কানাডা বাংলাদেশে ঔষধ, তথ্য প্রযুক্তি ও জ্বালানী খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী

0
93

বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাই কমিশনার মিস হিদার ক্রুডেন ১৮ আগস্ট সকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এ সময় চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, পরিচালকবৃন্দ মাহফুজুল হক শাহ, এম. এ. মোতালেব, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), কামাল মোস্তফা চৌধুরী, আনোয়ার শওকত আফসার, মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন চৌধুরী, মোঃ জহুরুল আলম, আলহাজ্ব মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মোঃ জাহাঙ্গীর, কানাডা ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইন ইনস্টিটিউট (সিআইজিআই)’র মিলিং বিশেষজ্ঞ অশোক সরকার, বিজ্ঞান ও উদ্ভাবন পরিচালক ইলেঈন সুপিনিক, বেকিং বিশেষজ্ঞ মিস. ইভন্নী সুপীন ও হাই কমিশনের ট্রেড কমিশনার কামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময়কালে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বাংলাদেশের অবকাঠামো ও জ্বালানী খাতে কানাডিয়ান বিনিয়োগের আহবান জানান। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের উল্লেখ করে তিনি এক্ষেত্রে হাইকমিশনারের ব্যক্তিগত উদ্যোগ কামনা করেন। কানাডায় বাংলাদেশের প্রায় ১.৭ বিলিয়ন ডলার রপ্তানী পণ্যের ৯৬% তৈরীপোশাক ও টেক্সটাইল পণ্য। তাই বিদ্যমান বাণিজ্য প্রসারে রপ্তানী পণ্যের বহুমূখী করণের লক্ষ্যে নতুন নতুন পণ্য সংযোজনের উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। চেম্বার সভাপতি দেশের কৃষি পদ্ধতির উন্নয়ন, চাষাবাদযোগ্য জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, কৃষি কাজের সম্প্রসারণ এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনায় কানাডিয়ান গ্রেইন ইনস্টিটিউটের সহযোগিতার অনুরোধ জানান।

হাই কমিশনার হিদার ক্রুডেন বলেন-কানাডা বাংলাদেশের ঔষধ, তথ্য প্রযুক্তি ও জ্বালানী খাতে বিনিয়োগ এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১.৮৫ বিলিয়ন থেকে ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে আগ্রহী। তিনি কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাত করণের ক্ষেত্রে অনেক বছর যাবৎ কানাডিয়ান গ্রেইন ইনস্টিটিউট’র নিয়মিত সহযোগিতা এবং উন্নয়ন কর্মসূচীর মাধ্যমে ৪০ লক্ষ শিশু ও তরুণদের কানাডিয়ান সরকারের সহায়তার বিষয় তুলে ধরেন। হাই কমিশনার বাংলাদেশের স্থিতিশীল অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিপুল মানব সম্পদকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি, নার্স, শিক্ষক, প্রকৌশলীসহ পেশাজীবী হিসেবে তৈরী করে বিদেশে রপ্তানী এবং আরএমজিসহ বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত শ্রমিকদের মান ও কর্মপরিবেশ উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নে পিপল টু পিপল কানেকশন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভিসা পদ্ধতি সহজতর করাসহ বাংলাদেশ থেকে ভিসা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হাই কমিশনারকে অনুরোধ করেন। তিনি দক্ষিণ চট্টগ্রামে প্রস্তাবিত ইকনোমিক জোনে বৃহৎ শিল্প স্থাপনে কানাডিয়ান বিনিয়োগের আহবান জানান। চেম্বার পরিচালকবৃন্দের মধ্যে মাহফুজুল হক শাহ দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়নে কানাডা সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রত্যাশা করেন। এম. এ. মোতালেব চেম্বারের সাথে যৌথভাবে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার আহবান জানান। জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর) কানাডা থেকে খাদ্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সরাসরি উৎপাদনকারীদের সাথে যোগাযোগের লক্ষ্যে হাই কমিশনের সহযোগিতা কামনা করেন। আনোয়ার শওকত আফসার জি টু জি পর্যায়ে পণ্য আমদানির বিষয়ে হাই কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং মোঃ সিরাজুল ইসলাম অবকাঠামো ও কৃষি খাতে কানাডিয়ান বিনিয়োগের পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চান।