কেজিডিসিএল কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন

0
62

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) বরাবরে ২০ হাজার আবাসিক গ্রাহক সংযোগ ফি ও জামানতের টাকা দেওয়ার এক বছরেও গ্যাস সংযোগ না পাওয়ায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বিক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা দফায় দফায় যোগাযোগ এমনকি তদবির করেও সংযোগ না পেয়ে ঠিকাদারদের ওপর চড়াও হচ্ছে।

অবিলম্বে গ্যাস-সংযোগ শুরুর দাবিতে বুধবার (৯ ডিসেম্বর) ষোলশহরের কেজিডিসিএল কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছে গ্রাহক ও ঠিকাদারদের কয়েকটি সমিতি।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গ্যাস বিক্রয় নীতিমালা অনুযায়ী টাকা জমা দেওয়ার ১৮ কার্যদিবসের মধ্যে গ্রাহক সংযোগ পাবে। অথচ চট্টগ্রামের প্রায় ২০ হাজার গ্রাহক টাকা জমা দিয়ে এক বছরের মধ্যেও গ্যাসের সংযোগ পাচ্ছেন না। এতে গ্যাস-সংযোগ প্রত্যাশী গ্রাহকদের দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। অনেকে বাড়ি বানিয়েও ভাড়া দিতে পারছেন না।

মানববন্ধনে ঠিকাদারেরা বলেন, নির্ধারিত সময়ে সংযোগ না দেওয়ার ব্যর্থতা কেজিডিসিএলের। অথচ এ নিয়ে প্রতিনিয়ত গ্রাহকদের কাছে ঠিকাদারদের নাজেহাল হতে হচ্ছে। অনেক এলাকায় ঠিকাদারেরা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন। এ জন্য নির্ধারিত সময়ে সংযোগ দিতে না পারার ব্যর্থতা স্বীকার করে কর্তৃপক্ষের উচিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি গ্রাহক কল্যাণ পরিষদের সভাপতি নেছার আহমেদ, চট্টগ্রাম গ্রাহক কল্যাণ পরিষদের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি জাফর আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বাশার, চট্টগ্রাম গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি গ্রাহক ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর নূর, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম অলিউল্লাহ প্রমুখ।

সাত দিনের মধ্যে গ্রাহক ও ঠিকাদারদের দাবি মানা না হলে আরও কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে মানববন্ধনে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম গ্যাস বিদ্যুৎ পানি গ্রাহক কল্যাণ পরিষদের আহ্বায়ক নেছার আহমদ। ২০১৪ সালের ১৮ আগস্টের গেজেটের আলোকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে কেজিডিসিএলের অধীন চাহিদাপত্র, রাস্তা কাটার অনুমতি ও চুক্তিপত্র সম্পাদন করে রাইজার উত্তোলনপূর্বক গ্যাস সংযোগের জন্য প্রায় ২০ হাজার গ্রাহকের ফাইল অপেক্ষমাণ রয়েছে।

গ্রাহকেরা অভিযোগ করেছেন, মালামালের স্বল্পতা, মালামাল ক্রয়ে দীর্ঘসূত্রতা ও অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কারণে সংযোগ প্রক্রিয়া একপ্রকার স্থবির হয়ে রয়েছে। গ্রাহকদের আবেদনের যথার্থতা আমরা যাচাই করেছি এবং সত্যতাও মিলেছে। পেট্রোবাংলার অন্যান্য কোম্পানি যেমন তিতাস, জালালাবাদ, বাখরাবাদ ও পশ্চিমাঞ্চলের গ্যাস কোম্পানিগুলোতে এ ধরনের সংযোগের কোনো অপেক্ষমাণ তালিকা নেই। শুধু সংযোগ প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি হয়েছে কেজিডিসিএলে।

চিঠিতে যতদ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় মালামালের ব্যবস্থা করে জরুরি ভিত্তিতে ২০ হাজার গ্রাহককে সংযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, অপেক্ষমাণ গ্রাহকদের সংযোগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা সৃষ্টি হলে জনসাধারণের মাঝে বিরূপ প্রভাব পড়বে এবং সরকারের ও প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের যে ধারাবাহিকতা তা প্রশ্নের সম্মুখীন এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।