কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই

0
92
কায়সার হামিদ মানিক,উখিয়া।
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়রাই যেন রোহিঙ্গা হয়ে গেছে। প্রতিটি চেকপোস্টে স্থানীয়দের বারবার দেখাতে হয় জাতীয় পরিচয়পত্র।
একদিকে পুলিশের হয়রানি অন্যদিকে রোহিঙ্গাদের জন্যে আনা বাঁশের ট্রাকে অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই করে আনায় সড়কে বিকল হয়ে পরা গাড়ির ফলে দুঃসহ যানজট। পথচারীসহ গাড়ির যাত্রীদের তখন এক যন্ত্রণাকর অবস্থায় শ্বাস নিতে হয়। গাড়ি যারা চালান তাদেরও একই অবস্থা।
বাঁশের ট্রাকসহ বিবিধ কারণে এই জট হয়। তার মধ্যে একটি হলো কোনো গাড়ি মাঝপথে বিকল হয়ে যাওয়া। বিকল গাড়ি চটজলদি সারিয়ে নেওয়ার কোনো পদ্ধতি নেই। ভাগ্য ভাল হলে যন্ত্রণা দূর হয় দ্রুত। নইলে নিজের কপাল নিজেই চাপড়ান।
উখিয়ার নিত্যদিনের ঘটনা তীব্র যানজট। স্থানীয় কুতুপালং এলাকার ডাক্তার মুজিব জানান, গতকাল ব্যক্তিগত কাজে আমি কক্সবাজার গিয়েছিলাম। সেখানে পথিমধ্যে পাঁচটি পুলিশ চেকপোস্টে আমাকে পাঁচবারই জাতীয় পরিচয়পত্র দেখাতে হয়েছে। এটি বিরক্তকর অবস্থা। এমনিতে ১ ঘন্টার জায়গায় পৌঁছতে আমাদের সময় লাগে তিন ঘন্টা। একদিকে পুলিশি হয়রানি অন্যদিকে গাড়ি বিকল হয়ে পড়াজনিত যানজট।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কোটবাজার রত্না এলাকার এডভোকেট তোফায়েলের পুত্র সালমান নাদির জানান, আমি আমার ছোট বোনকে নিয়ে কক্সবাজারে ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলাম। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের রেজু ব্রিজ এলাকায় বিজিবির চেকপোস্টে আমার বোনকে নামিয়ে ফেলে। ভেতরে ঢুকিয়ে বিজিবির মহিলা সদস্যদের দিয়ে চেক করেন। আমার কোনো অনুরোধ সেদিন বিডিজির জোয়ানরা রাখেননি। যা আমাদের জন্য দুঃখের বিষয়। এসব বলারও কেউ নেই।
এসব হয়রানির পাশাপাশি তিনি আরও জানান, বালুখালী কাস্টমস এলাকায় অতিরিক্ত টাকা আদায়ে দালালদের দৌরাত্ম, টাকা আদায় নিয়ে চালকদের সঙ্গে দালালের বাকবিতণ্ডা, কিছু প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস উল্টোপথে চলা, এনজিওর কিছু গাড়ির ওভার-টেকিং, সড়কে টমটমসহ বিভিন্ন গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানো।
সড়কে অতিরিক্ত মালবোঝাই ট্রাকের চালক নাম প্রকাশ না করে বলেন, ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা দিয়ে নিস্তার মেলে।
এদিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের গাড়ি চালকরা বেপরোয়া হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে দুর্ঘটনা। প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। আহত হয়ে অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করছেন। টাকার অভাবে কেউ কেউ আবার মৃত্যুর পথযাত্রী। পাশাপাশি সড়কজুড়ে ফিটনেসবিহীন ও নিষিদ্ধ যানবাহনের বেপরোয়া চলাচলের কারণে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে হাজার হাজার যাত্রী।