খুটাখালী পুরাতন ইউপি ভবন সংস্কারের অভাবে ধ্বংসস্তূপ!

0
97

 সেলিম উদ্দীন,কক্সবাজার

 চকরিয়া উপজেলার ১৭ নং খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ভবনে কার্যক্রম বন্ধ ও সংস্কার না হওয়ায় দিনে দিনে ধ্বংসস্তূপে রূপ নিচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে সংস্কারের অভাবে বেহাল দশা ভবনের দরজা-জানালা। ভবনটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় সাধারন মানুষ নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমনকি দেখভালের কেহ না থাকায় ব্যবহার অনুপযোগি হয়ে পড়েছে ভবনটি। সরেজমিন ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নতুন পরিষদ ভবন চালু করার পর থেকে কার্যত পুরাতন এ ভবনটি অচল হয়ে পড়েছে। মাঝপথে এ ভবনে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের নামে সাইনবোর্ড তোলা হলেও দেখা যায়নি তাদের কার্যক্রম। বর্তমানে পরিতাক্ত্য অবস্থায় পড়ে আছে সরকারী এ সম্পদ।নেই কোন সাইনবোর্ড বা সরকারী সম্পত্তির সর্তকিকরন বিঙপ্তি। যার কারনে সরকারি এ জমি দখল হওয়ার আশংকা করছেন এলাকাবাসি। জনগুরুত্বপুর্ন ও খুটাখালীর ইতিহাস ঐতিহ্যের সাক্ষী পুরাতন পরিষদ ভবনটি সংস্কার জরুরী বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। ভবনটির হলরুম ও ফ্লোরের বেশিরভাগ জায়গা কাঁদা পচা পানিতে নিমজ্জিত। ভবনের চারপাশে দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। ভাঙ্গা দরজা-জানালা ও বাথরুমগুলো ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। বাথরুমের পাইপ ছিদ্র হয়ে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে ময়লা আর্বজনা। ভবনের ভিতরে রয়েছে হাটু পানি। সংস্কারের অভাবে ইউপি ভবনের জানালা ও লোহার গ্রিলগুলো মরিচা ধরে খয়ে যাচ্ছে। এমনকি ভিতরে বাইরে পলেস্তার খসে পড়ছে। ভবনের অনেক দেয়ালে ধরেছে ফাটল। এছাড়া ভবনের চারিপাশে বাজারের ময়লা আর্বজনা ফেলে ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে। একতলা বিশিষ্ট এ ভবনের ছাদে বৃষ্টির পানি জমে চুইয়ে চুইয়ে নিচে ঝড়ে পড়ছে। একই অবস্থা বিরাজ করছে ভবনের হলরুম, চেয়ারম্যান, সচিবের কক্ষ। এক সময় বিদ্যুৎ লাইন থাকলেও তা এখন অচল। এতো খারাপ অবস্থার মধ্যেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নেই মাথাব্যথা। পুরাতন ইউপি ভবনের সীমানা প্রাচীর থেকে শুরু করে পানির টিউবওয়েল, বাথরুম সবকিছুই দিন দিন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে। ভবন দেবে দেয়াল ফেটে বিশাল আকারের ফাঁকা হয়ে গেছে। ভবনের সামনে গজে উঠা জঙ্গলের কারণে ভিতরে প্রবেশ করা ও দায়। স্থানীয়রা সরকারী সম্পদের বেহাল দশার পিছনে ইউপি চেয়ারম্যানকে দুষছেন। তারা বলছেন, পরিকল্পিতভাবে উদ্দোগ নেয়া হলে ভবনটি সংস্কার করে প্রস্তাবিত খুটাখালী কলেজের কার্যক্রম চালানো সম্ভব। কিশলয় আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ঈদি আমিন চৌধুরী বলেন, সমন্বয় করে উদ্দোগ নেয়া হলে অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন এ ভবনটি সংস্কার করে জনকল্যানমুলক কাজে ব্যবহার করা যাবে। এ বিষয়ে খুটাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ভবনের এমন দশা। তারপরও আমি দায়িত্ব নেয়ার পর বাউন্ডারি দেয়াল দিয়ে রক্ষিত করা হয়েছে। নতুন ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করায় মুলত পুরাতন ভবন ব্যবহার হচ্চেনা। তারপরও সমস্যার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ শুরু হবে।