খালেদার জামিনের সিদ্ধান্ত কাল

0
46

নাশকতার অভিযোগে কুমিল্লার এক মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল থাকবে কি না, কাল মঙ্গলবার সে সিদ্ধান্ত জানা যাবে।

খালেদা জিয়ার এই জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) ওপর শুনানি শেষে আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ দিন ধার্য করেন।

বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যার অভিযোগে কুমিল্লার অপর মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল থাকবে কি না, সে সিদ্ধান্ত জানা যাবে আগামী ২ জুলাই। এই জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি শেষে গতকাল রোববার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ ওই দিন ধার্য করেন।

এদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছর সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির দিন ধার্যের জন্য গতকাল বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ বিষয়ে হাইকোর্ট আজ আদেশের জন্য দিন রেখেছেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন চেয়ে হাইকোর্টে জামিন পান খালেদা জিয়া। হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখে ১৬ মে রায় দেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে পাঁচ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল হাইকোর্টে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

নাশকতার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও বাস পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় করা দুটি মামলায় গত ২৮ মে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন দেন। এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার বিচারপতি ওই জামিন স্থগিত করে আবেদন দুটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। ৩১ মে আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশ বহাল রেখে ২৪ জুনের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে নির্দেশ দেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ নিয়মিত লিভ টু আপিল করে।

আইনজীবী সূত্র বলেছে, ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে একটি কাভার্ড ভ্যানে অগ্নিসংযোগ ও আশপাশের বেশ কিছু যান ভাঙচুরের ঘটনায় নাশকতার অভিযোগে চৌদ্দগ্রাম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে পুলিশ। একই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে আট যাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় ৩ ফেব্রুয়ারি চৌদ্দগ্রাম থানায় হত্যা মামলাটি করে পুলিশ।