ সদস্যদের প্রচারণায় যেতে দিতে বিধি সংশোধনের দাবি এসেছে। আমরা আলোচনা করে দেখেছি-তফসিল ঘোষণার পর এ পর্যায়ে কোনো সংশোধনী আনা সমীচীন হবে না।’

ভোট পেছানোর দাবির বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘আইন-বিধি সংশোধনের পর খুব স্বল্প সময় হাতে নিয়ে তফসিল করা হয়েছে। আর পেছানোও সম্ভব হবে না। ২০ ডিসেম্বরও যদি ভোটের সময় রেখে তফসিল করা যেত, পেছানোর সুযোগ থাকত। শেষ সময়ে এসে তফসিল দিতে গিয়ে ৩০ ডিসেম্বরে ভোটের তারিখ রেখে পর্যাপ্ত সময় রাখা হয়েছে। এরপরও একদিন পেছানো যায় কিনা যাচাই করে দেখেছি। সে সুযোগও নেই।’

বিদ্যমান আইন-বিধি নিয়ে নানান ধরনের অসঙ্গতি ও দলগুলোর দাবির বিষয়ে ভবিষ্যতে পর্যাোলোচনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

বিদ্যমান আচরণবিধিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় যেতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে সরাসরি উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা তো আইনেই বলা রয়েছে।
বিদ্যমান আচরণবিধিতে দলীয় প্রধানদের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার সুযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে দলীয় প্রধানের প্রচারে হেলিকপ্টার পর্যন্ত ব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়েছে বিধিতে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা, উপনেতা, মন্ত্রীসহ সম পর্যায়ের সুবিধাভোগী ব্যক্তি, এমপি, সিটি মেয়রদের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।’

এক দলের শীর্ষ নেতা প্রচারে যাবেন, অন্য দলের নেতারা যেতে পারবেন না এ ধরনের অসম আচরণবিধি ইসির ভুলে হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা তো ভুল না, এটা একটা বিষয়ে পরিমাপ করা। এটাই তো (এ নির্বাচন) সব শেষ না। আমরা অভিজ্ঞতা নেব। যদি দেখি কোনটা সঠিক হচ্ছে না। সামনে অন্য নির্বাচন রয়েছে। তাতে এগুলোকে শুধরানোর ব্যবস্থা করবো।’