ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়েই সংকটের সৃষ্টি

0
97

যখন যে ক্ষমতায় আসে সে সরকারই ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে চায়, একারণেই সংকটের সৃষ্টি হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রখ্যাত সাংবাদিক এবিএম মূসা।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাপ্তাহিক আজকালের উদ্যোগে ‘আসন্ন নির্বাচন সমোঝতা না সংঘাত?’ শীর্ষক আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “যখন যে ক্ষমতায় আসে সে সরকারই ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে চায়। একারণেই সংকটের সৃষ্টি হয়।”

তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে সামনে সুনামি দেখতে পাচ্ছি এবং সুনামি হওয়ার পর এই চলমান সংকটের সমাধান হবে।” দেশে আগামী নির্বাচন আদৌ হবে কিনা সেটা এখনো নিশ্চিত নয় বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন প্রবীণ এই সাংবাদিক।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মূসা বলেন, “আওয়ামী লীগ যদি পাঁচ মিনিটে বাকশাল কায়েম করতে পারে তাহলে তিন মিনিটে সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সংযোজন করা তাদের পক্ষে সম্ভব।” স্বৈরাচারী কায়দায় কখনো ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আলোচনায় অংশ নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, “সব দলের অংশগ্রহণে বিশ্বাসযোগ্য সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে শুধুই সমঝোতা করে সংঘাত থেকে উত্তরণ বাংলাদেশের কারো পক্ষে সম্ভব নয়।” দেশের musa_18711রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করতে হলে দলমত নির্বিশেষে জোরালো উদ্যোগ প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

হোসেন জিল্লুর বলেন, “যদি কোনোভাবে সংকট নিরসন না করা যায় তবে দেশে ও নাগরিক সমাজকে জোরালো আন্দোলনই দেশে সংকট নিরসন করতে পারে।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ইসলাম বলেন, “সংবিধানের কাঠোমোর মধ্য থেকেই সর্বদলীয় সরকার গঠনের মাধ্যমে সংকটের সমাধান করা যায়।”

আসিফ নজরুল নির্বাচন কালীন সরকার প্রধান হিসেবে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ফজলুল আজিম, বিচারপতি হাবিবুর রহমান, ব্যারিস্টার রফিক উল হক, ফজলে হাসান আবেদের নাম প্রস্তাব করে বলেন, “তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে এ পর্যন্ত কেউ প্রশ্ন তোলেনি।”

তিনি বলেন, “একথা সত্য যে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগই দেশে সংকট সৃষ্টি করেছে।”

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, “৩০ বছর আগে বিএনপি করার কারণে বিচারপতি কেএম হাসানকে যদি আওয়ামী লীগ নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান হিসেবে মেনে নিতে না পারে তাহলে কিভাবে শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে?”

সাপ্তাহিক আজকাল পত্রিকার প্রধান সম্পাদক জাকারিয়া মাসুদ জিকোর সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় আরো বক্তব্য দেন কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, সাপ্তাহিক সম্পাদক গোলাম মোর্তজা,সাংবাদিক মনির হায়দারসহ আরও অনেকে।