খাগড়াছড়িতে শোক দিবসে সাংসদ ও মেয়র অনুপস্থিত

0
64

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি॥ খাগড়াছড়িতে জাতীয় শোক দিবসের কোন কর্মসূচিতে অংশ নেননি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। মঙ্গলবার ১৫আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ৪২তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা আওয়ামীলীগ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে। সরকারি ও দলীয় কর্মসূচিতে ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) ও জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো: রাশেদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো: আলী আহম্মদ খান, পৌর মেয়র রফিকুল আলম, প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পার্বত্য জেলা পরিষদের সকল সদস্যসহ জেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকলেও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার অনুপস্থিতি নিয়ে জেলা জুরে নানা মহলে বইছে সমালোচনার ঝড় ।
অন্যদিকে, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শামছুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেননি। তবে বেলা সাড়ে ১১টায় মাটিরাঙা সদর ইউনিয়ন পরিষদ আয়োজিত শোকসভায় চেয়ারম্যান হিরঞ্জয় ত্রিপুরার সভাপতিত্বে শামছুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
সংসদ সদস্যের অনুপস্থিতির কারণ সর্ম্পকে সহকারী একান্ত সচিব খগেন ত্রিপুরা জানান, গতরাত থেকে স্যার(এমপি) অসুস্থ। তাই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। মাটিরাঙা পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শামছুল হকের মুঠোফোন বন্ধ রয়েছে।
তবে মাটিরাঙা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন লিটন জানান, বঙ্গবন্ধুর ৪২তম শাহাদত বার্ষিকীতে উপজেলা প্রশাসনের কর্মসূচিতে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করলেও ব্যস্ত থাকায় মাটিরাঙা পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শামছুল হক উপস্থিত থাকতে পারেননি।
মাটিরাঙা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিএম মশিউর রহমান জানান, বঙ্গবন্ধুর ৪২তম শাহাদত বার্ষিকীতে উপজেলা প্রশাসনের কর্মসূচিতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র শামছুল হক অংশগ্রহণ করেননি। কিন্তু বিভিন্ন সরকারী বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।