কক্সবাজার ও চকরিয়া উপ-শহর জুড়েই টমটম যানজট

0
114

বি এম হাবিব আুল্লাহ, চকরিয়া প্রতিনিধি-থেমে থেমে চলছে গাড়ি। কক্সবাজার জেলা শহর এবং চকরিয়া উপ শহরে লেগেই থাকছে প্রতিদিন যানযট। কোথাও কোথাও থমকে আছে সারিবদ্ধ টমটমের যেন একটি ফাইল ছবি। ১০ মিনিটের যাত্রা ৫০ মিনিটেও যেন শেষ হবার নয়। যানজটের এই চিত্র প্রধান সড়ক থেকে পৌঁছে গেছে শহরের অলিগলিতেও। রমজানের শুরু থেকে কক্সবাজার শহর জুড়েই এ চিত্র। সকাল থেকেই শুরু হয় যানজট। বিকাল ৫টার পর যানজট আরো তীব্র আকার ধারণ করে। তবে চকরিয়া উপ-শহরে একটু ব্যাতিক্রম কারন এ শহরে রয়েছে ত্রি-মুখি সড়ক। ফলে তিনটি সড়কেই লেগে থাকে যানযট। এতে করে চরম বিপাকে পড়তে হয় পরিবার পরিজনের সাথে যাওয়া ঘরমুখো মানুষকে।
ভুক্তভোগীরা বলছেন- অপরিপক্ষ চালক দ্বারা চালিত নিয়ন্ত্রণহীন ইজিবাইকই (টমটম) যানজটের প্রধান কারন। এছাড়া ট্রাফিক পুলিশের গা-ফেলতির কারনে ঘন্টার পর ঘন্টা জটে আটতে থাকতে হয় ঘরমুখো মানুষদের।
কক্সবাজার সরকারী কলেজের ছাত্র ইকরামুল হক বাবু বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক (টমটম) যোগে সরকারী কলেজ গেট থেকে রওয়ানা দিই। সাধারণত সর্বোচ্চ ১০ মিনিট সময় লাগলেও পৌঁছাতে প্রায় ৪০ মিনিটেরও বেশী লেগে যায়। চকরিয়া কলেজের ছাত্র আব্দুল্লাহ বলেন-চকরিয়া শহরের প্রধান সড়কের যানজটের কারণে পুরো রাস্তার দু’পাশে যানবাহন থেমে থেমে চলাচল করে মুহুর্তেই এক মুখি সড়কের উপর টমটম মুখ ফিরিয়ে একই সড়ক দিয়ে পুনরায় চলাচলের চেষ্ঠা করলেই লেগে যায় তিব্র যট। চকরিয়ার তিনটে সড়কই যেন টমটম গুলো দখল করে রেখেছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নুর মুহাম্মদ বলেন, রামু থেকে কক্সবাজার শহরে এসে অফিস করি। সময় লাগে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট। রোজা শুরু থেকে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লাগছে। বাস টামিনাল, লিংকেরোড এলাকায় নিয়মিতই যানজটে আটকা থাকতে হয়।
বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহর ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই শহর জুড়েই তীব্র যানজট। সময় যতো বাড়তে থাকে ক্রমেই যানজটের তীব্রতাও বাড়তে থাকে। সকাল ১০টার পর থেকেই যানজট অসহনীয় রূপ নেয়। বড় বাজার এলাকায় পথচারীদের বেশ কয়েকজন জানান, শহরের লালদীঘির পাড়সহ বেশকিছু এলাকায় ফুতপাত দখল করে হকার বসেছে। অনেক সময় রাস্তার উপরও ভ্যানগাড়িতে করে পণ্য সাজিয়ে ব্যবসা করছে হকাররা। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ পার্কিংয়ের জন্যও তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) বাবুল কুমার বণিক এখন তেমন যানজট নেই জানিয়ে বলেন, রোজা পনেরটি’র পর থেকে শহরে যানজট রোধে ট্রাফিক পুলিশের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হবে। অতিরিক্ত ২০ জন পুলিশ সদস্য এবং ৪০ জন কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য পুরোদমে কাজ করবে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে। তিনি জানান, যান চলাচল নির্বিঘ্নে রেখে শহরবাসীর ভোগান্তি কমাতে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাবে ট্রাফিক পুলিশ।