এরশাদের ইফতার পার্টি বর্জন করলেন সাংবাদিকরা

0
120

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আয়োজন করা ইফতার পার্টি বর্জন করলেন সাংবাদিকরা। আজ সোমবার রাজধানীর পর্যটন মোটেলের মালঞ্চ রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল।
এরশাদের ইফতার পার্টি বর্জন করলেন সাংবাদিকরা
জানা যায়, এরশাদ নিজে খেয়েছেন রাজকীয় ভোগ। এতিমদের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল মধ্যম মানের ইফতার। আর সাংবাদিকদের হাতে ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল পলিথিনের মধ্যে এক ছটাক মুড়ি, কাগজের ঠোঙ্গায় ছোলা, একটি পিয়াজু ও ছোট একটি কলা। ছিলো না সাংবাদিকদের বসার জন্য পর্যাপ্ত চেয়ার। তাতেও আপত্তি ছিল না সাংবাদিকদের। কিন্তু হাফ লিটার পানির বোতল যখন ভাগ করে খেতে বলা হলো, তখন আর মুখ না খুলে পারলেন না সাংবাদিকরা। একযোগে প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠলেন তারা। একজন বলে উঠলেন, আমাদের কি ভিক্ষুক পেয়েছেন। পলিথিনের ঠোঙ্গায় খাবার দিচ্ছেন। দাওয়াত না দিলেই পারতেন। কে বলেছিলো ফোন করে ডাকতে। অন্যরা একযোগে বলে উঠলেন, এই চল, এদের ইফতার খাব না।

যেই কথা সেই কাজ একযোগে বেরিয়ে গেলেন সবাই। সংবাদকর্মীরা যখন একে একে গাড়িতে করে চলে যাচ্ছিলেন তখন পড়ি-মড়ি করে ছুটে এলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব। তার অনুরোধে এটিএন বাংলা ও বৈশাখী টিভির সাংবাদিকরা ফিরে গেলেও অন্যরা বর্জন করে চলে যান।

তখন সময় হাতে মাত্র ১০ মিনিট। যে যার মতো ইফতার সেরে কর্মস্থলের দিকে রওয়ানা দিলেন সাংবাদিকরা।

রেস্তোরাঁর একজন বয় জানায়, আমাদের করার কিছুই নেই। পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সাংবাদিকদের ঠোঙ্গায় দিতে। তারা বাইরে গিয়ে খাবে। সে জন্য তাদের জন্য চেয়ার দেওয়া হয়নি। মোট ১৮০ জনের ইফতারের আয়োজন করা হয় বলেও জানান হোটেল বয়।

জানা গেছে এই আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের কাছে বিতর্কিত ও সুবিধাবাদী বলে পরিচিত মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম ফয়সল চিশতী। ইতিপূর্বে বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচির টাকা মেরে দিয়ে ধরা খেয়েছেন তিনি। এমনকি খোদ পার্টির চেয়ারম্যানের নামে কড়াইল বস্তি থেকেও ৫৬ লাখ টাকা হাতিয়েছেন।

জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ফয়সল চিশতী এরশাদকে ডুবাচ্ছেন। কিন্তু এরশাদ বিষয়টি বুঝতে পারছে না। খোঁজ নিলে দেখা যাবে হয়তোবা এরশাদ ঠিকই টাকা দিয়েছেন কিন্তু ওই টাকা মেরে দিয়েছে চিশতী।

এ বিষয়ে এসএম ফয়সল চিশতী বলেন, আজকে যে ঘটনা ঘটেছে তা সত্যিই দুঃখজনক। তবে সাংবাদিকরা ইফতার করে গেলেই পারতেন। আমাদের বললে আমরা ব্যবস্থা করতাম।

তিনি বলেন, স্যার (এরশাদ) মাদ্রাসাকে টাকা দিয়েছে তারাই আয়োজন করেছে। আমাদের করার কিছুই ছিল না। জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পিটু এর দায়িত্বে ছিলেন।