কাশ্মীর আনুষ্ঠানিকভাবে বিভক্তির প্রথম দিনেই চীন-ভারত উত্তেজনা

0
221

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিখণ্ডিত হল। ভারত অংশে এখন থেকে কাশ্মীর উপত্যকার পরিচিতি হবে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে ভারতের কেন্দ্রশাসিত দুটি অঞ্চল হিসেবে। থাকবে নামমাত্র বিধানসভা। সেখানে প্রধানের দায়িত্বে থাকবেন সরকার মনোনীত দু’জন লেফটেন্যান্ট গভর্নর।

এমন সিদ্ধান্তের আগের দিন (বুধবার) এটিকে বেআইনি বলে উল্লেখ করেছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াং।

তিনি বলেন, ভারত সরকারিভাবে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে যে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে চীনের কিছু অংশ পড়ছে।

এর জবাবে বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবিশ কুমার বলেছেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য কেউ নাকগলাক, এটা ভারত কখনও চায় না। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়া হয়। সে দিনই সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীর বিভাজন বিল। পরের দিন সেই বিল পাসও হয়ে যায়। জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য ভেঙে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়। ওই সময়ই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ৩১ অক্টোবর থেকে সরকারিভাবে আলাদা যাত্রা শুরু করবে দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।

কলকাতার প্রভাবশালী গণমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, জম্মু-কাশ্মীরের বিভক্ত নিয়ে এর আগেও আপত্তি তুলেছিল চীন। আবার ভারত-চীন সীমান্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বেইজিং। সেই দাবি আরও জোরালো হয়েছে লাদাখকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণার পরে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াং বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ভারত সরকারিভাবে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে যে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে চীনের কিছু অংশ পড়ছে।

তিনি আরও বলেন, চীন দৃঢ়ভাবে এর প্রতিবাদ করছে। এটা বেআইনি এবং এটা কোনোভাবেই কার্যকরী হবে না। এটা বদল করতে পারবে না যে এর কিছু অংশ চীনের নিয়ন্ত্রণরেখার মধ্যে।

নয়াদিল্লি অবশ্য বরাবরই বেজিংয়ের এই দাবি অস্বীকার করে আসছে। বৃহস্পতিবারও রবিশ কুমার বলেন, চীন হোক বা অন্য কোনো দেশ, আমরা কখনওই চাই না, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলুক। ভারত যেমন অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলতে যায় না।’