কর্ণফুলীতে ৩টি চোরাই গবাদিপশু উদ্ধার

0
194

জে.জাহেদ:
কর্ণফুলী উপজেলায় রবিবার ৮টায় বড়উঠান ইউনিয়নের শাহমীরপুর ৭নং ওয়ার্ডের দারোগারহাট এলাকা থেকে ৩টি চোরাই গবাদিপশু উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ ফাঁিড়। এর মধ্যে ছোটবড় ২টি মহিষ ও ১টি গরু রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ ফাড়ির ইনর্চাজ এসআই ইয়ার হোসেন সোহেল।
এ সময় এসব গবাদিপশু চুরির সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুজন পালিয়ে যায় বলে জানা যায়। এবং জানা যায় আরো ১টি চোরাই গরু এলাকায় রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, তারা উদ্ধারকৃত গবাদিপশু গুলো নোয়াখালী,ফেনী কিংবা সন্দ্বীপ এলাকা হতে চুরি করে নিয়ে আসছে বলে তাদের ধারণা।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, শাহমিরপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজের নেতৃত্বে একদল পুলিশ নিয়মিত টহল দেওয়ার সময় খবর পেয়ে দারোগারহাট এলাকা থেকে পরিত্যক্ত ৩টি চোরাই গবাদিপশু উদ্বার করে।
পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে চোর চক্র পালিয়ে যায়। তথ্য পাওয়া যায়, এরা একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে গরু, মহিষ চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করে আসছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব চোরদের সংঘবদ্ধ একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। যাদের সাথে জড়িত এলাকার কয়েকজন।
স্থানীয়রা আরো জানান ,এসব কাজের সাথে দারোগারহাট উত্তমপাড়ার কবির আহমদের পুত্র মোঃ আইয়ুব প্রকাশ পঙ্গু আইয়ুব, মোঃ ইসমাইলের পুত্র বোরহান ,জাকিরাপাড়ার আব্দুল মালেক প্রকাশ কালা মালেক ও মোঃ করিম জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করছে।
বড়উঠান শাহমীরপুর ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ইলিয়াছ বলেন, প্রায় সময় এলাকায় এসব ঘটনা ঘটছে। গবাদিপশু উদ্ধার হলেও কেহ বাদী হয়ে মামলা করেনা বিধায় বারবার একই ঘটনা পুনরাবৃত্তি করা এবং সাহস পাচ্ছে। এক্ষেত্রে পুলিশের আরো আন্তরিকতার প্রয়োজন রয়েছে বলে করেন তিনি।
পুলিশ ফাড়ির ইনর্চাজ (এসআই) ইয়ার হোসেন সোহেল বলেন, “অভিযান চালিয়ে ২টি মহিষ ও ১টি গরু উদ্ধার করা হয়েছে । এসব গবাদিপশু এখন ফাঁড়ি’র হেফাজতে রয়েছে। বাকিটা উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে পরার্মশ করে আইনানুগ ব্যবস্থার প্রক্রিয়া চলছে”।