কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক সৈকত পরিচ্ছন্নতা দিবস পালিত

0
67
?????????????

কক্সবাজারে প্রথমবারের মতো পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক সৈকত পরিচ্ছন্নতা দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার কক্সবাজার সৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান কর্মসূচী পালিত হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়ে সুগন্ধ পয়েন্টে শেষ। এতে অংশ নেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহামদ, পরিবেশ অধিপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কাজী সারওয়ার ইমতিয়াজ হাশমী, উপ-পরিচালক একেএম রফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক মো. মকবুল হোসেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী। সাউথ এশিয়া কো-অপারেটিভ এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম এর সিনিয়র প্রোগ্রাম কর্মকর্তা পুুলকেশ মন্ডল।

সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্নতা দিবসে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার (ট্যুরিষ্ট) জিল্লুর রহমান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হোসাইন মোঃ রায়হান কাজেমী, পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের কর্মকর্তা আলী কবির, হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান সিকদার, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবুল কাসেম সিকদার, পরিকল্পিত কক্সবাজার আন্দোলনের সমন্বয়ক সাংবাদিক আব্দুল আলীম নোবেল। যুবনেতা রাজিবুল হক চৌধুরী রিকো, টুয়াকের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস.এম কিবরিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাফ উদ-দৌলা আশেক, সাবেক অর্থ সম্পাদক শহীদুল্লাহ নাঈম, কটেজ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি কাজী রাসেল আহাম্মদ নোবেল, সেভ দ্য নেচারের এর চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম রিয়াদ, এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও পরিবেশ সংগঠনের নেতারা এতে অংশ গ্রহণ করেন।

একাত্মতা প্রকাশ কর্মসূচীতে অংশ নেয় পরিকল্পিত কক্সবাজার আন্দোলন, ট্যুর অপারেটর অব কক্সবাজার (টুয়াক)সহ আরো কয়েকটি সামাজিক সংগঠন। এতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, গ্রাম সংরক্ষণ দলের সদস্য, সাংবাদিক উন্নয়ন কর্মী, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্তরের লোকজন কর্মসূচীতে অংশ নেন।

এসময় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহামদ বলেন, ‘পৃথিবীর বৃহত্তম সমুদ্র সৈকতের অধিকারী বাংলাদেশ। দীর্ঘ এই সৈকতের টানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা ছুটে আসেন। তাই আমাদের অমূল্য সম্পদ কক্সবাজার সৈকতকে সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। সৈকতের পরিচ্ছন্নতা, অবকাঠামো সংরক্ষণ সবকিছু অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে করতে হবে। শুধু নির্দিষ্ট পয়েন্ট নয় কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত পুরো সৈকতকের যতœ নিতে হবে।

পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচীর আগে এক র‌্যালী কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থেকে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে লাবণী পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। কর্মসূচী পালনে সহযোগিতা করেন সাউথ এশিয়া কো-অপারেটিভ এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম ও পরিবেশ অধিপ্তরের ইসিএ প্রকল্প।