কলেজিয়েট স্কুলের ১৮০ বছর পূর্তির বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

0
50

কলেজিয়েট স্কুলের ১৮০ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনী উৎসবের প্রথম দিনে বের করা হয়েছে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। অশীতিপর বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সদ্য প্রাক্তন হাজারো ছাত্রের প্রাণের মেলায় পরিণত হয় শোভাযাত্রাটি। এ সময় ‘সবার সেরা কলেজিয়েট কলেজিয়েট’ স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে চারদিক।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটায় দৈনিক আজাদী সম্পাদক ও চট্টগ্রাম কলেজিয়েটসের সভাপতি এমএ মালেকের নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি বের হয়। রংবেরঙের ফেস্টুন, মুখোশ, চিত্রকর্ম, ডিজিটাল ব্যানার, জাতীয় পতাকা শোভিত শোভাযাত্রাটি আইস ফ্যাক্টরি রোড প্রদক্ষিণ করে। এ সময় প্রাক্তন ছাত্ররা মোবাইল ফোনে সেলফি তোলা ও ভিডিও ধারণে মেতে ওঠেন।

 

শোভাযাত্রায় অংশ নেন ১৮০ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলন উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম কলেজিয়েটসের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শোভাযাত্রা উপকমিটির আহ্বায়ক আশরাফুল আলম হিরণ, দপ্তর সম্প‍াদক আবুল হাসনাত মো. বেলাল, সৈয়দ উমর ফারুক, দ্বৈপায়ন পাল, সুমন চক্রবর্তী, দেবাশীষ চক্রবর্তী, লায়ন জাহাঙ্গীর মিঞা, আলোকচিত্রী মউদুদুল আলম প্রমুখ।

তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার প্রথম দিন শোভাযাত্রা ছাড়াও ছিল কিটস বিতরণ, আলোচনা সভা, ‍পুরস্কার বিতরণ ও ৪০জন ছাত্রকে বৃত্তিদান। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে থাকবে স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রদের ব্যান্ড আগস্ট এবং রেকর্ডস ও রাহান অ্যান্ড ফ্রেন্ডসের পরিবেশনা।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে সকাল ১০টা থেকে থাকবে সৌহার্দ্য বিনিময়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ক্রেস্ট প্রদান। আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসবের উদ্বোধন করবেন প্রাক্তন ছাত্র নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি উপস্থাপন করবেন ‘সামাজিক ব্যবসায়-প্রেক্ষাপট: বিশ্ব ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রবন্ধ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক।সন্ধ্যা ছয়টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন অনিরুদ্ধ সেনগুপ্ত, দিনাত জাহান মুন্নী, ব্যান্ডদল মাইলস্‌ ও অর্থহীন।

রোববার সন্ধ্যা ৬টায় সমাপনী বক্তব্য দেবেন কলেজিয়েট স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় কলেজিয়েট ট্রাস্ট প্রসঙ্গে আলোচনায় সভাপতিত্ব করবেন চৌধুরী মোহাম্মদ মোহসীন।সন্ধ্যা সাতটায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন হৈমন্তী রক্ষিত মান, কৌতুক শিল্পী আরমান ও ব্যান্ডদল সোলস।