কমিনিউটি ক্লিনিক বন্ধ চিকিৎসা সেবা থেকে ব্যহত

0
125

শফিউল আলম, রাউজান ঃ রাউজানের ডাবুয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কলমপতি এলাকায় অবস্থিত কমিনিউটি ক্লিনিকটি চালু হওয়ার পর থেকে কলমপতি, দক্ষিন হিংগলা, দক্ষিন হিংগলা শান্তি নগর, কাজীর টিলা,হিংগলা নতুন পাড়া, হিংগলা সুন্দর পাড়া, পৌর এলাকার ওয়াহেদের খীল এলাকার দরিদ্র পরিবারের মহিলা, পুরুষ, শিশুরা কলমপতি কমিনিউটি ক্লিনিকে এসে চিকিৎসা সেবা গ্রহন করতো । চিকিৎসা শেষে রোগীদের সরকার প্রদত্ত ঔষধ প্রদান করা হতো । গত দুই মাস পুর্বে কলমপতি কমিনিউটি ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা রোজী আকতার মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে তার শ্বাশুর বাড়ী রাউজানের পশ্চিম রাউজান হরিশখান পাড়া এলাকায় বসবাস করছে । তার পুর্বে কলমপতি কমিনিউটি ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা পরিবার পরিকল্যান সহকারী সাবিহা মরিয়ম শান্তা পদ উন্নতি পেয়ে রাউজান সুলতান পুর ৩১ শষ্যা হাসপাতালে চলে যায় । কলমপতি কমিনিউটি ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ সহকারী আবদুল হাকিম কমিনিউটি ক্লিনিকে নিয়মিত আসেনা । প্রতি সম্পাহের বুধবার পরিবার কল্যান সহকারী টুম্পা রানী দে কলমপতি কমিনিউটি ক্লিনিকে দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলে প্রতি সাপ্তাহের বুধবারে আসেনা । কলমপতি কমিনিউটি ক্লিনিকটি প্রতিদিন তালাবদ্ব অবস্থায় বন্দ্ব থাকে । এলাকার লোকজন জানান, কলমপতি কমিনিউটি ক্লিনিকটি প্রতিদিন বন্দ্ব থাকে । হঠাৎ কিচুক্ষনের জন্য স্বাস্থ্য সহকারী আবদুল হাকিম এসে কমিনিউটি ক্লিনিক খুলে বসে কয়েকজন রোগী দেখে তাদের ঔষধ দিয়ে কমিনিউটি ক্লিনিক তালা মেরে চলে যায় । এলাকাবাসীর অবিযোগ পেয়ে গত ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টার সময়ে কলমপতি কমিনিউটি ক্লিনিকে গিয়ে কমিনিউটি ক্লিনিকটি বন্দ্ব থাকতে দেখা যায় । কমিনিউটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন মহিলা কমিনিউটি ক্লিনিক বন্দ্ব থাকায় চিকিৎসা না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যায় । কলমপতি কমিনিউটি ক্লিনিকের পার্শ্ববর্তী নাসিম চৌধুরীর বাড়ীর বাসিন্দ্বা হারুন চৌধুরী জানান কলমপতি কমিনিউটি ক্লিনিকটি প্রতিদিন বন্দ্ব থাকে । কমিনিউটি ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফিরে যায় । গত ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার কমিনিউটি ক্লিনিক বন্দ্ব থাকা প্রসঙ্গে কমিনিউটি ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য সহকারী আবদুল হাকিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিনিউটি ক্লিনিকে ঔষধ না থাকায় রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঔষধ আনার জন্য গেছেন । গতকাল ১৯ নভেম্বর রবিবার সকাল সাড়ে এগারটার সময়ে কলমপতি কমিনিউটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায় কমিনিউটি ক্লিনিকের দরজায় তালাবদ্ব । কমিনিউটি ক্লিনিকের দরজায় চিকিৎসা সেবা নিতে আসা দক্ষিন হিংগলা বণিক পাড়ার কৃষ্ণা ধর, তার ২ বৎসর বয়সের পুত্র অসিত ধরকে নিয়ে কখন কমিনিউটি ক্লিনিক খুলবে এই আশায় বসে রয়েছে চিকিৎসার জন্য । একই ভাবে একই এলাকার পিংকি বণিক, কলমপতি এলাকার মনি বেগম, রুশ্নি আকতার তাদের ছেলে মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য বসে রয়েছে । চিকিৎসা সেবা নিতে আসা দক্ষিন হিংগলা বণিক পাড়ার কৃষ্ণা ধর, পিংকি বণিক, কলমপতি এলাকার মনি বেগম, রুশ্নি আকতার বলেন গত এক সাপ্তাহের মধ্যে চার বার এসেছে কমিনিউটি ক্লিনিকে কমিনিউটি ক্লিনিক বন্দ্ব থাকায় তারা চিকিৎসা সেবা নিতে পারেনি । তারা দরিদ্র পরিবারের সদস্য হওয়ায় অর্থের অভাবে বাইরে গিয়ে কোন চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নিতে পারছেনা । এই ব্যাপারে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মনোয়ার হোসেন চৌধুরীর কাছে ফোন করে জানতে চাইলে, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, কমিনিউটি ক্লিনিকটি কেন বন্দ্ব রাখা হয়েছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।