এসএসসিতে ১ লাখ ১২ হাজার ৯৫৯ জন অংশগ্রহণকারী

0
78

১ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) থেকে এ বছরের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এ১ লাখ ১২ হাজার ৯৫৯ জন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দিক হলো মোট পরীক্ষার্থীর ৫৩ দশমিক ৯০ শতাংশই ছাত্রী।

২০১৫ সালে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৮৮ হাজার ৭০০ জন। ফলে দেখা যাচ্ছে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ২৪ হাজার ২৫৯ জন।

 

চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় এ বোর্ডের অধীনে নগরী ও জেলার এক হাজার বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছেন। এবার মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯৮হাজার ৭০৩জন নিয়মিত, ১৪হাজার ১৮৫জন অনিয়মিত এবং ৭১জন মানোন্নয়নের পরীক্ষার্থী।

এ বোর্ডের অন্তর্ভূক্ত পাঁচটি জেলা হচ্ছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান।
পরীক্ষার্থীদের তালিকা পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এসএসসি পরীক্ষায় ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্যা এবারও বেড়েছে। গতবারের তুলনায় ছাত্রী পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১৪হাজার ১৮২জন । তবে ছাত্র পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১০হাজার ৭৭জন। গতবার মোট ৪৬হাজার ৭১১জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এবার পরীক্ষায় অংশ নেবে ৬০হাজার ৮৯৩জন। এছাড়া গতবার ছাত্র পরীক্ষার্থী ছিল ৪১হাজার ৯৮৯জন, এবার পরীক্ষা দেবে ৫২হাজার ৬৬জন।

এদিকে গতবারের তুলনায় এবার মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে প্রায় ১০হাজার করে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে বিজ্ঞানে শিক্ষার্থী বাড়ার হার তুলনামূলকভাবে কম।

২০১৫ সালে এ বোর্ডের অধীনে মানবিক বিভাগে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২০হাজার ৯২৫ জন, এবার এ বিভাগে পরীক্ষার্থী ৩০হাজার ৬৮৮জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ২০১৫সালে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪৭হাজার ৫৬৬জন, এবার এ বিভাগে পরীক্ষার্থী ৫৭হাজার ৭০০জন। অন্যদিকে বিজ্ঞান বিভাগে গতবার শিক্ষার্থী ছিলেন ২০হাজার ২০৯জন, এবার এ বিভাগে পরীক্ষার্থী ২৪হাজার ৫৭১জন।

এবার চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের অধীনে চট্টগ্রাম জেলার ১০২টি, কক্সবাজার জেলায় ২৩টি, রাঙ্গামাটি জেলার ১৭টি, খাগড়াছড়ি জেলার ১৭ এবং বান্দরবান জেলার ১০টি কেন্দ্র মিলে মোট ১৬৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার সময় ৭২টি পরিদর্শক দল বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়াবেন।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, ২৫ জানুয়ারি (সোমবার) থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে পরীক্ষা সরঞ্জামও পাঠানো শুরু হয়ে গেছে।’‘সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে আমরা মোটামুটি সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।

এই প্রথমবার এ বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ছাড়াল উল্লেখ করে মোহাম্মদ মাহবুব হাসান আরও বলেন, ‘এবার অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা একটু বেশি। তবে পরীক্ষার্থী বাড়ার আরেকটি মূল কারণ ছাত্রী পরীক্ষার্থী বাড়া। গতবারের তুলনায় এবার এক শতাংশ ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে।

ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ার ব্যাপারে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, ছাত্রী সংখ্যা বাড়াটা খু্বই ইতিবাচক দিক। এবার নগরের তুলনায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, গ্রামের মেয়েরা আর পিছিয়ে নেই। তারাও এগিয়ে আসছে।’

এবার দ্বীপাঞ্চলের কেন্দ্রসমূহে নিয়ম পাল্টানো হয়েছে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাংলানিউজকে বলেন, ‘আগে দ্বীপাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা নিজেদের কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে পারতো। কিন্তু অভিযোগ ওঠার কারণে এবার সেই নিয়ম পাল্টানো হয়েছে। এবার তাদের নিজ এলাকার বাইরের কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে হবে।’

এ প্রথমবারের মতো সারাদেশে নতুন নিয়মে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার পরীক্ষার শুরুর প্রথম ৪০মিনিটে এমসিকিউ (নৈবত্তিক) পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। ৪০মিনিট শেষে ১০মিনিটের বিরতি দেওয়া হবে পরীক্ষার্থীদের। এরপর অনুষ্ঠিত হবে লিখিত পরীক্ষা। পুরনো নিয়মে লিখিত পরীক্ষা আগে অনুষ্ঠিত হতো।