কুতুপালং ক্যাম্পে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

0
81
কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া
উখিয়ার কুতুপালংয়ে প্রায় ঘন্টাব্যাপী রোহিঙ্গা শিশুদের আদর, সোহাগ ও তাদের সঙ্গে কথা বলে সময় পার করলেন ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত ও বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। এসময় তিনি শিশুদের শারিরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন। বিশেষ করে ক্যাম্প ভিত্তিক গড়ে উঠা ইউনিসেফ কর্তৃক বিভিন্ন সাইল্ড কেয়ার (শিশু বান্ধব) কেন্দ্রগুলো গুরুত্ব সহকারে প্রত্যক্ষ করে সেখানে বেড়ে উঠা শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মানসিক, শারিরিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধারণা নেন।
বুধবার সকাল ৯টার দিকে জামতলি, বাঘঘোনা, ময়নারঘোনা ও বালুখালী পানবাজার, থাইংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাড়ে ১১টার দিকে কুতুপালং ক্যাম্পে প্রবেশ করেন। এসময় ক্যাম্পে কর্মরত ইউনিসেফসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কর্মকর্তারা বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে স্বাগত জানান। পরে এ অভিনেত্রী কুতুপালং ক্যাম্পের অলিগলি ঘুরে ঘুরে রোহিঙ্গাদের থাকা, খাওয়া, পরিবেশ-পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হন এবং প্রচন্ড গরমে পলিথিনের ঝুপড়িতে রোহিঙ্গা শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের বসবাস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বেশ কয়েকটি স্থানে জড়ো হওয়া মিয়ানমার সেনা, বিজিপি ও রাখাইন উগ্রবাদীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হওয়া রোহিঙ্গা নারী, পুরুষের সাথে পৃথক পৃথক ভাবে কথা বলেন। এসময় প্রিয়াঙ্কা রোহিঙ্গাদের আশ্বস্থ করেন, যাতে তারা মিয়ানমারে ফিরে গিয়ে সেখানে পূর্ণ নাগরিকত্ব নিয়ে বসবাস, ব্যবসা-বাণিজ্য ও ছেলে/মেয়েদের পড়ালেখার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে। তিনি জানান, ইউনিসেফের নেতৃত্বে বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক দাতা সংস্থার সাথে কথা বলে রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থান ও পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করবেন।
উল্লেখ্য, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এ সফরে এসেছেন ইউনিসেফের পক্ষ হয়ে। প্রকৃতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারী অধিকার ইত্যাদি বিষয়ে কাজ করে চলেছেন এ বলিউড অভিনেত্রী। এর আগে গত বছর প্রিয়াঙ্কা গিয়েছিলেন জর্ডানে, সিরিয়ান শরণার্থী শিশুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করবো এবং সেখানকার সব অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ইনস্টাগ্রামে। এ বিষয়টি নিয়ে সারা বিশ্বের এগিয়ে আসা উচিত। ভাবা উচিত আমাদেরও।