খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে মশাল মিছিল

0
217

গত দেড় বছরেরও অধিক সময় ধরে কারাবন্দি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে মশাল মিছিল করেছে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে মিছিলটি গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে আরও অংশ নেন- ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু আশফাক, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহীন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক কাউসার প্রমুখ।

মিছিল শেষে এক পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়ার পরও নির্যাতনের মাত্রা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার তার ন্যায়সঙ্গত অধিকার জামিন থেকেই কেবল বঞ্চিত করছে না, বরং শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ একজন বয়স্কা নারীকে সুচিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত করছে।

দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন আর ঘরে বসে থাকলে চলবে না। গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে সব বাধা উপেক্ষা করে এখন রাস্তায় নামতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত দুই দিন আগের হিংসাত্মক বক্তব্যের উদ্দেশ্যই ছিল খালেদা জিয়াকে জামিন না দিতে বিচার বিভাগ এবং বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষকে প্রভাবিত করা। তবে আমাদের বিশ্বাস সরকারের সব নজরদারি ও হুমকিকে উপেক্ষা করে সর্বোচ্চ আদালত দেশনেত্রীকে জামিন দিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন।

তিনি বলেন, এখন দেশ চলছে এক ব্যক্তির ভয়ঙ্কর কর্তৃত্ববাদী শাসন। যেখানে দেশের জনগণ এবং গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বিরোধী পক্ষকে বন্দি করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আর সেই কারণেই বিরোধী দল ও মতের ওপর চলছে অবর্ণনীয় নানামুখী নির্যাতন। সরকারের চরম প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণে এটি স্পষ্ট যে, বেগম জিয়ার কারামুক্তিতে এখন রাজপথই আমাদের একমাত্র সমাধান। তাই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রামের কোনো বিকল্প নেই।

রিজভী আরও বলেন, সরকার যদি জনরোষ থেকে বাঁচতে চায় তাহলে অবিলম্বে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। নইলে জনরোষের থাবা থেকে রেহাই পাবে না বর্তমান স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠী।