পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা সাজঘরে ফিরে গেছে। বাংলাদেশ পেয়েছে ৩৭ রানের বিজয়। এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলােদেশ।
মুশফিক-মিথুনের ব্যাটে চড়ে পুঁজি ২৩৯ রান, কিন্তু বল হাতে পাকিস্তানের ইনিংস রীতিমত ধসিয়ে দিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। এক মোস্তাফিজ একাই নিলেন চার উইকেট। বাকিদের দারুণ ভূমিকা মিলিয়ে পাকিস্তানকে ৩৭ রানের ব্যবধানে হারালো বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৪৮.৫ ওভারে ২৩৯ (লিটন ৬, সৌম্য ০, মুমিনুল ৫, মুশফিক ৯৯, মিঠুন ৬০, ইমরুল ৯, মাহমুদউল্লাহ ২৫, মিরাজ ১২, মাশরাফি ১৩, রুবেল ১, মুস্তাফিজ ০*; জুনাইদ ৪/১৯, আফ্রিদি ২/৪৭, হাসান ২/৬০, নওয়াজ ০/৩৯, মালিক ০/১৪, শাদাব ১/৫২)
পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ২০২/৯ (ফখর ১, ইমাম ৮৩, বাবর ১, সরফরাজ ১০, মালিক ৩০, শাদাব ৪, আসিফ ৩১, নওয়াজ ৮, হাসান ৮, আফ্রিদি ১৪*, জুনাইদ ৩*; মিরাজ ২/২৭, মুস্তাফিজ ৪/৪৩, মাশরাফি ০/৩৩, রুবেল ১/৩৮, মাহমুদউল্লাহ ১/৩৮, সৌম্য ১/১৯)
দিক হারানো পাকিস্তানের দুইশ
দশম উইকেট জুটির ব্যাটে পরাজয়ের ব্যবধান কমাচ্ছে পাকিস্তান। ৪৯তম ওভারের প্রথম বলে দুইশ রানে গেছে দলটির সংগ্রহ।
৪৮.১ ওভারে পাকিস্তানের স্কোর ২০০/৯। শাহিন শাহ আফ্রিদি ১৩ ও জুনাইদ খান ২ রানে ব্যাট করছেন।
আবার ক্যাচ ছাড়লেন লিটন
লিটন দাসের ব্যর্থতায় পঞ্চম উইকেটটি পেলেন না মুস্তাফিজুর রহমান। তার বলে আবার ক্যাচ ছাড়লেন কিপার।
শাহিন শাহ আফ্রিদির ব্যাট ছুঁয়ে আসা ক্যাচ ঝাঁপিয়েও গ্লাভসে জমাতে পারেননি লিটন। সে সময় ৩ রানে ব্যাট করছিলেন আফ্রিদি।
নওয়াজের বিদায়ে জয়ের আরও কাছে বাংলাদেশ
টিকলেন না মোহাম্মদ নওয়াজ। মুস্তাফিজুর রহমানকে উড়ানোর চেষ্টায় ফিরে গেলেন সহজ ক্যাচ দিয়ে।
মিডউইকেট দিয়ে বল সীমানার বাইরে পাঠাতে চেয়েছিলেন নওয়াজ। সীমানায় ক্যাচ মুঠোয় জমান বদলি ফিল্ডার নাজমুল হোসেন শান্ত।
১৯ বলে ৮ রান করে ফিরে যান নওয়াজ। ৪৫.১ ওভারে পাকিস্তানের স্কোর ১৮৬/৯। ক্রিজে দলটির ১০ নম্বর ব্যাটসম্যান শাহিন শাহ আফ্রিদি ও ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান জুনাইদ খান।
হাসানকে ফেরালেন মুস্তাফিজ
সময়ের দাবি মেটানোর চেষ্টায় ফিরলেন হাসান আলি। তাকে বিদায় করে নিজের তৃতীয় উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান।
বাঁহাতি পেসারের ওপর চড়াও হতে চেয়েছিলেন হাসান। টাইমিং করতে পারেননি। অনেক ওপরে উঠে যাওয়া ক্যাচ মুঠোয় নেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
১১ বলে ৮ রান করে ফিরেন হাসান। ৪৪ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ১৮২/৮। মোহাম্মদ নওয়াজের সঙ্গে ক্রিজে আছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।
বিপজ্জনক ইমামকে ফেরালেন মাহমুদউল্লাহ
ক্রিজে দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে দেখে মাহমুদউল্লাহকে আক্রমণে ফেরালেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। পাকিস্তানকে টেনে নেওয়া ইমাম-উল-হককে ফিরিয়ে ম্যাচ বাংলাদেশের দিকে ঘুরিয়ে দিলেন মাহমুদউল্লাহ।
বেরিয়ে এসে অফ স্পিনারের ওপর চড়াও হতে চেয়েছিলেন ইমাম। বলে-ব্যাটে করতে পারেননি। সময় মতো ফিরতে পারেননি, বেলস ফেলে দেন লিটন দাস। টানা দুই ওভারে করলেন দুই স্টাম্পড।
১০৫ বলে ৮৩ রান করে ফিরেন ইমাম। ৪১ ওভারে পাকিস্তানের স্কোর ১৬৯/৭। ক্রিজে মোহাম্মদ নওয়াজের সঙ্গী হাসান আলি। তাদের সামনে ৯ ওভারে ৭২ রান করার কঠিন চ্যালেঞ্জ।
আসিফকে ফিরিয়ে বিপজ্জনক জুটি ভাঙলেন মিরাজ
পাকিস্তানের প্রতিরোধ ভাঙলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ফিরিয়ে দিলেন আসিফ আলিকে।
অফ স্পিনারের বলে ব্যাটে খেলতে না পেরে একটু এগিয়ে গিয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। সুযোগ কাজে লাগিয়ে বেলস ফেলে দেন লিটন। স্টাম্পড হয়ে ফিরে যান আসিফ। তার বিদায়ে ভাঙে ৭১ রানের জুটি।
৪৭ বলে ৩১ রান করেন আসিফ। ৪০ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ১৬৫/৬। ক্রিজে ওপেনার ইমাম-উল-হকের সঙ্গী মোহাম্মদ নওয়াজ। জয়ের জন্য শেষ ১০ ওভারে ৭৫ রান চাই পাকিস্তানের।
ইমাম-আসিফের জুটিতে পঞ্চাশ
ইমাম-উল-হক ও আসিফ আলির ব্যাটে এগোচ্ছে পাকিস্তান। ষষ্ঠ উইকেটে দুই জনে ৬২ বলে গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি।
দুই জনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে আশা বাঁচিয়ে রেখেছে সরফরাজ আহমেদের দল। ৩৬ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ১৪৬। ইমাম ৬৯ ও আসিফ ২৬ রানে ব্যাট করছেন। শেষ ১৪ ওভারে জয়ের জন্য আরও ৯৪ রান চাই তাদের।
আসিফকে জীবন দিলেন লিটন
দ্রুত রান তোলা আসিফ আলিকে ফিরিয়ে দেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করলেন লিটন দাস। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন এই উইকেট কিপার।
অফ স্টাম্পে পড়ে বাইরে যাওয়া বল আসিফের ব্যাটের কানায় লেগে যায় লিটনের কাছে। মুশফিকুর রহিমের জায়গায় উইকেটের পিছনে দাঁড়ানো লিটন এক হাতে ক্যাচ ধরতে গিয়ে পারেননি। বেঁচে যান আসিফ। সে সময় ২২ রানে ব্যাট করছিলেন তিনি।
৩৪ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ১৩০/৫। ইমাম-উল-হক ৫৬ ও আসিফ ২৩ রানে ব্যাট করছেন।
ইমামের ফিফটি
ছবি: এসিসি
এক প্রান্ত আগলে রেখে পাকিস্তানকে লড়াইয়ে রেখেছেন ইমাম-উল-হক। বাঁহাতি এই ওপেনার তুলে নিয়েছেন টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় ফিফটি।
৭৪ বলে দুই চারে নিজের রান পঞ্চাশে নিয়ে যান ইমাম।
৩২ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ১২০/৫। ইমাম ৫৩ ও আসিফ আলি ১৬ রানে ব্যাট করছেন। শেষ ১৮ ওভারে জয়ের জন্য আরও ১২০ রান চাই তাদের।
মন্থর ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের একশ
দুই অনিয়মিত বোলার মাহমুদউল্লাহ ও সৌম্য সরকারের আঁটসাঁট বোলিংয়ে মন্থর হয়ে গেছে পাকিস্তানের রানের চাকা। ২৭.৩ ওভারে নিজেদের রান তিন অঙ্কে নিয়ে গেছে দলটি।
সৌম্যর বলে পুল করে আসিফ আলির বাউন্ডারিতে একশ রানে পৌঁছায় পাকিস্তান।
২৮ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১০৩/৫। ইমাম-উল-হক ৪৫ ও আসিফ ৭ রানে ব্যাট করছেন।
শাদাবকে ফেরালেন সৌম্য
মন্থর ব্যাটিং করা শাদাব খান টিকলেন না বেশিক্ষণ। তাকে ফিরিয়ে ওয়ানডেতে নিজের প্রথম উইকেট নিয়েছেন অনিয়মিত মিডিয়াম পেসার সৌম্য সরকার।
সৌম্যর শর্ট বল পুল করতে চেয়েছিলেন শাদাব। ঠিক মতো খেলতে পারেননি। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে লিটন দাসের গ্লাভসে।
২৪ বলে ৪ রান করে করে ফিরে যান শাদাব। ২৫.১ ওভারে পাকিস্তানের স্কোর ৯৪/৫। ক্রিজে ইমাম-উল-হকের সঙ্গী বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত আসিফ আলি।
মাশরাফির দুর্দান্ত ক্যাচে ভাঙল জুটি
মাশরাফি বিন মুর্তজার অসাধারণ এক ক্যাচে ভাঙল পাকিস্তানের প্রতিরোধ। ৬৭ রানের জুটি গড়ে ফিরে গেছেন শোয়েব মালিক।
বোলারদের সহজেই খেলছিলেন মালিক ও ইমাম-উল-হক। এক-দুই করে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন দুই জনে। রুবেলে হোসেনের বল মিডউইকেটে চিপ করতে চেয়েছিলেন মালিক। ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচে তাকে থামান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
৫১ বলে ৩০ রান করে ফিরেন মালিক। ২১ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ৮৭/৪। ক্রিজে ওপেনার ইমামের সঙ্গী অলরাউন্ডার শাদাব খান।
ইমাম-মালিক জুটিতে পঞ্চাশ
ছবি: এসিসি
দ্রুত ৩ উইকেট হারানো পাকিস্তানকে টানছেন ইমাম-উল-হক ও শোয়েব মালিক। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দুই জনে চতুর্থ উইকেটে গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি।
৮১ বলে আসে ইমাম-মালিক জুটির পঞ্চাশ।
১৮ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৭৬/৩। ইমাম ৩৪ ও মালিক ২৬ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ৩২ ওভারে ১৬৪ রান চাই পাকিস্তানের।
পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তানের ৩ উইকেট
রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। প্রথম পাওয়ার প্লেতে হারিয়েছে ফখর জামান, বাবর আজম ও সরফরাজ আহমেদকে।
১০ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩৭ রান। ইমাম-উল-হক ৮ ও শোয়েব মালিক ১৪ রানে ব্যাট করছেন।
পাওয়ার প্লেতে দুটি উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান সিরাজ একটি। আঁটসাঁট বোলিং করেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
সরফরাজকেও টিকতে দিলেন না মুস্তাফিজ
টানা দুই ওভারে উইকেট পেলেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাবর আজমের পর ফিরিয়ে দিলেন সরফরাজ আহমেদকে।
আগের বলটি ছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে। সহজেই ফাইন লেগ দিয়ে বাউন্ডারি তুলে নেন পাকিস্তান অধিনায়ক। পরের বলটি ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে, আরও বেরিয়ে যাচ্ছিল। শরীর থেকে দূরের বল তাড়ার চেষ্টায় সরফরাজ ফিরে যান কট বিহাইন্ড হয়ে।
৭ বলে ১০ রান করেন সরফরাজ। ৪ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ২১/৩। ক্রিজে ওপেনার ইমাম-উল-হকের সঙ্গী পাকিস্তানের অনেক বিপদের ত্রাতা শোয়েব মালিক।
বাবরকে দ্রুত ফেরালেন মুস্তাফিজ
ছবি: এসিসি
টিকলেন না পাকিস্তানের অন্যতম ব্যাটিং ভরসা বাবর আজম। তাকে দ্রুত ফিরিয়ে দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান।
লেগ স্টাম্পের বল পা বাড়িয়ে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন বাবর। ব্যাট ফাঁকি দিয়ে লাগে প্যাডে। ফিরে যান এলবিডব্লিউ হয়ে। ৮ বলের মধ্যে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পাকিস্তান।
৩ বলে ১ রান করেন বাবর। ২ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ১১/২। ক্রিজে ইমাম-উল-হকের সঙ্গী অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ।
প্রথম ওভারেই উইকেট মিরাজের
প্রথম ওভারেই ভাঙল পাকিস্তানের শুরুর জুটি। মেহেদী হাসানের বলে দারুণ ক্যাচ ধরে রুবেল হোসেন ফিরিয়ে দিলেন ফখর জামানকে।
বেরিয়ে এসে অফ স্পিনারকে উড়াতে চেয়েছিলেন এই বাঁহাতি ওপেনার। মিড অনে মাথার ওপর দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বল লাফিয়ে দুই হাতে মুঠোয় জমান রুবেল।
৪ বলে ১ রান করে ফিরে যান এই ব্যাটসম্যান। ক্রিজে ইমাম-উল-হকের সঙ্গী বাবর আজম।
২৩৯ রানে থামল বাংলাদেশ
শুরু আর শেষে ছোবল দিলেন জুনায়েদ খান। বাজে শুরুর পর বাংলাদেশের ইনিংসের শেষটাও হল বিবর্ণ। অনেক বেশি রানের আশা জাগিয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল থামল ২৩৯ রানে।
মুশফিকুর রহিমের লড়াকু ৯৯ আর মোহাম্মদ মিঠুনের দায়িত্বশীল ৬০ রানের ইনিংস ছাড়া বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান ত্রিশের ঘরে যেতে পারেননি। শেষ প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। দল খেলতে পারেনেনি পুরো ৫০ ওভার।
দলে ফেরা বাঁহাতি পেসার জুনায়েদ ৪ উইকেট নেন ১৯ রানে। দুটি করে উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হাসান আলি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৪৮.৫ ওভারে ২৩৯ (লিটন ৬, সৌম্য ০, মুমিনুল ৫, মুশফিক ৯৯, মিঠুন ৬০, ইমরুল ৯, মাহমুদউল্লাহ ২৫, মিরাজ ১২, মাশরাফি ১৩, রুবেল ১, মুস্তাফিজ ০*; জুনায়েদ ৪/১৯, আফ্রিদি ২/৪৭, হাসান ২/৬০, নওয়াজ ০/৩৯, মালিক ০/১৪, শাদাব ১/৫২)
মাশরাফিকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে থামালেন হাসান
হাসান আলির স্লোয়ার লং অন দিয়ে ছক্কায় উড়াতে চেয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। টাইমিং করতে না পেরে ধরা পড়েন ফখর জামানের হাতে।
১৩ বলে ইনিংসের এক মাত্র ছক্কায় ১৩ রান করে ফিরেন অধিনায়ক। ৭ বল বাকি থাকতে ২৩৯ রানে থামে বাংলাদেশ।
রান আউট রুবেল
মাশরাফি বিন মুর্তজাকে স্ট্রাইক দিতে গিয়ে রান আউট হয়ে ফিরে গেলেন রুবেল হোসেন। দৌড়ে গিয়ে নন স্ট্রাইকার প্রান্তের বেলস ফেলে দেন বোলার হাসান আলি।
৩ বলে ১ রান করে ফিরেন রুবেল। ৪৮.৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২৩৯/৯। ক্রিজে মাশরাফির সঙ্গী ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান মুস্তাফিজ।
ঝড় তুলতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহ
শেষে মাহমুদউল্লাহকে ঝড় তুলতে দিলেন না জুনায়েদ খান। দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করে দিলেন বাংলাদেশের অন্যতম ব্যাটিং ভরসাকে।
স্টাম্প সোজা বল মিডউইকেট দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে উড়িয়ে দেয় অফ স্টাম্প। ৩১ বলে ২৫ রান করে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ।
৪৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৩২/৮। ক্রিজে মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গী দলে ফেরা রুবেল হোসেন।
মিরাজকে দ্রুত ফেরালেন জুনায়েদ
বোলিংয়ে ফিরে আঘাত হেনেছেন জুনায়েদ খান। বাঁহাতি এই পেসার ফিরিয়ে দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজকে।
ফুল লেংথের বল ফ্লিক করে মিডউইকেট ফিল্ডারের ওপর দিয়ে পাঠাতে চেয়েছিলেন মিরাজ। ঠিকমতো খেলতে পারেননি, সহজ ক্যাচ যায় বদলি ফিল্ডার শান মাসুদের হাতে।
১১ বলে ১২ রান করে ফিরেন মিরাজ। ৪৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২২২/৭। শেষে রানে গতি বাড়িয়ে নিতে ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
বাংলাদেশের দুইশ
শতরানের জুটি ভাঙার পর দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারালেও কমেনি বাংলাদেশের এগিয়ে চলার গতি। ৪২তম ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে দুইশ রানে নিয়ে গেছেন মাহমুদউল্লাহ।
৪২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২০২/৬। টেল এন্ডারদের নিয়ে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ মাহমুদউল্লাহর সামনে। ১৫ রানে ব্যাট করছেন অভিজ্ঞ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
৯৯ রানে থামলেন মুশফিক
ইনিংস মেরামতের নিপুণ শিল্পী মুশফিকুর রহিম দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলে ফিরলেন মাত্র এক রানের জন্য সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে।
এক বল আগে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ব্যাটের কানা ছুঁয়ে কিপারের পাশ দিয়ে বাউন্ডারি পেয়েছিলেন। পৌঁছেছিলেন টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১ রান দূরে।
তরুণ পেসার আফ্রিদির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে মুশফিকের ড্রাইভ ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে সরফরাজ আহমেদের গ্লাভসে। ১১৬ বলে ৯ চারে ৯৯ রান করে ফিরেন মুশফিক।
৪২ ওভার শেষে বালাদেশের স্কোর ২০২/৬।
ইমরুলকে দ্রুত ফেরালেন শাদাব
আবার লেগ স্পিন সামলানোর ভাবনা থেকে মিডল অর্ডারে খেলানো হয়েছিল ইমরুল কায়েসকে। এবার ব্যর্থ বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। রিস্ট স্পিনে খেলা প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে গেছেন তিনি।
শাদাব খানের স্কিড করা স্টাম্পের বল ব্যাটে খেলতে পারেননি ইমরুল। আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দিয়ে নন স্ট্রাইকার মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে কথা বলে রিভিউ না নিয়ে ফিরে যান তিনি।
১০ বলে ৯ রান করে আউট হন ইমরুল। ৩৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৬৯/৫। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী গত ম্যাচের ম্যাচ সেরা মাহমুদউল্লাহ।
মিঠুনকে আউটে ভাঙল জুটি
তৃতীয় স্পেলে ফিরে ফিরতি ক্যাচে মোহাম্মদ মিঠুনকে ফিরিয়েছেন হাসান আলি। ভাঙল ১৪৪ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।
শরীরের খুব কাছের বল স্লগ করতে চেয়েছিলেন মিঠুন। শট ঠিক মতো খেলতে পারেননি, ব্যাটের কানায় লেগে উঠে যাওয়া ক্যাচ মুঠোয় নেন হাসান। ৮৪ বলে চারটি চারে ৬০ রান করে ফিরেন মিঠুন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার ৬৩ রানের ইনিংসও থেমেছিল এই ধরনের শট খেলে।
৩৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৫৭/৪। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী ইমরুল কায়েস।
দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে মিঠুনের ফিফটি
এশিয়া কাপ দিয়ে যেন নিজেকে চেনাচ্ছেন মোহাম্মদ মিঠুন। ডানহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান তুলে নিয়েছেন টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি।
৬৬ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন মিঠুন। এটি তার ক্যারিয়ারেরও দ্বিতীয় ফিফটি। হাসান আলির বল পুল করে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মিঠুন। তার ইনিংসে বাউন্ডারি তিনটি।
২৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৩৬/৩। মুশফিকুর রহিম ৬৮ ও মিঠুন ৫১ রানে ব্যাট করছেন।
মুশফিক-মিঠুনের আরেকটি শতরানের জুটি
পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন মুশফিকুর রহিম, এগোচ্ছেন মোহাম্মদ মিঠুনও। দুই জন এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছেন দ্বিতীয় শতরানের জুটি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে চতুর্থ উইকেটে ১২৮ বলে তিন অঙ্কে যায় মুশফিক-মিঠুনের রান। জুটিতে অগ্রণী মুশফিক, যথাসাধ্য সহায়তা করে যাচ্ছেন মিঠুন। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শতরানের জুটিতে দলকে পথ দেখিয়েছিলেন এই দুই ব্যাটসম্যান।
২৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১১৬/৩। মুশফিক ৫৭ ও মিঠুন ৪৪ রানে ব্যাট করছেন।
মুশফিকের ফিফটি
বিপদে আবার দলের ত্রাতা মুশফিকুর রহিম। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে এই কিপার ব্যাটসম্যান তুলে নিয়েছেন নিজের ৩০তম ফিফটি।
৬৮ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পথে মুশফিক হাঁকান ৫টি বাউন্ডারি। এশিয়া কাপে এটি মুশফিকের দ্বিতীয় পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে খেলেছিলেন ম্যাচ জেতানো ১৪৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।
বাংলাদেশের একশ
নড়বড়ে শুরুর পর মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। আস্থার সঙ্গে খেলে দলের সংগ্রহ তিন অঙ্কে নিয়ে গেছেন দুই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
২৪.১ ওভারে একশ স্পর্শ করে বাংলাদেশের স্কোর। পাকিস্তানের স্পিনারদের ভালোভাবে সামাল দিচ্ছেন দুই ব্যাটসম্যান। এক-দুই করে নিয়ে সচল রেখেছেন রানের চাকা।
২৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০৭/৩। মুশফিকুর রহিম ৪৯ ও মিঠুন ৪৩ রানে ব্যাট করছেন।
মুশফিক-মিঠুন জুটিতে পঞ্চাশ
দ্রুত ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশ প্রতিরোধ গড়েছে মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটে। দুই জনে চতুর্থ উইকেটে গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি।
লেগ স্পিনার শাদাব খানকে রিভার্স সুইপ করে চার হাঁকিয়ে জুটির রান পঞ্চাশে নিয়ে যান মুশফিক। দলের বিপদে আরও একবার বুক চিতিয়ে লড়ছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
শুরুতে বেশ ভুগেছেন মিঠুন। দশম বলে রানের খাতা খোলার পর ধীরে ধীরে নিজেকে ফিরে পাচ্ছেন তিনি। খেলছেন মুশফিককে স্ট্রাইক দিয়ে।
৭০ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করে চতুর্থ উইকেট জুটির রান। ১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৬৩/৩। মুশফিক ৩৪ ও মিঠুন ১৬ রানে ব্যাট করছেন।
পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের ৩ উইকেট
পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে এই সময়ে হারিয়েছে তারা। প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের কেউ যেতে পারেননি দুই অঙ্কে।
১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৭/৩। মুশফিকুর রহিম ১২ ও মোহাম্মদ মিঠুন ২ রানে ব্যাট করছেন। পাওয়ার প্লেতে ৪৬টি ডট বল খেলেছে বাংলাদেশ।
জুনায়েদের দারুণ ডেলিভারিতে বোল্ড লিটন
ছবি: এসিসি
দলে ফেরা জুনায়েদ খান শুরুতেই এলোমেলো করে দিয়েছেন বাংলাদেশকে। সৌম্য সরকারের পর আরেক ওপেনার লিটন দাসকে ফিরিয়ে দিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার।
অফ স্টাম্পে পড়ে সোজা আসা বল ব্যাটে খেলতে পারেননি লিটন। ব্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে অফ স্টাম্প উড়িয়ে দেয় বল। ১৬ বলে ৬ রান করে ফিরেন লিটন।
৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১২/৩। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী মোহাম্মদ মিঠুন।
টিকলেন না মুমিনুলও
এশিয়া কাপে আবারও ব্যর্থ মুমিনুল হক। তিনে নেমে দ্রুত ফিরেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
শাহনি আফ্রিদিকে ফ্লিক করে দারুণ এক বাউন্ডারি হাঁকানোর পরই বোল্ড হয়ে ফিরে যান মুমিনুল। অফ স্টাম্পের বাইরে পরে ভেতরে ঢোকা বল ব্যাটে খেলতে পারেননি তিনি। বল প্যাডে লেগে এলোমেলো করে দেয় স্টাম্প।
আগেরবার সুযোগ পেয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন ৯। এবার ফিরলেন ৪ বলে ৫ রান করে।
৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১২/২। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।
শুরুতেই ফিরলেন সৌম্য
ছবি: এসিসি
দলে ফেরা সৌম্য সরকার টিকলেন না। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে গেলেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যর্থতায় ১১ মাস পর দেশের হয়ে ওয়ানডে খেলেতে নেমেছিলেন সৌম্য। বাঁহাতি পেসার জুনায়েদের শর্ট বল পুল করে উড়ানোর চেষ্টায় ফিরে গেছেন স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ দিয়ে।
৫ বলে শূন্য রানে ফিরেন সৌম্য। ৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫/১। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী দলে ফেরা মুমিনুল হক।
পাকিস্তান দলে আমিরের জায়গায় জুনায়েদ
সবশেষ ৬ ম্যাচে কোনো উইকেট না পাওয়া মোহাম্মদ আমির বাদ পড়েছেন। তার জায়গায় দলে এসেছেন আরেক বাঁহাতি পেসার জুনায়েদ খান। পাকিস্তানের একাদশে পরিবর্তন এই একটি।
পাকিস্তান একাদশ: ইমাম-উল-হক, ফখর জামান, বাবর আজম, সরফরাজ আহমেদ, শোয়েব মালিক, আসিফ আলি, শাদাব খান, মোহাম্মদ নওয়াজ, হাসান আলি, জুনায়েদ খান, শাহিন শাহ আফ্রিদি।
সাকিব নেই, বাংলাদেশ দলে ৩ পরিবর্তন
সেমি-ফাইনালে পরিণত হওয়া মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশ পাচ্ছে না সাকিব আল হাসানকে। আঙুলে চিড় ধরায় ছিটকে গেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। বাদ পড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও নাজমুল ইসলাম অপু।
একাদশে ফিরেছেন মুমিনুল হক, সৌম্য সরকার ও রুবেল হোসেন। পেসে শক্তি বেড়েছে বাংলাদেশের, কমেছে স্পিনে। দলে নেই কোনো বাঁহাতি স্পিনার।
বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারকে হারিয়ে একজন বোলারের ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। ১০ ওভার অনিয়মিত বোলারদের দিয়ে করাতে হবে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে।
বাংলাদেশ একাদশ: মাশরাফি বিন মুর্তজা, রুবেল হোসেন, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, ইমরুল কায়েস, মাহমুদউল্লাহ, মুমিনুল হক, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
ছবি: এসিসি
পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো মনে করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
পিচ রিপোর্টে রমিজ রাজা বলেছেন, ২৫০ রান লড়াইয়ের জন্য যথেষ্ট হবে।
পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ মনে করেন, পরে কন্ডিশনে খানিকটা পরিবর্তন আসবে। বাংলাদেশের লম্বা ব্যাটিং দ্রুত গুটিয়ে লক্ষ্যটা নাগালে রাখতে চান তিনি।
আরেকটি ফাইনালের আশায় বাংলাদেশ
এশিয়া কাপের সবশেষ তিন আসরের দুটিতে ফাইনালে খেলা বাংলাদেশের নজর আরেকটি শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে। সেমি-ফাইনালে পরিণত হওয়া এশিয়া কাপের সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারালেই ভারতের সঙ্গে ফাইনালে খেলবে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
আবু ধাবিতে খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে পাঁচটায়।
সুপার ফোরে দুই দলই জিতেছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে, হেরেছে ভারতের কাছে।