কন্যাকন্যাকে ধর্ষণ, পাষন্ড পিতা গ্রেফতার

0
91

সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার প্রতিনিধি, কক্সবাজার সদরে পিএমখালী ইউনিয়নের কাঠালিয়ামুড়া এলাকায় নিজ ওরষজাত কন্যাকে ধর্ষণ করেছে কলিম উল্লাহ নামের এক পাষন্ড পিতা। ধর্ষিতা মেয়েটির বয়স ১৩ এবং সে স্থানীয় পিএখালী উচ্চ বিদ্যালয় এর ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। গত বছরের মার্চে প্রথমবার এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ পেয়ে ধর্ষক কলিম উল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নোমান হোসেন প্রিন্স বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মেয়ে ও তার মায়ের বরাত দিয়ে মো. নোমান হোসেন প্রিন্স জানান, পিএমখালী ইউনিয়নের কাঠালিয়ামুড়া এলাকার কলিম উল্লাহর সাথে একই ইউনিয়নের জুমছড়ি এলাকার খোরশিদা বেগমের বিয়ে হয়। তবে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে তাদের তালাক হয়। তাদের দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।
তালাকের পর ছোট কন্যা মায়ের সাথে নানার বাড়ীতে চলে গেলেও বড় কন্যা লেখাপড়ার জন্য তার বাবা কলিম উল্লাহর কাছে থাকে। সে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থানীয় পিএখালী উচ্চ বিদ্যালয় এর ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী থাকলেও হঠাৎ একদিন তার বাবা কলিম উল্লাহ্ তার পড়াশোনা বন্ধ করে দেন।
ধর্ষিতার ভাষ্য মতে, ২০১৭ সালের মার্চের কোন একদিন কলিম উল্লাহ্ তার কন্যাকে তার সাথে বিছানায় ঘুমাতে বাধ্য করেন এবং পরে তাকে সারারাত ধর্ষণ করেন। এরপর থেকে প্রাণনাশসহ নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে এই পাষন্ড পিতা তার কন্যাকে নিয়মিত পাষবিক নির্যাতন করতে থাকে। একপর্যায়ে মেয়েটি অন্তস্বত্ত্বা হয়ে পড়ে।
এদিকে অন্ত:স্বত্ত্বা হয়ে পড়ায় কলিম উল্লাহ্ স্থানীয় মেম্বার আরিফের সহযোগিতায় তড়িঘড়ি করে গত জানুয়ারিতে ওই মেয়েকে তার এক ফুফাতো ভাইয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে দেয়। কিন্তু বিয়ের চার দিন পর ওই মেয়ের একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয়।
ধর্ষিতা জানান, সন্তান জন্মদানের পর শ্বশুর বাড়ীর লোকজন তার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতে থাকেন। একপর্যায়ে ২৮ দিনের মাথায় তার কন্যা সন্তানটি মারা যায়। অত্যাচার এর মাত্রা বেড়ে গেলে ১ এপ্রিল মেয়েটি শ্বশুর বাড়ী থেকে পালিয়ে নানার বাড়ীতে মা খোরশিদা বেগমের কাছে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নোমান হোসেন প্রিন্স বলেন, অভিযোগ পেয়ে ধর্ষিতা ওই মেয়ে এবং তার পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করেছি এবং সাথে সাথে পুলিশের সহযোগিতায় বুধবার (৪ মার্চ) অভিযান চালিয়ে ধর্ষক পাষন্ড কলিম উল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।