খুলশীস্থ সেগুনবাগানে তা’লীমুল কুরআন মসজিদ নির্মাণকাজ উদ্বোধন

0
87

প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর খুলশীস্থ তা’লীমুল কুরআন কমপ্লেক্স চট্টগ্রামে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত ৪ তলা বিশিষ্ঠ জামে মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হচ্ছে। আজ শুক্রবার বিকেলে এই মসজিদ নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন কাজ উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন । চারতলা বিশিষ্ট এই মসজিদ ভবনের আয়তন হবে ৩১ হাজার ৩ শত ২৫ বর্গফুট। এ মসজিদে উম্মুক্ত গ্রাউন্ডফ্লোরে এলাকার মৃত ব্যক্তিদের জায়নাযা সহ সভা সমাবেশের ব্যবস্থা, পার্কিং ব্যবস্থা,লিফট, চতুর্দিকে শপিং কমপ্লেক্সসহ আধুনিক সুযোগ সুবিধা থাকবে।এতে একসঙ্গে ১০ হাজার মুসল্লী নামাজ আদায় করতে পারবে। এর পূর্বে তা’লীমুল কুরআন কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে ২০১৮ সালে হজ্ব পালনকারী হাজী সাহেবানদের এক সংবর্ধনার আয়োজন করে তা’লীমুল কুরআন মসজিদ কমিটি। তা’লীমুল কুরআন কমপ্লেক্স খুলশী, চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ তৈয়ব এর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে রাজনীতিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শফর আলী, কাউন্সিলর আলহাজ্ব মুহাম্মদ হোসেন হিরন, মোরশেদ আকতার চৌধুরী, গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের ও প্রফেসর মঞ্জুর হোসেন, আলহাজ্ব গোলাম সরওয়ার ভান্ডারী ও আলহাজ্ব হায়দার হোসেন বাদল উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন আজকের কোমলমতি শিশুরা আগামীদিনের ভবিষ্যৎ। তাই সমৃদ্ধ আলোকিত ও মুল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হওয়ার জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন শিক্ষা। শিক্ষাই আত্মকেন্দ্রিকতা,স্বার্থপরতা থেকে উর্দ্ধে উঠতে সহায়তা করে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন পবিত্র কোরআন মজীদ হচ্ছে আল্লাহ তা’লা প্রদত্ত বাণী। এ মহা গ্রন্থটি আল্লাহর রাসুল(স.) এর মাধ্যমে দুনিয়ার বুকে এসেছে। এতে ইহকাল ও পরকাল সহ মানব জাতির জীবন যাবন সম্পর্কে সমক্ষ ধারনা রয়েছে। তোমরা কোরআন-এ হাফেজ হচ্ছ। কোরআন হাফেজরা সমাজের কাছে বরণীয় ব্যক্তি। এ কোরআন মজীদকে হৃদয়ে ধারন করে সমাজের মধ্যে দ্বীনি খেদমতে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন কোরআন-এ হাফেজরা রাতের ঘুম হারাম করে বছর বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে কোরআনকে সিনায় পুষে রেখেছেন। সিনায় কোরআন রাখা এ মানুষগুলো আল্লাহ তা’লার কাছে অনেক বেশি মর্যাদাবান। এ প্রসঙ্গে তিনি কওমী মাদ্রাসায় শিক্ষিত আলেমদের কথা উল্লেখ করে বলেন বিগত সময়ে কওমী আলেমগণ জীবন জিবিকার তাগিদে পথে প্রান্তরে ঘুরে বেড়াত। এ অবস্থার পরিত্রান দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কওমী শিক্ষা ব্যবস্থাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিয়ে কওমী আলেম সমাজের মান মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। এর ফলে তারা এখন থেকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদেও চাকুরীর সুযোগ পাবে। তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী-ই জাতির পিতার স্বপ্ন ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থাকে সার্বজনীনভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এর জন্য মেয়র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং এ সরকারের সকলের জন্য কওমী আলেম সমাজ সহ সর্বস্তরের আলেম সমাজের কাছে দোয়া প্রত্যাশা করেন।