কর্মীর অভাবে পণ্ড আ. লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা

0
99

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম>>কর্মীর অভাবে পণ্ড আ. লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনাকর্মীর অভাবে পণ্ড আ. লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা কর্মীর অভাবে শুরুই হলো না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দ্বিতীয় দিনের আলোচনা সভা। লতিফ সিদ্দিকীসহ হাতে গোণা ক’জন নেতা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশস্থলে এলেন বটে, কিন্তু নেতাকর্মীর আকাল দেখে হয়ে পড়লেন মহাবিরক্ত। শেষ পর্যন্ত বিরক্তির ষোলকলা পূর্ণ করে আলোচনা সভাস্থল ত্যাগ করলেন তারা।

আর নেতা শূন্য মঞ্চে দর্শক ছাড়াই কবিতা আবৃত্তি ও সঙ্গীত পরিবেশন করলেন বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের শিল্পীরা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নির্ধারিত স্থানে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল মঞ্চ সাজানো। মিডিয়া সেন্টার আর পুলিশ কন্ট্রোল রুমও আছে। সারি সারি চেয়ারও পাতা। কিন্তু চেয়ারে বসার মানুষ নেই। আসছে না নেতাকর্মীদের মিছিল। আসেননি নির্ধারিত আলোচক, এমনকি আলোচনা সভার পূর্ব নির্ধারিত সভাপতি সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীও।

আগের দিনই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ড. আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।। সে অনুযায়ী সব গণমাধ্যম কর্মীরাও যথাসময়ে উপস্থিত হন। হাজির হন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পাঁচজন নেতাও।

এদের মধ্যে দপ্তর সম্পাদক আবদুল মান্নান খান, উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল সভাস্থলে আসেন বিকেল সাড়ে চারটায়। এরপর ৫টায় আসেন দপ্তর সম্পাদক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সদস্য সুজিত রায় নন্দী।

সন্ধ্যা ৬টায় সভাস্থলে এসে হাজির হন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। তিনি সভাস্থলে এসে পরিবেশ দেখে বিরক্তি প্রকাশ করেন। সভাস্থলের চারপাশ ঘুরে বিরক্তি নিয়েই চলে যান। তার সঙ্গে সঙ্গে চলে যান বাকি নেতারাও।

পরে দর্শক ছাড়াই বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারের শিল্পীরা কবিতা আবৃত্তি ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন।

এর আগে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় অনুষ্ঠান হবে কিনা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সুজিত রায় নন্দী সাংবাদিকদের বলেন, অনুষ্ঠান হবে।

একই প্রসঙ্গে দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি অন্য নেতাদের দেখিয়ে দেন।

তবে কোনো উত্তর করতে রাজি হয়নি দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।

এর আগে প্রথম দিনও লোকসমাগম কম থাকায় আসেননি নির্ধারিত আলোচক প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

এতে বিরক্তি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তসহ অনেক নেতা।