কলকাতা থেকে ৯৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ফণী

0
90

কলকাতা থেকে মাত্র ৯৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। বুধবার রাতে পশ্চিমবঙ্গের দিকে বাঁক নিয়েছে তা। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের সতর্কবার্তা বলছে, ‘আয়লা’র মতোই শক্তিশালী হবে এই ঝড়। গত ১ মে বুধবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিতে ক্রমে উত্তর দিকে এগিয়ে গিয়েছে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী হয়ে ওঠা ফনী। আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, কলকাতা থেকে ৯৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম এবং পুরীর ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম এবং দীঘার ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম দিকে এটি অবস্থান করছে। মঙ্গলবার রাতে ঝড়ের অবস্থান ছিল দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্ব ১২.৬ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৫.৭ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে, যা পুরী থেকে ৮০০ কিলোমিটার দূরে এবং ৬২০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পশ্চিম অন্ধ্রের কাছে। সেটাই বুধবার প্রায় মাঝ রাতে বাঁক নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের দিকে। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাষ অনুযায়ী, ৩ মে শুক্রবার ফণী দক্ষিণ পুরীর দিকে চলে আসবে।

তখন এর গতিবেগ হতে পারে সর্বোচ্চ ২০৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
ইতিমধ্যে পর্যটক শহর পুরীর সব হোটেল খালি করে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের যথাসম্ভব ভিতরের দিকে চলে যেতে বলা হয়েছে। একই ভাবে পশ্চিমবঙ্গের পর্যকদের প্রিয় দীঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর ও বকখালিতে পর্যটকদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ‘ফণি’র ছোবল থেকে বাঁচতে একাধিক সর্তকতামূলক নির্দেশিকা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। বলা হয়েছে, ঝড়ের দাপটে কলকাতায় গাছ উপড়ে পড়তে পারে। ভেঙে পড়তে পারে কাঁচাবাড়ি। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথি নিরাপদে সরিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ২ থেকে ৪ মে সব ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ৫ মে পর্যন্ত ফণীর তান্ডব চলবে সাগর উপকূলবর্তী অঞ্চল এবং সংলগ্ন শহর ও গ্রামে। ইতিমধ্যেই ভারী সতর্কতা জারি করা হয়েছে সাইক্লোনের প্রত্যেকটি সম্ভাব্য পথেই। পাশাপাশি ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীকে উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাইক্লোন ফণীর কারণে কী পরিস্থিতি হতে পারে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কর্মকর্তাদের বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। ইতিমধ্যেই বিপর্যয় মোকাবিলায় উপকূলবর্তী রাজ্যগুলির জন্য ১০৬৮ কোটি রুপি মঞ্জুর করেছে কেন্দীয় সরকার। পশ্চিমবঙ্গের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৩৫.৫০ কোটি রুপি। চার রাজ্যে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স মোতায়েন করা হচ্ছে। ওড়িশায় প্রস্তুত থাকছে ২৮টি দল। অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে যথাক্রমে আট এবং পাঁচটি দল মোতায়েন করা হবে। সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, নৌসেনাকেও।